নিকারাগুয়ায় যে বিদ্রোহীদের যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে তার নাম-
A
ইউনিটা
B
সান্ডিনিস্টা
C
কন্ট্রা
D
সোয়াপো
উত্তরের বিবরণ
• নিকারাগুয়ায় যে বিদ্রোহীদের যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে তার নাম- 'কন্ট্রা'।
• কনট্রাগুলি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত ও অনুপ্রেরিত ডানপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠী যা ১৯৯৯ থেকে ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে নিকারাগুয়ায় জাতীয় পুনর্গঠন সরকারের সমাজতান্ত্রিক সান্দিনিস্তা জান্তার বিরোধিতা করে সক্রিয় ছিল।
- ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অস্ত্রভর্তি বিমান ইসরায়েল হয়ে ইরানের একটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
- অস্ত্র বিক্রির সম্পূর্ণ টাকা নিকারাগুয়ার কমিউনিস্ট সরকারে পতনের জন্য গড়ে উঠা কন্ট্রা বিদ্রোহী গ্রুপকে সাহায্য হিসেবে প্রদান করা হয়।
• নিকারাগুয়া:
- নিকারাগুয়া মধ্য আমেরিকার একটি দেশ।
- এটি মধ্য আমেরিকার বৃহত্তম দেশ।
- ১৮২১ সালে স্পেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
- দেশটির সবচেয়ে বিখ্যাত আগ্নেয়গিরি হল মাসায়া।
- মার্কিন হস্তক্ষেপ:
বিংশ শতাব্দীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহুবার নিকারাগুয়ার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। বিশেষত ১৯৮০-এর দশকে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কন্ট্রা বিদ্রোহীদের সমর্থন করেছিল যারা স্যান্ডিনিস্টা সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করছিল।
উৎস: Encyclopedia Britannica, ব্রিটানিকা।

0
Updated: 4 months ago
বাংলায় ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে প্রথম এসেছিল-
Created: 4 months ago
A
ইংরেজরা
B
ওলন্দাজরা
C
ফরাসিরা
D
পর্তুগিজরা
• বাংলায় ইউরোপীয় বণিকেদের মধ্যে,
- পর্তুগিজরাই প্রথম বাংলায় আগমন করে।
- পনেরো শতকের শুরু থেকেই তারা বাণিজ্যের জন্য দুঃসাহসিক সমুদ্রযাত্রা শুরু করে।
- ১৪৯৮ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে ভাস্কো ডা গামার কালিকটে পৌঁছার কয়েক দশক পরে বাংলায় পর্তুগিজদের আগমন ঘটে।
- প্রথম আগত ইউরোপীয়ান বাণিজ্যিক দল হলেও তাদের অপকর্ম ও দস্যুতার কারণে বাংলার সুবেদার শায়েস্তা খান পর্তুগিজদের চট্টগ্রাম ও সন্দ্বীপের ঘাঁটি দখল করে, তাদের বাংলা থেকে বিতাড়িত করেন।
- তাছাড়া পর্তুগিজরা এদেশে আগত ইউরোপীয় অন্যন্য শক্তির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরাজিত হয়ে এদেশ ত্যাগে বাধ্য হয়।
পর্তুগীজদের নিয়ে আরো কিছু তথ্য:
• পর্তুগালের অধিবাসীরা পর্তুগিজ বা ফিরিঙ্গি নামে পরিচিত।
• ইউরোপীয়দের মধ্যে পর্তুগিজরাই প্রথম বাংলায় আগমন করে।
• আলবুকার্ক উপমহাদেশে পর্তুগিজ-শক্তির প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
• উপমহাদেশে আগমন- ১৪৯৮
• বাংলায় আগমন- ১৫১৬ ( হুগলি )
• বাংলায় প্রথম কুঠি-১৫১৭ ( হুগলি )
• বাংলা ত্যাগ-১৬৬৬ চট্রগ্রাম থেকে
• ভারত ত্যাগ-১৯৬১ গয়া থেকে।
-------------------------
বাংলায় ইউরোপীয়দের আগমন:
- হল্যান্ডের অধিবাসীদের ওলন্দাজ বা ডাচ বলা হয়।
- তারা ‘ডাচ ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানি' গঠন করে বাণিজ্যের উদ্দেশে ১৬০২ খ্রিস্টাব্দে উপমহাদেশে আসে।
- ১৭৫৯ খ্রিস্টাব্দে ওলন্দাজরা বিদরার যুদ্ধে ইংরেজদের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। ফলে ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে শেষ পর্যন্ত সকল বাণিজ্যকেন্দ্র গুটিয়ে তারা এদেশ ত্যাগে বাধ্য হয়।
- ওলন্দাজদের মতোই দিনেমার বা ডেনমার্কের অধিবাসী একদল বণিক বাণিজ্য করার জন্য ‘ডেনিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠন করে।
- এদেশে লাভজনক ব্যবসা করতে ব্যর্থ হয়ে ১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দে বাণিজ্যিক সফলতা ছাড়াই দিনেমাররা এদেশ ত্যাগ করে।
- ইউরোপীয়দের মধ্যে সবার শেষে আসেন ফরাসিরা।
• ইংরেজরা বাংলায় আগমন-১৬০০ সালে।
• ফরাসিরা বাংলায় আগমন-১৬৭৪ সালে।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, নবম দশম শ্রেণি ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 4 months ago
'ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান' কোন দেশে অবস্থিত?
Created: 4 months ago
A
ইরান
B
ইরাক
C
মিশর
D
সিরিয়া
• ‘ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান’:
- বর্তমান ইরাকে অবস্থিত ‘ — ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান’।
- এটি পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি।
- খ্রিস্টপূর্ব ৭ম শতকে নব্য ব্যাবিলনীয় সভ্যতার সময় — রাজা নেবুচাদনেজার তার রাণীর সন্তুষ্টির জন্যে এটি নির্মাণ করেন।
- ব্যাবিলন নগরের দেয়ালের উপর মনোরম এই বাগানটি তৈরি করা হয়।
- ৫১৪ খ্রিস্টাব্দে পার্শ্ববর্তী পারস্য রাজ্যের সাথে এক ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এ সুন্দর উদ্যানটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়।
• ব্যাবিলনীয় সভ্যতা:
- পৃথিবীতে প্রথম লিখিত আইনের উদ্ভব হয় এই সভ্যতার সময়ে।
- ব্যাবিলনীয় সভ্যতার সবচেয়ে বড় অবদান হল — আইন প্রণয়ন ও সংকলন।
- পৃথিবীর প্রাচীনতম মানচিত্র পাওয়া গিয়েছে ব্যাবিলনের উত্তরে — গাথুর শহরে।
- এটি ছিল ভ্রমণকারীদের পথনির্দেশক মানচিত্র।
- পৃথিবীর প্রথম লিখিত আইন প্রণেতা যা — "Code of Hammurabi' নামে পরিচিত।
- এটি থেকে ধারনা করা হয় — পৃথিবীর আদি মানচিত্র ব্যাবিলনীয়রা অঙ্কন করেছিলো।
- জ্যোতির্বিদ্যার উন্নয়ন ঘটিয়ে চাঁদ পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যাবিলনীয়রা চন্দ্রপঞ্জিকা তৈরি করেছিল।
- যদিও আধুনিক ও পূর্ণাঙ্গ মানচিত্র গ্রীকরা প্রথম অঙ্কন করে।
- হাম্বুরাবির মৃত্যুর পর ব্যবলনীয় সভ্যতা তার প্রভাবের সাথে খুব বেশী দিন টিকতে পারে নি।
উৎস: উচ্চ মাধ্যমিক ইসলামের ইতিহাস, প্রথমপত্র, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটানিকা।

