প্রথমদিকে মুসলিম সুলতানরা রাজধানী স্থাপন করেন-
A
ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে
B
মেঘনা নদীর তীরে
C
পদ্মা ও গঙ্গা নদীর তীরে
D
যমুনা নদীর তীরে
উত্তরের বিবরণ
লখনৌতি প্রাচীন বাংলার একটি ঐতিহাসিক নগরী, যার উৎপত্তি ও বিকাশ মূলত সেন ও মুসলিম শাসনামলের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি বাংলার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল।
লখনৌতি-র প্রাচীন নাম ছিল লক্ষ্মণাবতী।
-
মুসলিম শাসনামলে এটি লখনৌতি নামে পরিচিতি লাভ করে।
-
লক্ষ্মণসেন (১১৭৮–১২০৬ খ্রি) -এর নামানুসারে শহরটির নামকরণ হয়।
-
রাজমহলের প্রায় ২৫ মাইল দক্ষিণে, গঙ্গা-মহানন্দার মিলনস্থলের নিকটে, বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় এর অবস্থান।
-
১২০৫ খ্রিস্টাব্দে (৬০১ হিজরি) বখতিয়ার খলজী নদীয়া জয় করার পর লক্ষ্মণাবতীতে এসে রাজধানী স্থাপন করেন এবং সেখানে মসজিদ, মাদ্রাসা ও খানকাহ প্রতিষ্ঠা করেন।
-
তাঁর উত্তরসূরি ইওজ খলজী (১২১২–১২২৭ খ্রি) গঙ্গার বন্যা থেকে শহর রক্ষার জন্য বাঁধ নির্মাণ করেন, এবং রাস্তা তৈরি করে রাজধানী লখনৌতির সঙ্গে দিনাজপুরের দেবকোট ও বীরভূমের লখনৌর-এর সংযোগ স্থাপন করেন।
-
ত্রয়োদশ শতকের প্রথম দিকে মিনহাজ-ই-সিরাজ, তাঁর তবকাত-ই-নাসিরী গ্রন্থে এসব নির্মাণকাজ প্রত্যক্ষ করার কথা উল্লেখ করেছেন।
-
১৩৪২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত লখনৌতি মুসলমান শাসকদের রাজধানী হিসেবে টিকে ছিল।

0
Updated: 3 days ago