বাংলাদেশের সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতা নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত?
A
১৫
B
২৭
C
৩৭
D
৩৯
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান
বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ নং অনুচ্ছেদে চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতা নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত।
⇒ ৩৯ নং অনুচ্ছেদ:
- (১) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হলো।
- (২) রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ সংগঠনের প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে
(ক) প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের, এবং
(খ) সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হলো।
অন্যদিকে,
- বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম ভাগে ১৫ নং অনুচ্ছেদে 'মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা' সম্পর্কে বলা হয়েছে।
- বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।
- বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৭ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে সমাবেশের স্বাধীনতা। ৩৭ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বিধিনিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হওয়ার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান।
0
Updated: 3 months ago
বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকের 'চলাফেরার স্বাধীনতার' অধিকার কোন অনুচ্ছেদের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে?
Created: 3 weeks ago
A
৩৮ নং অনুচ্ছেদ
B
৩৬ নং অনুচ্ছেদ
C
৩৭ নং অনুচ্ছেদ
D
৩৪ নং অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারসমূহ সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, যার উদ্দেশ্য ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মানবিক মর্যাদা রক্ষা করা। এর মধ্যে ৩৬ অনুচ্ছেদ চলাফেরার স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা করে, যা নাগরিক অধিকারের একটি মৌলিক দিক।
মূল তথ্যসমূহ:
-
অনুচ্ছেদ ৩৬: চলাফেরার স্বাধীনতা
-
জনস্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার থাকবে—
-
বাংলাদেশের সর্বত্র অবাধে চলাফেরা করতে,
-
ইহার যে কোনো স্থানে বসবাস ও বসতিস্থাপন করতে,
-
বাংলাদেশ ত্যাগ ও পুনরায় বাংলাদেশে প্রবেশ করতে।
-
-
অর্থাৎ, নাগরিকরা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে চলাফেরা ও বসবাসের পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবেন, তবে প্রয়োজনে জনস্বার্থে আইন দ্বারা এ স্বাধীনতার উপর যুক্তিসঙ্গত সীমাবদ্ধতা আরোপ করা যেতে পারে।
-
সংবিধানের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ:
-
অনুচ্ছেদ ৩৪: জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধকরণ।
-
অনুচ্ছেদ ৩৭: সমাবেশের স্বাধীনতা।
-
অনুচ্ছেদ ৩৮: সংগঠনের স্বাধীনতা।
0
Updated: 3 weeks ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতা নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত?
Created: 3 months ago
A
১৫
B
২৭
C
৩৭
D
৩৯
বাংলাদেশের সংবিধান:
- বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ নং অনুচ্ছেদে চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতা নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত।
⇒ ৩৯ নং অনুচ্ছেদ:
- (১) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হলো।
- (২) রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ সংগঠনের প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে
(ক) প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের, এবং
(খ) সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হলো।
অন্যদিকে,
- বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম ভাগে ১৫ নং অনুচ্ছেদে 'মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা' সম্পর্কে বলা হয়েছে।
- বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।
- বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৭ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে সমাবেশের স্বাধীনতা। ৩৭ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বিধিনিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হওয়ার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান।
0
Updated: 3 months ago
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির একমাত্র নারী সদস্য কে ছিলেন?
Created: 3 weeks ago
A
সাজেদা চৌধুরী
B
নুরজাহান মোর্শেদ
C
রাফিয়া আক্তার ডলি
D
রাজিয়া বানু
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া ও সদস্যঃ
→ খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি ১১ এপ্রিল, ১৯৭২ সালে গঠিত হয়েছিল।
→ কমিটিতে মোট ৩৪ জন সদস্য ছিলেন।
→ আওয়ামী লীগ থেকে ছাড়া একমাত্র সদস্য ছিলেন ন্যাপের সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
→ কমিটির প্রধান বা সভাপতি ছিলেন ড. কামাল হোসেন।
→ সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন বেগম রাজিয়া বানু, যিনি নারী নেতৃত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।
→ ১৯৭২ সালের ১১ অক্টোবর কমিটি সংবিধানের চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়ন করেন।
→ চূড়ান্ত খসড়া ড. কামাল হোসেন, কমিটির সভাপতি এবং দেশের তখনকার আইনমন্ত্রী, ১২ অক্টোবর গণপরিষদে পেশ করেন।
→ গণপরিষদ ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর খসড়াটি গ্রহণ করে এবং ১৬ ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর হয়।
এই প্রক্রিয়ায় দেখা যায় যে বেগম রাজিয়া বানুর অংশগ্রহণ নারীর রাজনৈতিক নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
0
Updated: 3 weeks ago