শৈলশিরা' কি?
A
একপ্রকার জলোচ্ছ্বাস
B
সমুদ্রস্রোত
C
প্রাকৃতিক দূর্যোগ
D
সমুদ্র তলদেশের ভূমিরূপ
উত্তরের বিবরণ
শৈলশিরা (Mountain Range) হলো স্থলভাগের একধরনের ভূমিরূপ, যেখানে একাধিক পর্বত সারিবদ্ধভাবে বিস্তৃত থাকে। তবে একই ধরনের গঠন সমুদ্রের তলদেশেও বিদ্যমান, যাকে বলা হয় — সমুদ্রতল শৈলশিরা (Mid-Ocean Ridge)।
-
সংজ্ঞা: সমুদ্রতল শৈলশিরা হলো সমুদ্রের নিচে অবস্থিত দীর্ঘ, সর্পিলাকার পর্বতশ্রেণী, যা পৃথিবীর বিভিন্ন মহাসাগরের তলদেশে হাজার হাজার কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত।
-
উৎপত্তি: এটি গঠিত হয় টেকটোনিক প্লেটের সীমানায় (divergent plate boundary), যেখানে প্লেটগুলো একে অপরের থেকে দূরে সরে যাওয়ার সময় ম্যাগমা নির্গত হয়ে নতুন ভূত্বক সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ:
-
মিড-অ্যাটলান্টিক রিজ (Mid-Atlantic Ridge) — আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝখানে অবস্থিত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রতল শৈলশিরা।
-
ইস্ট প্যাসিফিক রাইজ (East Pacific Rise) — প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শৈলশিরা।
-
গুরুত্ব: সমুদ্রতল শৈলশিরা হলো নতুন সমুদ্রভূত্বক গঠনের কেন্দ্র, যা পৃথিবীর প্লেট টেকটনিক ও ভূত্বক পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 3 days ago
বালিয়াড়ি কি?
Created: 3 days ago
A
ক্ষয়জাত ভমিরূপ
B
সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ
C
সমুদ্রস্রোত
D
মরুভূমির ঝড়
বালিয়াড়ি হলো এমন একটি ভূমিরূপ, যেখানে বাতাসের সঙ্গে উড়ে আসা বালিকণা স্তূপাকারে জমে ঢিবি আকৃতি ধারণ করে। এটি মূলত শুষ্ক বা বালুকাময় অঞ্চলে গঠিত হয় এবং বায়ুর সঞ্চয়কার্য এর সৃষ্টি করে।
তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
উৎপত্তি: প্রবল বায়ু যখন বালি বহন করে নিয়ে যায় এবং কোনো বাধার মুখে পড়ে, তখন বালির গতি কমে যায় ও ধীরে ধীরে বালি স্তূপাকারে জমা হতে শুরু করে।
-
সঞ্চয় প্রক্রিয়া: বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে বহন করা বালু নির্দিষ্ট স্থানে সঞ্চিত হয়ে বালিয়াড়ির সৃষ্টি করে।
-
অবস্থান: এটি সাধারণত মরুভূমি, সমুদ্রতট ও নদীতীরবর্তী বালুকাময় অঞ্চলে দেখা যায়।
-
বৈশিষ্ট্য: বালিয়াড়িগুলো আকারে ঢেউয়ের মতো উঁচু-নিচু বালির স্তূপ, যা বাতাসের দিক ও শক্তির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।

0
Updated: 3 days ago