নেপোলিয়ান 'টিলজিট' সন্ধি করেন-
A
রাশিয়ার সাথে
B
প্রুশিয়ার সাথে
C
ইংল্যান্ডের সাথে
D
অস্ট্রিয়ার সাথে
উত্তরের বিবরণ
নেপোলিয়ন ও রাশিয়ার জার আলেকজান্ডারের মধ্যে সম্পাদিত ‘টিলজিট সন্ধি’ ইউরোপীয় ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হিসেবে পরিচিত। এটি চতুর্থ জোট যুদ্ধের অবসান ঘটায় এবং ফরাসি আধিপত্যকে আরও সুদৃঢ় করে তোলে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
১৮০৭ সালের জুলাই মাসে, ফ্রান্সের সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ও রাশিয়ার জার আলেকজান্ডার প্রথম ‘টিলজিট শহরে’ এই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেন।
-
যুদ্ধের আগে ফ্রিডল্যান্ডের যুদ্ধে ফরাসিরা বিজয়ী হয়েছিল, যা এই সন্ধির পথ সুগম করে।
-
৭ জুলাই ১৮০৭, উভয় নেতা নেমান নদীর মাঝখানে একটি ভেলায় সাক্ষাৎ করেন এবং প্রথম চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
-
এই সন্ধি সাধারণভাবে ‘টিলজিটের শান্তি’ (Peace of Tilsit) নামে পরিচিত।
-
চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়া ফ্রান্সের মিত্রে পরিণত হয় এবং ইউরোপে নেপোলিয়নের প্রভাব বৃদ্ধি পায়।

0
Updated: 3 days ago
'ডকট্রিন অব ল্যাপস' ব্রিটিশদের
Created: 3 days ago
A
রাজ্য দখল নীতি
B
রাজ্য ফিরিয়ে দেয়ার নীতি
C
সুশাসন প্রতিষ্ঠার নীতি
D
ন্যায় বিচারের নীতি
‘ডকট্রিন অব ল্যাপস’ ছিল ব্রিটিশদের রাজ্য দখলের একটি নীতি, যার মাধ্যমে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটে। এই নীতি মূলত গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসী প্রয়োগ করেন।
‘ডকট্রিন অব ল্যাপস’ অর্থাৎ স্বত্ববিলোপ নীতির মাধ্যমে ব্রিটিশরা এমন রাজ্য দখল করত, যেখানে শাসকের কোনো জৈবিক উত্তরাধিকারী ছিল না।
-
ডালহৌসীর শাসনামলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ভারতে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়।
-
এই নীতি প্রয়োগ করে তিনি সাতারা, সম্বলপুর, উদয়পুর, ঝাঁসি ও নাগপুর রাজ্য দখল করেন।
-
তিনি আরও কর্ণাটক ও তাঞ্জোরের খেতাবসার সার্বভৌমত্ব বিলোপ করেন, কারণ এগুলোকে তিনি অকার্যকর বলে বিবেচনা করেছিলেন।
-
প্রাক্তন পেশোয়া দ্বিতীয় বাজি রাও মারা গেলে, তাঁর দত্তকপুত্র নানা সাহেবকে পেনশন দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানান, যা পরবর্তীতে অসন্তোষের জন্ম দেয়।

0
Updated: 3 days ago
বখতিয়ার খিলজী সম্পর্কে জানার উৎস-
Created: 4 days ago
A
তারিখ-ই-ফিরোজ শাহী
B
আইন ই আকবারি
C
তবকাত-ই-নাসিরি
D
রাজ তরঙ্গিলী
বাংলার প্রারম্ভিক মুসলিম শাসনের ইতিহাস বুঝতে মিনহাজ-উস-সিরাজের গ্রন্থটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে গণ্য হয়। এতে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের বিবরণ সংরক্ষিত আছে, যা ঐ সময়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা বোঝার ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক।
মিনহাজ-উস-সিরাজের "তবকাত-ই-নাসিরী" হলো বখতিয়ার খলজীর বিজয় (১২০৪ খ্রিস্টাব্দ) থেকে ১২৫৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলার ইতিহাসের একমাত্র নির্ভরযোগ্য উৎস।
-
এই সময়ের অন্য কিছু সমসাময়িক উৎস হিসেবে শিলালিপি ও মুদ্রা পাওয়া যায়।
-
গ্রন্থটির গুরুত্ব শুধু সমসাময়িকতার জন্য নয়, আরও দুটি কারণে তা মূল্যবান।
-
প্রথমত, মিনহাজ নিজে বাংলায় এসে প্রায় দুই বছর অবস্থান করেন এবং এখানকার ঘটনাবলি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে তাঁর রচনার জন্য তথ্য সংগ্রহ করেন।
-
তিনি বাংলার রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহেও প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন, যা তাঁর বর্ণনাকে বিশেষভাবে প্রামাণ্য করে তোলে।

0
Updated: 4 days ago
কোন্ গভর্নর জেনারেলকে ভারতে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের জনক বলা হয়?
Created: 3 days ago
A
লর্ড বেন্টিঙ্ক
B
লর্ড লিটন
C
লর্ড রিপন
D
লর্ড কার্জন
লর্ড রিপন স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর সংস্কারের মাধ্যমে জনগণকে স্থানীয় প্রশাসনে সম্পৃক্ত করার নতুন ধারা শুরু হয়।
১. ১৮৮২ সালে তিনি সরকার কর্তৃক মনোনীত সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত স্থানীয় সরকারের প্রচলিত ব্যবস্থা বাতিল করেন।
২. তাঁর ঘোষণায় বলা হয় যে, এই সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য ছিল জনগণকে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ও সম্পৃক্ত করা।
৩. অধিক দক্ষতা ও কার্যকারিতা অর্জনের লক্ষ্যে বড় বড় লোকাল বোর্ড ভেঙে ছোট ছোট প্রশাসনিক এলাকায় বিভক্ত করা হয়।
৪. স্থানীয় বিষয়ে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে মনোনয়নের পরিবর্তে নির্বাচন প্রথা চালু করা হয়।
৫. তবে ব্রিটিশ আমলারা এর বিরোধিতা করেন, কারণ তারা মনে করতেন ভারতীয়রা তখনও নির্বাচন প্রথার জন্য প্রস্তুত নয়।
৬. এই বিরোধিতার ফলে রিপন তাঁর প্রত্যাশিত নির্বাচনী আদর্শ সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেননি।
৭. তবুও গ্রামীণ ও শহুরে কমিটিতে নির্বাচিত ও মনোনীত উভয় ধরনের সদস্যই ছিলেন।
৮. রিপনের সর্বোচ্চ কৃতিত্ব হলো, তিনি প্রথমবারের মতো গ্রামীণ বোর্ডে নির্বাচন প্রথা চালু করেছিলেন।

0
Updated: 3 days ago