বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম ইউরোপীয় দেশ কোনটি?
A
যুক্তরাজ্য
B
পূর্ব জার্মানি
C
স্পেন
D
গ্রিস
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান
-
৬ ডিসেম্বর ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের পর প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভুটান, এবং দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ভারত।
-
১১ জানুয়ারি ১৯৭২: বিশ্বের তৃতীয় দেশ ও প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে পূর্ব জার্মানি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। একই দিন বুলগেরিয়া চতুর্থ দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
১২ জানুয়ারি ১৯৭২: পোল্যান্ড বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
-
৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২: যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২: ফ্রান্স স্বীকৃতি দেয়।
-
১২ মে ১৯৭২: স্পেন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া, প্রথম আলো, নিউইয়র্ক টাইমস

0
Updated: 3 days ago
ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রধানত-
Created: 3 weeks ago
A
দারিদ্র হ্রাস করে
B
ভিক্ষাবৃত্তি হ্রাস করে
C
নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করে
D
নারীর অংশগ্রহণ হ্রাস করে
ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে দরিদ্র মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য গোষ্ঠীভিত্তিক ঋণ প্রদানের একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হিসেবে শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম বর্তমানে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং এনজিও দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
-
ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম প্রথমে দরিদ্র মহিলাদের লক্ষ্য করে গোষ্ঠীভিত্তিক ঋণ প্রদানের মাধ্যমে আরম্ভ হয়।
-
বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), কর্মসংস্থান ব্যাংক, চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ৮০০-এর অধিক এনজিও দেশে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য:
-
উৎপাদনমুখী কর্মকান্ডে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি।
-
উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা।
-
নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা।
নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধিকে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বলা হয় কারণ:
-
গ্রামীণ অর্থনীতিতে ক্ষুদ্রঋণ মূলত নারীদের জন্য পরিচালিত হয়।
-
এই কার্যক্রম নারীর ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করে।
-
স্ব-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে নারীরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠে।
-
এর ফলে সমাজে নারীর দৃঢ় অবস্থান প্রতিষ্ঠা পায়।
সারসংক্ষেপে, ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা, তাদের আয়বর্ধক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করা এবং তৃণমূল পর্যায়ে নারীর জীবনমান উন্নয়ন ও স্বাবলম্বিতা নিশ্চিত করা।

0
Updated: 3 weeks ago
বাঙ্গালি উপভাষা অঞ্চল কোনটি?
Created: 1 month ago
A
নদীয়া
B
ত্রিপুরা
C
পুরুলিয়া
D
বরিশাল
বাংলা ভাষার আঞ্চলিক কথ্য রীতিতে অঞ্চলভেদে ভিন্নতা দেখা যায়, আর এই ভিন্নতাকেই উপভাষা বলা হয়। প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের উচ্চারণ ও ব্যবহারে পার্থক্য থাকলেও তা সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব।
তথ্যগুলো হলোঃ
-
বাঙ্গালি উপভাষা: বাংলাদেশের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ব্যবহৃত হয়।
-
পূর্বি উপভাষা: বাংলাদেশের পূর্ব অঞ্চল, ত্রিপুরা ও আসামের বরাক উপত্যকায় প্রচলিত।
-
বরেন্দ্রি উপভাষা: বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়।
-
কামরূপি উপভাষা: বিহারের পূর্বাংশ, পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশ এবং বাংলাদেশের রংপুর অঞ্চলে প্রচলিত।
-
রাঢ়ি উপভাষা: পশ্চিমবঙ্গ অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়।
-
ঝাড়খণ্ডি উপভাষা: পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চল ও ঝাড়খণ্ডের পূর্বাঞ্চলে প্রচলিত।
উপরের তথ্যের আলোচনায় দেখা যায়, প্রদত্ত অপশনগুলোর মধ্যে বরিশাল সবচেয়ে যথার্থ উত্তর।

0
Updated: 1 month ago
একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক দুটোই পেয়েছেন-
Created: 3 weeks ago
A
ভাস্কর শামীম শিকদার
B
ভাস্কর হামিদুর রহমান
C
ভাস্কর নিতুন কুণ্ডু
D
ভাস্কর নভেরা আহমেদ
নোভেরা আহমেদ বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান ভাস্কর, যিনি আধুনিক শিল্পে অসাধারণ অবদানের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। তার শিল্পকর্ম ও অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৭ সালে একুশে পদক এবং ২০২৫ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
-
নোভেরা আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের বিংশ শতাব্দীর প্রথম আধুনিক ভাস্কর।
-
১৯৯৫ সালে তিনি 'হিউমানিটি' শিরোনামে একটি প্রশংসিত শিল্পকর্ম তৈরি করেন।
-
তার উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি 'নিঃসঙ্গ' (১৯৮৯) বাংলাদেশের প্রথম নগ্ন নারী অবয়ব ভাস্কর্য হিসেবে বিবেচিত।
-
২০১২ সালে আঁকা তার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যে রয়েছে 'আত্মা', 'স্নান' এবং 'কক্সবাজার'।
-
তার অসামান্য শিল্পকর্ম ও অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৯৭ সালে একুশে পদক এবং ২০২৫ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে।
উল্লেখ্য:
-
ভাস্কর শামীম শিকদার একুশে পদক লাভ করেন ২০০০ সালে।
-
ভাস্কর নিতুন কুণ্ডু একুশে পদক লাভ করেন ১৯৯৭ সালে।

0
Updated: 3 weeks ago