নিচের কোনটি বাংলাদেশের শিল্প সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কর্মকান্ড নয়?
A
মাছ চাষ
B
বস্ত্র
C
পাট
D
সিমেন্ট
উত্তরের বিবরণ
শিল্প ও বাংলাদেশের অর্থনীতি
মাছ চাষ শিল্প নয়, এটি কৃষিভিত্তিক কাজ।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। যদিও বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ, তারপরও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিল্পের ভূমিকা অনেক বেশি।
বাংলাদেশে যেসব বড় বড় শিল্প আছে, সেগুলো হলো:
-
পাট শিল্প
-
বস্ত্র বা কাপড় বয়ন শিল্প
-
তৈরি পোশাক শিল্প
-
সার শিল্প
-
সিমেন্ট শিল্প
-
কাগজ শিল্প
-
চিনি শিল্প
-
চা শিল্প
পাট শিল্প
পাট শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শিল্প। এই শিল্প বিদেশে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। এছাড়া চাকরির সুযোগ তৈরি করে, জাতীয় আয় বাড়ায় এবং মানুষের জীবনমান উন্নত করে।
বর্তমানে দেশের পাটকলগুলো থেকে যেসব পণ্য তৈরি হয়:
-
চট
-
বস্তা
-
দড়ি
-
থলে
-
ত্রিপল
-
কাপড়
-
তাঁবু
-
ক্যানভাস
এইসব পণ্য বিদেশে যেমন ব্রিটেন, রাশিয়া, ফ্রান্স, জাপান, মিসর, কানাডা ইত্যাদি দেশে রপ্তানি হয়।
ইপিবি-এর তথ্য অনুযায়ী:
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় ৮২ কোটি ডলারের পাটজাত পণ্য রপ্তানি করেছে।
বস্ত্র ও তৈরি পোশাক শিল্প
বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে বস্ত্র বা কাপড় অন্যতম।
তবে বাংলাদেশ এখনো এই খাতে পুরোপুরি স্বনির্ভর নয়। অনেক তুলা, সুতা ও কাপড় বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় – যেমন জাপান, ভারত, কোরিয়া, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশ থেকে।
বাংলাদেশের বস্ত্রকল ও পোশাক কারখানা যেসব জেলায় বেশি:
-
ঢাকা
-
চট্টগ্রাম
-
কুমিল্লা
-
নোয়াখালী
-
রাজশাহী
-
খুলনা
ইপিবি-এর তথ্য অনুযায়ী:
২০২৪-২৫ অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাতে ৮.৮৪% প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৯.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সিমেন্ট শিল্প
বাংলাদেশে সিমেন্ট শিল্পে তেমন উন্নতি হয়নি। কারণ, এই শিল্পে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যেমন চুনাপাথর, কাদামাটি, জিপসাম – এগুলো দেশে খুব কম পাওয়া যায়।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় বাংলাদেশে মাত্র একটি সিমেন্ট কারখানা ছিল। স্বাধীনতার পর সরকার এ শিল্প উন্নয়নের জন্য উদ্যোগ নেয়। কিন্তু কাঁচামালের ঘাটতির কারণে এই খাতে তেমন অগ্রগতি হয়নি।
তথ্যসূত্র: বাণিজ্যিক ভূগোল (এইচএসসি), বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 3 months ago
কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২৪ অনুযায়ী, তামাক উৎপাদনে শীর্ষ জেলা কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ঝিনাইদহ
B
রংপুর
C
ফরিদপুর
D
কুষ্টিয়া
কৃষি উৎপাদনের শীর্ষ জেলা – ২০২৪
-
ধান: ময়মনসিংহ
-
গম: ঠাকুরগাঁও
-
ভুট্টা: দিনাজপুর
-
তুলা: ঝিনাইদহ
-
চা: মৌলভীবাজার
-
তামাক: কুষ্টিয়া
-
পাট: ফরিদপুর
-
আলু: রংপুর
0
Updated: 1 month ago
'ক্লিওপেট্রা' কোন ফসলের উন্নত জাত?
Created: 1 month ago
A
আলু
B
পেঁয়াজ
C
বাঁধাকপি
D
কোনটিই নয়
আলু বিশ্বের অন্যতম প্রধান খাদ্যশস্য এবং এটি প্রধান স্টার্চ উৎস হিসেবে বিবেচিত, যা ভাতের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। উৎপাদনের দিক থেকে ধান, গম ও ভুট্টার পর আলু চতুর্থ স্থানে অবস্থান করে। আলু চাষের জন্য বেলে দো-আঁশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী।
-
১৯৬০ সাল থেকে উন্নতমানের আলুর চাষ হয়ে আসছে।
-
উন্নত জাতের আলু: হিরা, আইলসা, পেট্রোনিস, মুল্টা, ডায়ামন্ড, কার্ডিনাল, মন্ডিয়াল, কুফরী সিন্দুরী, চমক, ধীরা, গ্রানোলা, ক্লিওপেট্রা, চিনেলা
-
উচ্চ ফলনশীল পেঁয়াজের জাত: সুখ সাগর, ঝিটকা, কৈলাসনগর, তাহেরপুরী, ভাতি
-
উচ্চ ফলনশীল বাঁধাকপির জাত: গ্রীন এক্সপ্রেস, ড্রামহেড, গোল্ডেন ক্রস, প্রভাতী, অগ্রদূত
0
Updated: 1 month ago
চা বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত চা বাগানের সংখ্যা কতটি? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
১৬৮টি
B
১৬৯টি
C
১৭০টি
D
১৭১টি
বাংলাদেশে চা বাগান
-
বর্তমানে নিবন্ধিত চা বাগান: ১৭০টি
-
সবচেয়ে বেশি চা বাগান: মৌলভীবাজার জেলা (৯০টি)
-
চা নিলাম কেন্দ্র: ৩টি (চট্টগ্রাম, শ্রীমঙ্গল, পঞ্চগড়)
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
-
১৮০০ শতকের প্রথম ভাগে ভারতবর্ষের আসাম ও তৎসংলগ্ন এলাকায় চা চাষ শুরু
-
১৮২৮: চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী নদীর তীরে চা আবাদে জমি বরাদ্দ
-
১৮৪০: চট্টগ্রাম শহরে কুন্ডদের বাগান নামে পরিচিত প্রথম চা বাগান প্রতিষ্ঠা
-
১৮৫৪: সিলেটের মালনীছড়ায় প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু
-
স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশে চা আবাদ হত দুটি জেলায়:
-
সিলেট জেলা – সুরমা ভ্যালি
-
চট্টগ্রাম জেলা – হালদা ভ্যালি
-
0
Updated: 1 month ago