A
১৯৯৮
B
২০০৪
C
২০১৪
D
২০১৯
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ এখন পোলিওমুক্ত: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশকে পোলিও মুক্ত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে।
বাংলাদেশে ২০০৭ সাল থেকে আর নতুন কোনো পোলিও রোগীর খোঁজ মেলেনি। কিন্তু, পাশের দেশ ভারত তখনও পোলিও মুক্ত হয়নি বলে বাংলাদেশকেও তখনই পোলিও মুক্ত ঘোষণা করা হয়নি।
WHO সাধারণত একটি নির্দিষ্ট দেশকে আলাদাভাবে পোলিও মুক্ত ঘোষণা করে না। বরং, পুরো অঞ্চল বিবেচনা করে ঘোষণা দেয়, কারণ ভাইরাস এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
১৯৭০ ও ৮০’র দশকে বাংলাদেশে পোলিও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। এরপর ১৯৭৯ সালে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি চালু হয়। এর ফলেই নব্বইয়ের দশক থেকে পোলিওর বিরুদ্ধে ভালো অগ্রগতি দেখা যায় এবং শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ পোলিও মুক্ত হয়।
পোলিও কীভাবে ছড়ায় এবং কী বিপদ ডেকে আনে?
পোলিও একটি আরএনএ ভাইরাসজনিত রোগ, যার নাম পোলিওমাইলাইটিস। এটি সাধারণত শিশু-কিশোরদের আক্রান্ত করে।
রোগটি মূলত রোগীর মলমূত্রের মাধ্যমে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত সংক্রমণের প্রথম সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ভাইরাস ছড়ায়, তবে ৬-৮ সপ্তাহ পর্যন্ত ছড়াতে পারে। মলমূত্র দূষিত খাবার বা পানির মাধ্যমে শিশুর শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করে।
এই রোগে মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের স্নায়ু আক্রান্ত হয়। এতে পক্ষাঘাত বা এমনকি শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
পোলিওর কোনো চিকিৎসা নেই, তবে টিকাই একমাত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা। তাই শিশুকে নিয়মিত টিকা দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যসূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ওয়েবসাইট

0
Updated: 4 days ago
বাংলাদেশের পোস্টাল একাডেমি কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 week ago
A
রাজশাহী
B
ঢাকা
C
চট্টগ্রাম
D
খুলনা
বাংলাদেশ পোস্টাল একাডেমি
বাংলাদেশ পোস্টাল একাডেমি, যা রাজশাহীতে অবস্থিত, দেশের ডাক বিভাগ সংশ্লিষ্ট মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্য একটি কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। এটি প্রথমে ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে এটি আধুনিক কাঠামো ও কার্যক্রমে রূপান্তরিত হয়। একাডেমির মূল লক্ষ্য হলো জাতীয় পর্যায়ে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখা।
সূত্র: বাংলাদেশ পোস্টাল একাডেমির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের একমাত্র কিশোরী সংশোধন প্রতিষ্ঠানটি কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 week ago
A
টঙ্গি
B
কোনাবাড়ি
C
যশোর
D
গাজীপুর
শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (সংশোধন প্রতিষ্ঠান)
শিশু আইন, ২০১৩ অনুযায়ী আইনের সঙ্গে জড়িত কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থাকা শিশুদের জন্য সরকার শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র পরিচালনা করে থাকে।
এসব প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হলো ওইসব শিশুদের ব্যক্তিত্ব ও আচরণিক বিকাশ ঘটিয়ে সমাজে তাদের ইতিবাচকভাবে পুনঃস্থাপন নিশ্চিত করা।
এই কেন্দ্রগুলোতে বিভিন্নভাবে শিশুদের পূর্ণাঙ্গ মানসিক ও সামাজিক বিকাশের জন্য সহায়তা প্রদান করা হয়—যেমন: কেইস ওয়ার্ক, গাইডেন্স ও কাউন্সেলিং।এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুদের ব্যক্তিত্ব গঠনে ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে কাজ করা হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশে মোট তিনটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র চালু রয়েছে। এর মধ্যে দুটি শুধুমাত্র বালকদের জন্য এবং একটি কিশোরী (বালিকা) সংশোধন প্রতিষ্ঠান। উল্লেখযোগ্যভাবে, দেশের একমাত্র কিশোরী সংশোধন কেন্দ্রটি গাজীপুর জেলার কোনাবাড়িতে অবস্থিত।
তিনটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র নিম্নরূপ:
-
শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালক) – টঙ্গী, গাজীপুর
-
শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালিকা) – কোনাবাড়ী, গাজীপুর
-
শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালক) – পুলেরহাট, যশোর
তথ্যসূত্র: সমাজসেবা অধিদপ্তর

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের সমন্বয়কারী কোন সংস্থা?
Created: 1 week ago
A
জাইকা
B
ইউএনডিপি
C
বিশ্বব্যাংক
D
আইএমএফ
বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম হলো দেশের উন্নয়ন সহযোগী এবং দাতাদের নিয়ে গঠিত একটি সংগঠন। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। ফোরামের সমন্বয়কারী সংস্থা হিসেবে কাজ করে বিশ্বব্যাংক। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এর নাম ছিলো বাংলাদেশ এইড গ্রুপ।
পরে ১৯৯৭ সালে এর নাম পরিবর্তন হয়ে ‘প্যারিস কনসোর্টিয়াম গ্রুপ’ রাখা হয় এবং ২০০২ সালে এটি ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম’ নামে পরিচিতি লাভ করে। প্রথম দিকে এই ফোরামের বৈঠক প্যারিসে আয়োজিত হতো, তবে ২০০৩ সাল থেকে নিয়মিতভাবে ঢাকায় বৈঠক করা হয়।
উৎস: ইআরডি ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 week ago