0
Updated: 4 months ago
কার নেতৃত্বে কৈবর্ত বিদ্রোহ সংঘটিত হয়?
Created: 4 weeks ago
A
রুদ্র
B
মহীপাল
C
দিব্যক
D
হর্ষ
কৈবর্ত বিদ্রোহ
-
নেতৃত্বে: দিব্যক (দিব্য)
-
অন্য নাম: বরেন্দ্র বিদ্রোহ
-
ঘটনার সময়: প্রায় ১০৭৫–১০৮০ খ্রিষ্টাব্দ
-
সময়কালীন পাল রাজা: দ্বিতীয় মহীপাল
বিদ্রোহের কারণ ও সূত্রপাত
-
দিব্য প্রথমে পালদের একজন রাজকর্মচারী বা সামন্ত ছিলেন।
-
তিনি জেলে সম্প্রদায় (কৈবর্ত) থেকে শক্তিশালী বাহিনী গঠন করেন।
-
উদ্দেশ্য: বরেন্দ্র অঞ্চলে নিজেদের স্বতন্ত্র সার্বভৌমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
ফলাফল
-
কৈবর্তরা স্বল্প সময়ের জন্য বরেন্দ্র ভূমিতে রাজত্ব স্থাপন করতে সক্ষম হয়।
-
১০৮২ খ্রিষ্টাব্দে:
-
মহীপালের ভাই রামপাল
-
সামন্তদের সাহায্য নিয়ে
-
কৈবর্ত শাসক ভীমকে পরাজিত ও হত্যা করেন
-
বরেন্দ্র অঞ্চলে পাল শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা
-
উল্লেখযোগ্য তথ্য
-
পাল শাসকদের সমসাময়িক সমতট অঞ্চলে (কুমিল্লা ও বিক্রমপুর)
-
স্বাধীনভাবে শাসনকারী রাজবংশ: খড়গ, দেব, চন্দ্র, বর্ম
-

0
Updated: 4 weeks ago