বাংলাদেশের সংবিধানের নাম কি?
A
বাংলাদেশের সংবিধান
B
বাংলাদেশের সাংবিধানিক বিধিমালা
C
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান
D
প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ সংবিধান
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান
⇒ বাংলাদেশের সংবিধানের নাম হলো "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান"।
-
সংবিধান হলো একটি দেশের মূল আইন, যেটি দেশের শাসনব্যবস্থা, নাগরিকদের অধিকার ও দায়িত্ব, এবং সরকারের কাঠামো নির্ধারণ করে।
-
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতা লাভ করে। এরপর ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ দেশের জন্য একটি সংবিধান তৈরির কাজ শুরু হয়।
-
এই লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল ৪০৩ সদস্য নিয়ে একটি গণপরিষদ গঠিত হয় এবং এদের মধ্য থেকে ৩৪ জনের একটি কমিটি গঠন করে সংবিধানের খসড়া তৈরি করা হয়।
-
১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর এই খসড়া গণপরিষদে উপস্থাপন করা হয় এবং পঠন শেষে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়।
-
তখন দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী।
⇒ বাংলাদেশের প্রথম হস্তলিখিত সংবিধান ছিল মোট ১০৯ পাতার, যার মধ্যে মূল লেখা ছিল ৯৩ পৃষ্ঠায়।
-
এটি হাতে লিখেছিলেন শিল্পী আব্দুর রউফ এবং অঙ্গসজ্জা করেছিলেন বিখ্যাত শিল্পী জয়নুল আবেদীন।
-
সংবিধানের প্রচ্ছদে শীতলপাটির উপর লেখা ছিল "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান"।
-
গণপরিষদের ৩৯৯ জন সদস্য এই মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেছিলেন।
⇒ সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো:
-
মোট অনুচ্ছেদ: ১৫৩টি
-
ভাগ: ১১টি
-
তফসিল: ৭টি
-
প্রস্তাবনা: ১টি
-
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি: ৪টি — জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা
-
এখন পর্যন্ত সংবিধান ১৭ বার সংশোধিত হয়েছে।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 3 months ago
বাংলাদেশ সংবিধান হাতে লেখার দায়িত্ব কার ওপর ন্যস্ত ছিল?
Created: 1 month ago
A
হাশেম খান
B
এ.কে.এম আব্দুর রউফ
C
আবুল বারক আলভী
D
সমরজিৎ রায় চৌধুরী
বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম হাতে লেখা সংবিধান, যা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছিল এবং যার পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল ১০৯। সংবিধানের হস্তলিপির কাজ সম্পন্ন করেন এ কে এম আবদুর রউফ, যিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
সংবিধানের প্রচ্ছদে শীতলপাটির উপর লেখা আছে "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান"। এছাড়া, সংবিধানের অঙ্গসজ্জার কার্যক্রমের মূল তত্ত্বাবধান করেন শিল্পাচার্য জয়নাল আবেদীন।
-
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২
-
প্রথম হাতে লেখা সংবিধান: গ্রন্থাকারে প্রকাশিত
-
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১০৯
-
হস্তলিপি প্রস্তুতকারী: এ কে এম আবদুর রউফ
-
প্রচ্ছদে লেখা: "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান"
-
অঙ্গসজ্জার তত্ত্বাবধায়ক: জয়নাল আবেদীন
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংসদীয় ব্যবস্থা সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে পুনঃপ্রবর্তিত হয়?
Created: 3 months ago
A
অষ্টম
B
নবম
C
একাদশ
D
দ্বাদশ
১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট বাংলাদেশের সংবিধানে গৃহীত দ্বাদশ সংশোধনী ছিল দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা থেকে সরে এসে পুনরায় সংসদীয় শাসনব্যস্থা চালু করা হয়, যা জাতির ইচ্ছার প্রতিফলন হিসেবেই বিবেচিত হয়।
এই সংশোধনীর পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি কেবলমাত্র রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে থাকবেন, তবে কার্যকর নির্বাহী ক্ষমতা হস্তান্তরিত হয় মন্ত্রিসভার হাতে। প্রধানমন্ত্রী হয়ে ওঠেন সরকারের প্রধান নির্বাহী, যিনি মন্ত্রিপরিষদের নেতৃত্ব দেবেন এবং জাতীয় সংসদের কাছে সমগ্র মন্ত্রিসভা দায়বদ্ধ থাকবেন।
সংশোধনীর মাধ্যমে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংসদ সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হবেন এবং তিনি একটানা দুই মেয়াদের বেশি পদে থাকতে পারবেন না। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ছাড়া অন্য সব বিষয়ে তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এই সংশোধনী কার্যকর হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক কাঠামো আরও সুসংগঠিত হয় এবং জনগণের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিত্বমূলক শাসনব্যস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ঘটে।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান – আরিফ খান
0
Updated: 3 months ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে গ্রেপ্তার ও আটক বিষয়ে নাগরিকের রক্ষাকবচ উল্লেখ রয়েছে?
Created: 3 weeks ago
A
৩৫ নং অনুচ্ছেদ
B
৩৪ নং অনুচ্ছেদ
C
৩৩ নং অনুচ্ছেদ
D
৩২ নং অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে গ্রেপ্তার ও আটক সংক্রান্ত রক্ষাকবচ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে কোনো ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার বা আটক করা না যায়। এই বিধান অনুচ্ছেদ ৩৩-এ বর্ণিত হয়েছে, যা ব্যক্তি-স্বাধীনতা ও আইনি সুরক্ষার অন্যতম ভিত্তি।
মূল তথ্যসমূহ:
-
অনুচ্ছেদ ৩৩: গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ
-
(১) কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর যথাসম্ভব দ্রুত গ্রেপ্তারের কারণ জানানো ছাড়া প্রহরায় আটক রাখা যাবে না।
-
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে তাঁর মনোনীত আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করার এবং তাঁর মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
-
(২) গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা আবশ্যক (গ্রেপ্তারের স্থান থেকে আদালতে পৌঁছানোর প্রয়োজনীয় সময় ব্যতীত)।
-
ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতীত তাকে ২৪ ঘণ্টার বেশি প্রহরায় আটক রাখা যাবে না।
-
(৩) এই রক্ষাকবচ প্রযোজ্য নয়—
-
(ক) যে ব্যক্তি বর্তমানে বিদেশী শত্রু, অথবা
-
(খ) যিনি নিবর্তনমূলক আটক সংক্রান্ত আইনের অধীনে গ্রেপ্তার বা আটক হয়েছেন।
-
-
সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অনুচ্ছেদ:
-
অনুচ্ছেদ ৩২: জীবন ও ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ।
-
অনুচ্ছেদ ৩৪: জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধকরণ।
-
অনুচ্ছেদ ৩৫: বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ।
0
Updated: 3 weeks ago