A
মহাস্থানগড়
B
পাহাড়পুর
C
ময়নামতি
D
উয়ারীবটেশ্বর
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের প্রাচীনতম জনপদ: পুণ্ড্র এবং এর রাজধানী মহাস্থানগড়
পুণ্ড্র ছিল বাংলাদেশের প্রাচীনতম জনপদগুলোর মধ্যে একটি। খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে মহাস্থান ব্রাহ্মী লিপিতে যাকে পুদনগল বা পুণ্ড্র নগর বলা হয়েছে, সেটি বর্তমান বগুড়া অঞ্চলের সঙ্গে মিল রয়েছে।
ইতিহাসবিদ ড. নীহাররঞ্জন রায় বলেন, দশম শতক থেকে এই এলাকার আরেক নাম ছিল বরেন্দ্র বা বরেন্দ্রী, যা পুণ্ড্রবর্ধনের অংশ ছিল। মধ্যযুগে মুসলিম ঐতিহাসিকরা বরেন্দ্রকে বরীন্দ্র নামে ডাকতেন।
পুণ্ড্র জনপদের অঞ্চলটি ছিল বর্তমান বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার আশেপাশের এলাকা। এ জনপদের রাজধানী ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর, যা এখন মহাস্থানগড় নামে পরিচিত। করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত এই স্থানটি বগুড়া শহরের কাছাকাছি। সম্ভবত মৌর্য সম্রাট অশোকের সময় পুণ্ড্র রাজ্যের স্বাধীনতা কমে যায়। পরে গুপ্ত যুগে এটি গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রাদেশিক রাজধানী ছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে পুণ্ড্র ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ অঞ্চল।
মহাস্থানগড়
মহাস্থানগড় বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ পুরাকীর্তি। এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল ও সেন সাম্রাজ্যের অনেক নিদর্শন পাওয়া যায়। সেন বংশের শেষ শাসক লক্ষ্মণ সেন যখন গৌড়ের রাজা ছিলেন, তখন এই দুর্গটি রক্ষিত ছিল না।
১৮৭৯ সালে ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ আলেকজান্ডার কানিংহ্যাম প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন রাজ্যের এই ঐতিহাসিক স্থান আবিষ্কার করেন। মহাস্থানগড় বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরানো ঐতিহাসিক স্থান এবং ২০১৬ সালে এটি সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
অন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন স্থানগুলো
-
পাহাড়পুর বিহার:
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, যাকে সোমপুর বিহারও বলা হয়, পাল বংশের দ্বিতীয় শাসক শ্রী ধর্মপালের আমলে (৮ম থেকে ৯ম শতক) নির্মিত হয়। এখন এটি ধ্বংসপ্রাপ্ত। -
ময়নামতি:
ময়নামতি কুমিল্লায় অবস্থিত একটি প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান। সপ্তম থেকে অষ্টম শতকে দেববংশের রাজা শ্রীভবদেব এটি নির্মাণ করেন। -
উয়ারী-বটেশ্বর:
ঢাকা থেকে প্রায় ৭০-৭৫ কিলোমিটার দূরে নরসিংদীর বেলাব উপজেলায় অবস্থিত উয়ারী ও বটেশ্বর নামক দুই গ্রামে পাওয়া গেছে বাংলাদেশের প্রাচীনতম সভ্যতার নিদর্শন। এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলো প্রায় আড়াই হাজার বছর পুরানো। এ পর্যন্ত ৫০টির বেশি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন উদ্ধার করা হয়েছে, যার বেশিরভাগ মাটিচাপা রাখা হয়েছে।
উৎস: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 4 days ago
প্রাচীন বাংলার হরিকেল জনপদ অঞ্চলভুক্ত এলাকা-
Created: 3 days ago
A
রাজশাহী
B
দিনাজপুর
C
খুলনা
D
চট্টগ্রাম
হরিকেল
- হরিকেল জনপদের কথা প্রথম জানা যায় প্রথম শতকের চট্টগ্রামে প্রাপ্ত লিপিতে।
- চন্দ্রবংশীয় লিপিতেও হরিকেল রাজ্যের কথা আছে।
- হরিকেল জনপদ আধুনিক সিলেট থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত দুটি প্রাচীন গ্রন্থের পাণ্ডুলিপিতে হরিকোল (হরিকেল) ও বর্তমান সিলেট বিভাগ অভিন্ন উলিণ্ঢখিত হয়েছে।
- বাংলাদেশের প্রাচীন জনপদগুলোর সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে এ কথা বলা যায় যে, জনপদগুলোর নির্দিষ্ট সীমারেখা নির্ণয় করা বা যুগে যুগে তাদের সীমার বিস্তার ও সংকোচনের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা দুরূহ কাজ।
- হরিকেল প্রাচীন পূর্ববঙ্গের একটি জনপদ।
তথ্যসূত্র - বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 3 days ago