'টঙ্ক (Tonk) আন্দোলন' কি?
A
সাঁওতাল বিদ্রোহ
B
কৃষক আন্দোলন
C
প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার আন্দোলন
D
কোনটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
টঙ্ক আন্দোলন কী?
টঙ্ক আন্দোলন হলো উত্তর ময়মনসিংহে ১৯৪৬ থেকে ১৯৫০ সালের মধ্যে কৃষকদের একটি বড় প্রতিবাদ। এই আন্দোলন কৃষকদের উপর আরোপিত এক অনিয়মিত খাজনা প্রথার বিরুদ্ধে ছিল।
টঙ্ক মানে কী?
টঙ্ক শব্দটি স্থানীয় ভাষায় ধান দিয়ে খাজনা দেওয়ার প্রথাকে বোঝায়। আগে জমিদাররা কৃষকদের থেকে ধানে খাজনা নিতেন। কিন্তু জমিতে ধান না হলে ও কৃষকদের বাধ্য করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ধান খাজনা দিতে হতো।
টঙ্কের সমস্যা কী ছিল?
প্রতি ১.২৫ একর জমির জন্য কৃষকরা ১০ থেকে ১৫ মণ ধান খাজনা দিতে হতো। ধানের বাজার মূল্য অনুযায়ী টাকায় এর পরিমাণ জমির ভাড়ার চাইতে প্রায় দ্বিগুণ ছিল। অর্থাৎ কৃষকদের ওপর অতিরিক্ত চাপ ও অন্যায় শোষণ চলত।
কোথায় বেশি টঙ্কের সমস্যা ছিল?
ময়মনসিংহ জেলার কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, হালুয়াঘাট, শ্রীবর্দি থানাগুলোতে, বিশেষ করে সুসং এলাকায় এই টঙ্ক প্রথা খুবই কষ্টকর ছিল। সেখানে গারো ও হাজং সম্প্রদায়ের কৃষকরা বেশি বাস করতেন।
এই আন্দোলনের ফল কী হলো?
১৯৫০ সালে টঙ্ক প্রথা ও জমিদারী প্রথা উচ্ছেদ করে এই আন্দোলন শেষ হয়। টঙ্ক আন্দোলন তেভাগা, নানকার, নাচোল আন্দোলনের মতোই একটি কৃষকদের অধিকার আদায়ের বড় আন্দোলন ছিল।
লক্ষণীয় কিছু কথা
-
টঙ্ক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কমিউনিস্ট নেতা মণি সিংহ, যিনি সুসং-দুর্গাপুরের জমিদার সন্তান ছিলেন।
-
আন্দোলনে অনেক সাহসী কৃষক শহীদ হন, যার মধ্যে রাসমণি প্রথম শহীদ ও একজন মূল নেতা ছিলেন।
সূত্র: জাতীয় তথ্য বাতায়ন, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনের পথিকৃৎ ছিলেন -
Created: 2 days ago
A
কমরেড মণি সিংহ
B
কমরেড তোহা খান
C
কমরেড ফরহাদ
D
কমরেড মহিউদ্দীন আহমেদ
বাংলাদেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনের ইতিহাসে কমরেড মণি সিংহের নাম অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে উচ্চারিত হয়। তিনি শুধু বাংলাদেশের নয়, পুরো উপমহাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
-
কমরেড মণি সিংহ উপমহাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের কিংবদন্তি নেতা ও অন্যতম স্থপতি ছিলেন।
-
তিনি ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সপিবি) প্রতিষ্ঠাতা প্রাণপুরুষ।
-
তাঁর জীবনদর্শনের মূল ভিত্তি ছিল মার্ক্সবাদী বিপ্লবী আদর্শ।
-
তিনি আমৃত্যু চেষ্টা করেছেন ‘মুক্ত মানবের মুক্ত সমাজ’ তথা সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য।
-
তাঁর রাজনৈতিক দর্শনে ‘বিপ্লবী মানবতাবাদ’ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হিসেবে সব সময় প্রতিফলিত হয়েছে।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন রাজনৈতিক নেতৃত্বের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব।
-
স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
-
তিনি ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।

0
Updated: 2 days ago