জোয়ার এবং ভাটার মধ্যে সময়ের পার্থক্য কত?
A
৬ ঘন্টা ১৩ মিনিট
B
৬ ঘন্টা ৪৮ মিনিট
C
৬ ঘন্টা ৪৭ মিনিট
D
৬ ঘন্টা ১৮ মিনিট
উত্তরের বিবরণ
জোয়ার ও ভাটা হলো সমুদ্রের পানির নিয়মিত ওঠানামা, যা মূলত চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষীয় আকর্ষণের ফলে ঘটে। এই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট সময় অন্তর পানি উঁচু হয়ে জোয়ার এবং নিচু হয়ে ভাটা সৃষ্টি হয়।
তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
একটি জোয়ার ও একটি ভাটার মধ্যে সময়ের ব্যবধান: প্রায় ৬ ঘন্টা ১৩ মিনিট।
-
দুটি মুখ্য জোয়ারের মধ্যে সময়ের ব্যবধান: প্রায় ২৪ ঘন্টা ৫২ মিনিট।
-
একটি মুখ্য জোয়ার ও একটি গৌণ জোয়ারের মধ্যে সময়ের ব্যবধান: প্রায় ১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট।
-
অতিরিক্ত তথ্য: একটি মুখ্য জোয়ারের প্রায় ৬ ঘন্টা ১৩ মিনিট পরে ভাটা এবং ১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট পরে গৌণ জোয়ার দেখা যায়।
এই প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা পৃথিবীর ঘূর্ণন ও চাঁদের অবস্থান পরিবর্তনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।

0
Updated: 3 days ago
মরা কটাল কখন হয়?
Created: 1 month ago
A
পঞ্চমীতে
B
অষ্টমীতে
C
নবমীতে
D
একাদশীতে
মরা কটাল বা Neap Tide হলো এমন এক ধরনের জোয়ার যখন সূর্য ও চন্দ্র পৃথিবীর সাথে সমকোণ তৈরি করে। এই অবস্থায় উভয়ের আকর্ষণ একে অপরকে প্রতিহত করায় পানির উত্থান কম হয় এবং স্বাভাবিকের তুলনায় দুর্বল জোয়ার দেখা যায়।
-
অষ্টমী ও একবিংশ তিথিতে চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর সাথে প্রায় ৯০ ডিগ্রি কোণে অবস্থান করে, ফলে তারা সমান্তরাল থাকে না।
-
এ সময় চন্দ্রের আকর্ষণে যেখানে জোয়ার সৃষ্টি হয়, সেখানে সূর্যের বিপরীতমুখী আকর্ষণে ভাটা দেখা যায়।
-
সূর্যের বিপরীত আকর্ষণ চন্দ্রের দিকে পানির উঁচু হওয়া বা স্ফীত হওয়া কমিয়ে দেয়, তাই জোয়ারের তীব্রতা কম হয়।
-
এই দুর্বল জোয়ারকেই মরা জোয়ার বা মরা কটাল (Neap Tide) বলা হয়।
-
সাধারণত অষ্টমী ও একবিংশ তিথিতেই মরা কটাল দেখা যায়।

0
Updated: 1 month ago
প্রত্যেক জোয়ারের কত সময় পর ভাটার সৃষ্টি হয়?
Created: 3 weeks ago
A
৬ ঘন্টা ১৩ মি
B
৬ ঘন্টা ৫২ মি
C
৮ ঘন্টা ৫২ মি
D
৮ ঘন্টা ১৩ মি
জোয়ার-ভাটা হলো সমুদ্রের পানির উচ্চতা নির্দিষ্ট সময় অন্তর বৃদ্ধি ও হ্রাস পাওয়া। চন্দ্র ও সূর্যের মহাকর্ষণ শক্তি এবং পৃথিবীর কেন্দ্রাতিক শক্তি প্রভাবিত করে সমুদ্রের পানি ফুলে ওঠে এবং আবার নেমে আসে। সমুদ্রের পানি ফুলে ওঠাকে জোয়ার (High Tide) এবং নেমে যাওয়া কে ভাটা (Ebb বা Low Tide) বলা হয়। প্রতি ১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট পরপর এই ঘটনা ঘটে, অর্থাৎ একই স্থানে প্রতিদিন দু'বার জোয়ার ও দু'বার ভাটা হয়।
-
জোয়ার-ভাঁটার সময়:
-
পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ২৪ ঘন্টায় একবার নিজ অক্ষের চারপাশে ঘোরে।
-
চন্দ্রও পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরে এবং পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করে।
-
যদি চন্দ্র স্থির থাকত, তাহলে প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা অন্তর মুখ্য জোয়ার ঘটত।
-
চন্দ্র ৩১.৫ দিনে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে, তাই একদিনে কক্ষপথের প্রায় ১৩° অগ্রসর হয়।
-
ভূ-পৃষ্ঠের কোণ পুনরায় চাঁদের ঠিক নিচে আসতে এই ১৩° পথ অগ্রসর হওয়ার জন্য ৫২ মিনিট অতিরিক্ত সময় লাগে।
-
তাই যে স্থানে আজ মুখ্য জোয়ার হলো, আগামীদিনে সেটি প্রায় ২৪ ঘন্টা ৫২ মিনিট পরে আসে।
-
এক মুখ্য জোয়ার চলে যাবার ১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট পরে গৌণ জোয়ার ঘটে।
-
প্রতিটি জোয়ারের প্রায় ৬ ঘন্টা ১৩ মিনিট পরে সেই স্থানে ভাটা হয়।
-
-
জোয়ার-ভাঁটার কারণ:
-
চন্দ্র ও সূর্যের মহাকর্ষণ শক্তি।
-
পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রাতিগ শক্তি।
-

0
Updated: 3 weeks ago