'সুনামী' কোথায় উৎপত্তি লাভ করে?
A
নদীতে
B
সমুদ্রে
C
স্থলভাগে
D
বায়ুমন্ডলে
উত্তরের বিবরণ
সুনামি (Tsunami) হলো সমুদ্র বা মহাসাগরের তলদেশে হঠাৎ ঘটে যাওয়া ভূমিকম্প, ভূমিধস বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুত্পাতের ফলে সৃষ্ট একধরনের বিশাল জলোচ্ছ্বাস। এটি দ্রুত গতিতে সমুদ্র পৃষ্ঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং উপকূলীয় এলাকায় পৌঁছে প্রবল বন্যার মতো ধ্বংসাত্মক প্রভাব সৃষ্টি করে।
তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
উৎপত্তি কারণ: প্রধানত সমুদ্রতলের ভূমিকম্প, ভূমিধস, বা আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ থেকে উৎপন্ন শক্তির কারণে।
-
প্রকৃতি: সৃষ্ট ঢেউগুলো প্রথমে সমুদ্রে তেমন দৃশ্যমান না হলেও উপকূলের অগভীর জলে পৌঁছে তা অত্যন্ত উচ্চ ও শক্তিশালী ঢেউয়ে রূপ নেয়।
-
প্রভাব: উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল জলোচ্ছ্বাস, বন্যা ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়।
-
অর্থ: জাপানি শব্দ “Tsu” (বন্দর) এবং “Nami” (ঢেউ) থেকে এসেছে, অর্থাৎ “বন্দরের ঢেউ”।

0
Updated: 3 days ago
'সিয়াল' কোথায় অবস্থিত?
Created: 3 days ago
A
পৃথিবীর উপরিভাগে
B
পৃথিবীর কেন্দ্রে
C
পৃথিবীর মধ্যভাগে
D
পাহাড়ের তলদেশে
সিয়াল (Sial) হলো পৃথিবীর ভূত্বকের উপরের স্তর, যা মূলত পৃথিবীর উপরিভাগে অবস্থিত। এই স্তরটি সিলিকা (Silicon) এবং অ্যালুমিনিয়াম (Aluminium) সমৃদ্ধ শিলা দ্বারা গঠিত, তাই এর নাম এসেছে "Si + Al" থেকে।
-
এটি মূলত মহাদেশীয় ভূত্বকের প্রধান উপাদান।
-
সিয়াল স্তর তুলনামূলকভাবে হালকা ও কম ঘনত্বযুক্ত, ফলে এটি সমুদ্রতলীয় অংশের তুলনায় উপরে অবস্থান করে।
-
এই স্তরের প্রধান শিলা হলো গ্রানাইট, যা ভূত্বকের গঠন ও স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 3 days ago
পেরিহেলিয়ন (Perihelion) বলতে কি বোঝায়?
Created: 3 days ago
A
মৌসুমের পরিবর্তন
B
সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ দূরত্ব
C
সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে সর্বনিম্ন দূরত্ব
D
সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে সমান দূরত্ব
বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে পৌঁছায়, যাকে বলা হয় পেরিহেলিয়ন (Perihelion)। এটি পৃথিবীর কক্ষপথের এমন একটি বিন্দু যেখানে সূর্যের সাথে পৃথিবীর দূরত্ব সর্বনিম্ন থাকে।
তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
সংজ্ঞা: কোনো গ্রহের কক্ষপথে সূর্যের নিকটতম বিন্দুকে পেরিহেলিয়ন (Perihelion) বলা হয়।
-
পৃথিবীর ক্ষেত্রে: প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে, পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসে—এটাই পেরিহেলিয়ন দিন।
-
অবস্থান: এই সময়ে পৃথিবী ও সূর্যের দূরত্ব প্রায় ১৪৭ মিলিয়ন কিলোমিটার (৯১.৪ মিলিয়ন মাইল)।
-
গুরুত্ব: পেরিহেলিয়নের কারণে সূর্য থেকে পৃথিবীতে প্রাপ্ত শক্তি কিছুটা বৃদ্ধি পায়, যদিও মৌসুম নির্ভর করে পৃথিবীর অক্ষীয় হেলন (axial tilt)-এর উপর, দূরত্বের উপর নয়।

0
Updated: 3 days ago
ভূ-তাত্ত্বিক সময়পুঞ্জী অনুসারে পৃথিবীর বয়স কত বছর?
Created: 3 days ago
A
২.৫ বিলিয়ন বছর
B
৩.৫ বিলিয়ন বছর
C
৪.৫ বিলিয়ন বছর
D
৫.৫ বিলিয়ন বছর
ভূ-তাত্ত্বিক সময়পুঞ্জী (Geologic Time Scale) অনুযায়ী পৃথিবীর বয়স আনুমানিক ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর (৪,৫৪০ মিলিয়ন বছর) বা প্রায় ৪.৫৪ × ১০⁹ বছর। এই হিসাব মূলত পৃথিবীর শিলা, খনিজ এবং উল্কাপিণ্ডের রেডিওমেট্রিক ডেটিং বিশ্লেষণের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে।
তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
বয়স: প্রায় ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর (৪,৫৪০ মিলিয়ন বছর)।
-
উৎস: শিলা ও উল্কাপিণ্ডের রেডিওঅ্যাকটিভ আইসোটোপ বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে।
-
ভূ-তাত্ত্বিক সময়পুঞ্জী অনুসারে: পৃথিবীর ইতিহাসকে বিভিন্ন ইয়ন, যুগ, কাল ও পর্বে বিভক্ত করা হয়েছে, যেমন — প্রাক-ক্যামব্রিয়ান ইয়ন, প্যালিওজোয়িক, মেসোজোয়িক ও সিনোজোয়িক যুগ।
-
গুরুত্ব: এই সময়পুঞ্জী পৃথিবীর গঠন, জীববিবর্তন ও ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনসমূহ বোঝার জন্য একটি বৈজ্ঞানিক কাঠামো প্রদান করে।

0
Updated: 3 days ago