একটি দেশের মোট আয়তনের কত শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন?
A
১৫-২০%
B
২০-২৫%
C
৩০-৩৫%
D
৩৫-৪০%
উত্তরের বিবরণ
বন: প্রাকৃতিক সম্পদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ
একটি দেশের মোট জমির কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা খুবই জরুরি। এর মাধ্যমে ভূমির ক্ষয় রোধ, মাটি উর্বর রাখা, জলবায়ুর ভারসাম্য বজায় রাখা এবং বৃষ্টিপাত নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়।
বাংলাদেশের বনভূমি
বাংলাদেশের বনভূমি পাঁচটি প্রধান অঞ্চলে ভাগ করা যায়:
১। চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বন
২। সিলেটের বনাঞ্চল
৩। সুন্দরবন
৪। মধুপুর ও ভাওয়ালের বন
৫। দিনাজপুর ও রংপুরের বন
বাংলাদেশের বনাঞ্চলে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, কেওড়া, গর্জন, সেগুন, চাপালিস, গামারি, শিরীষ, শাল এর মতো গাছ পাওয়া যায়।
সুন্দরবনে গোলপাতা এবং সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে বাঁশ ও বেত প্রচুর পরিমাণে জন্মে।
এগুলো থেকে কাঠ সংগ্রহ করে ঘর-বাড়ি, আসবাবপত্র, নৌকা, রেলওয়ের স্লিপার, খুঁটি ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া বন থেকে আমরা জ্বালানি কাঠ, মধু, মোম, গোলপাতা প্রভৃতি পেয়ে থাকি, যা অনেক মানুষের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম।
বাংলাদেশের বনভূমির পরিমাণ
-
বাংলাদেশের মোট আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার।
-
সরকার নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ২৩ লাখ হেক্টর, যা মোট জমির প্রায় ১৫.৫৮%।
-
বন অধিদপ্তর পরিচালিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ১৬ লাখ হেক্টর, যা দেশের মোট আয়তনের প্রায় ১০.৭৪%।
-
মোট বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ দেশের মোট জমির ২২.৩৭%।
উৎস: অর্থনীতি, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 3 months ago
Inclusive Development Index ( IDI)-এর ভিত্তিতে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের স্থান কত?
Created: 1 month ago
A
প্রথম স্থান
B
দ্বিতীয় স্থান
C
তৃতীয় স্থান
D
চতুর্থ স্থান
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (WEF) ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স (IDI) রিপোর্টে বাংলাদেশের অবস্থান:
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম প্রতি বছর Inclusive Development Index (IDI) প্রকাশ করে, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তির মান পরিমাপ করে। ২০১৮ সালের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী:
-
উদীয়মান অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৪তম স্থানে রয়েছে।
-
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে, যেখানে প্রথম স্থানে রয়েছে নেপাল।
এই সূচক মূলত দেখায়, কোন দেশগুলো কেবল অর্থনৈতিকভাবে বড় নয়, বরং তাদের জনগণের মধ্যে সমানভাবে উন্নয়ন ছড়াচ্ছে কি না।
উৎস: The Daily Star, 24 জানুয়ারি 2018; World Economic Forum
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকায় নির্মিত 'ধীরে বহে মেঘনা' চলচ্চিত্রের নির্মাতা কে?
Created: 2 months ago
A
আলমগীর কবির
B
খান আতাউর রহমান
C
হুমায়ূন আহমেদ
D
সুভাষ দত্ত
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র: ধীরে বহে মেঘনা (১৯৭৩)
-
পরিচালক: আলমগীর কবির
-
কাহিনী: ভারতীয় এক মেয়ের, অনিতার, প্রেমিক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়। অনিতা ঢাকায় এসে যুদ্ধের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করলে তার মর্ম আরও গভীর হয়।
-
অভিনয়: বুলবুল আহমেদ, ববিতা, গোলাম মোস্তফা, আনোয়ার হোসেন, খলিল উল্লাহ প্রমুখ
-
সঙ্গীত: হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান
অন্যান্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র:
-
আবার তোরা মানুষ হ – পরিচালনা: খান আতাউর রহমান
-
আগুনের পরশমণি – হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্র
-
অরুনোদয়ের অগ্নিসাক্ষী – পরিচালনা: সুভাষ দত্ত
সূত্র: প্রথম আলো, তারিক মনজুর (শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
কোন জেলায় চা বাগান বেশি?
Created: 2 months ago
A
সিলেট
B
হবিগঞ্জ
C
মৌলভীবাজার
D
বান্দরবান
চা শিল্পের ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা (বাংলাদেশ)
-
১৮০০-এর প্রথম ভাগে ভারতবর্ষের আসাম ও তার আশেপাশের এলাকায় চা চাষ শুরু হয়।
-
এর ধারাবাহিকতায় ১৮২৮ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী নদীর তীরে চা চাষের জন্য জমি বরাদ্দ করা হয়।
-
১৮৪০ সালে চট্টগ্রাম শহরের বর্তমান চট্টগ্রাম ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় একটি চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ‘কুন্ডদের বাগান’ নামে পরিচিত।
-
সিলেটের মালনীছড়ায় প্রথম বাণিজ্যিক চা চাষ শুরু হয় ১৮৫৭ সালে।
-
দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশে চা আবাদ মূলত দুই জেলায় সীমাবদ্ধ ছিল:
১. সিলেট জেলা – যা ‘সুরমা ভ্যালি’ নামে পরিচিত।
২. চট্টগ্রাম জেলা – যা ‘হালদা ভ্যালি’ নামে পরিচিত।
বর্তমান পরিস্থিতি:
-
দেশে মোট চা বাগানের সংখ্যা: ১৬৯টি।
-
চা নিলাম কেন্দ্র: চট্টগ্রাম, শ্রীমঙ্গল, পঞ্চগড়।
-
সর্বাধিক চা বাগান: মৌলভীবাজার জেলায় ৯০টি।
-
অন্য জেলাগুলোতে চা বাগান:
-
হবিগঞ্জ: ২৫টি
-
সিলেট: ১৯টি
-
উৎস: বাংলাদেশ চা বোর্ড ওয়েবসাইট।
0
Updated: 2 months ago