পৃথিবীর প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে সময়ের পার্থক্য কত?
A
২৪ ঘন্টা
B
১২ ঘন্টা
C
৬ ঘন্টা
D
৬ ঘন্টা ৪৮ মিনিট
উত্তরের বিবরণ
প্রতিপাদ স্থান হলো পৃথিবীর এমন দুটি স্থান, যা একে অপরের ঠিক বিপরীতে অবস্থিত থাকে এবং যাদের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর কেন্দ্র অতিক্রম করে একটি কাল্পনিক সরলরেখা আঁকা যায়। এদের মধ্যে দ্রাঘিমার পার্থক্য সর্বদা ১৮০° হয়, যার ফলে সময়ের পার্থক্যও নির্দিষ্টভাবে নির্ধারিত থাকে।
তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
প্রতিপাদ স্থান: একটি স্থান এবং তার ঠিক বিপরীত দিকে অবস্থিত স্থানকে প্রতিপাদ স্থান বলে।
-
দ্রাঘিমার পার্থক্য: প্রতিপাদ স্থান দুটির মধ্যে দ্রাঘিমার পার্থক্য ১৮০°।
-
সময় গণনা:
-
১° দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট।
-
সুতরাং, ১৮০° দ্রাঘিমার পার্থক্যের কারণে সময়ের পার্থক্য হয় ১৮০ × ৪ = ৭২০ মিনিট।
-
৭২০ মিনিট = ১২ ঘণ্টা।
-
-
উপসংহার: পৃথিবীর যেকোনো দুটি প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে সময় পার্থক্য ১২ ঘণ্টা, কারণ তারা পরস্পরের বিপরীতে অবস্থিত এবং তাদের দ্রাঘিমার পার্থক্য ১৮০°।

0
Updated: 3 days ago
'সুনামী' কোথায় উৎপত্তি লাভ করে?
Created: 3 days ago
A
নদীতে
B
সমুদ্রে
C
স্থলভাগে
D
বায়ুমন্ডলে
সুনামি (Tsunami) হলো সমুদ্র বা মহাসাগরের তলদেশে হঠাৎ ঘটে যাওয়া ভূমিকম্প, ভূমিধস বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুত্পাতের ফলে সৃষ্ট একধরনের বিশাল জলোচ্ছ্বাস। এটি দ্রুত গতিতে সমুদ্র পৃষ্ঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং উপকূলীয় এলাকায় পৌঁছে প্রবল বন্যার মতো ধ্বংসাত্মক প্রভাব সৃষ্টি করে।
তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
উৎপত্তি কারণ: প্রধানত সমুদ্রতলের ভূমিকম্প, ভূমিধস, বা আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ থেকে উৎপন্ন শক্তির কারণে।
-
প্রকৃতি: সৃষ্ট ঢেউগুলো প্রথমে সমুদ্রে তেমন দৃশ্যমান না হলেও উপকূলের অগভীর জলে পৌঁছে তা অত্যন্ত উচ্চ ও শক্তিশালী ঢেউয়ে রূপ নেয়।
-
প্রভাব: উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল জলোচ্ছ্বাস, বন্যা ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়।
-
অর্থ: জাপানি শব্দ “Tsu” (বন্দর) এবং “Nami” (ঢেউ) থেকে এসেছে, অর্থাৎ “বন্দরের ঢেউ”।

0
Updated: 3 days ago
পেরিহেলিয়ন (Perihelion) বলতে কি বোঝায়?
Created: 3 days ago
A
মৌসুমের পরিবর্তন
B
সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ দূরত্ব
C
সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে সর্বনিম্ন দূরত্ব
D
সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে সমান দূরত্ব
বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে পৌঁছায়, যাকে বলা হয় পেরিহেলিয়ন (Perihelion)। এটি পৃথিবীর কক্ষপথের এমন একটি বিন্দু যেখানে সূর্যের সাথে পৃথিবীর দূরত্ব সর্বনিম্ন থাকে।
তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
সংজ্ঞা: কোনো গ্রহের কক্ষপথে সূর্যের নিকটতম বিন্দুকে পেরিহেলিয়ন (Perihelion) বলা হয়।
-
পৃথিবীর ক্ষেত্রে: প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে, পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসে—এটাই পেরিহেলিয়ন দিন।
-
অবস্থান: এই সময়ে পৃথিবী ও সূর্যের দূরত্ব প্রায় ১৪৭ মিলিয়ন কিলোমিটার (৯১.৪ মিলিয়ন মাইল)।
-
গুরুত্ব: পেরিহেলিয়নের কারণে সূর্য থেকে পৃথিবীতে প্রাপ্ত শক্তি কিছুটা বৃদ্ধি পায়, যদিও মৌসুম নির্ভর করে পৃথিবীর অক্ষীয় হেলন (axial tilt)-এর উপর, দূরত্বের উপর নয়।

0
Updated: 3 days ago
পৃথিবীর ব্যাসার্ধ কত?
Created: 3 days ago
A
৬,৩৫০ কি:মি
B
৬,২৫০ কি:মি
C
৬,৪২৫ কি:মি
D
৬,৩৭১ কি:মি
পৃথিবী সম্পূর্ণ গোল নয়, বরং কিছুটা চাপা বা অবলেট স্ফেরয়েড (Oblate Spheroid) আকৃতির। এর ব্যাসার্ধ বিভিন্ন স্থানে সামান্য ভিন্নতা দেখা যায়।
তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
উত্তর/দক্ষিণ ধ্রুবীয় ব্যাসার্ধ (Polar radius): প্রায় 6,357 কিলোমিটার
-
বিষুবীয় ব্যাসার্ধ (Equatorial radius): প্রায় 6,378 কিলোমিটার
-
গড় ব্যাসার্ধ (Mean radius): আনুমানিক 6,371 কিলোমিটার
এই পার্থক্যের কারণেই পৃথিবী বিষুবরেখার দিকে কিছুটা ফুলে আছে এবং ধ্রুব অঞ্চলে সামান্য চাপা।

0
Updated: 3 days ago