বাংলাদেশ এখন পোলিওমুক্ত: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশকে পোলিও মুক্ত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে।
বাংলাদেশে ২০০৭ সাল থেকে আর নতুন কোনো পোলিও রোগীর খোঁজ মেলেনি। কিন্তু, পাশের দেশ ভারত তখনও পোলিও মুক্ত হয়নি বলে বাংলাদেশকেও তখনই পোলিও মুক্ত ঘোষণা করা হয়নি।
WHO সাধারণত একটি নির্দিষ্ট দেশকে আলাদাভাবে পোলিও মুক্ত ঘোষণা করে না। বরং, পুরো অঞ্চল বিবেচনা করে ঘোষণা দেয়, কারণ ভাইরাস এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
১৯৭০ ও ৮০’র দশকে বাংলাদেশে পোলিও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। এরপর ১৯৭৯ সালে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি চালু হয়। এর ফলেই নব্বইয়ের দশক থেকে পোলিওর বিরুদ্ধে ভালো অগ্রগতি দেখা যায় এবং শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ পোলিও মুক্ত হয়।
পোলিও কীভাবে ছড়ায় এবং কী বিপদ ডেকে আনে?
পোলিও একটি আরএনএ ভাইরাসজনিত রোগ, যার নাম পোলিওমাইলাইটিস। এটি সাধারণত শিশু-কিশোরদের আক্রান্ত করে।
রোগটি মূলত রোগীর মলমূত্রের মাধ্যমে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত সংক্রমণের প্রথম সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ভাইরাস ছড়ায়, তবে ৬-৮ সপ্তাহ পর্যন্ত ছড়াতে পারে। মলমূত্র দূষিত খাবার বা পানির মাধ্যমে শিশুর শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করে।
এই রোগে মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের স্নায়ু আক্রান্ত হয়। এতে পক্ষাঘাত বা এমনকি শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
পোলিওর কোনো চিকিৎসা নেই, তবে টিকাই একমাত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা। তাই শিশুকে নিয়মিত টিকা দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যসূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ওয়েবসাইট