হুগলীতে পর্তুগীজদের দমন করেন কে?
A
সুবাদার মীর জুমলা
B
সুবাদার কাসিম খান জুয়াইনী
C
সুবাদার শায়েন্তা খাঁন
D
সুবাদার মুর্শিদ কুলী খান
উত্তরের বিবরণ
কাসিম খান জুইনি ছিলেন সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক বাংলার সুবাহদার হিসেবে নিযুক্ত একজন বিশিষ্ট প্রশাসক। তিনি শাহজাহানের শাসনামলে বাংলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা বিশেষভাবে স্মরণীয়।
কাসিম খান জুইনি (১৬২৮–১৬৩২) সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক বাংলার সুবাহদার নিযুক্ত হন।
-
শাহজাহান সিংহাসনে আরোহণের পর ফিদাই খানকে বরখাস্ত করে তাঁকে এই পদে নিয়োগ দেন।
-
তিনি ছিলেন মীর মুরাদের পুত্র।
-
সম্রাট আকবর, শাহজাদা খুররমকে (পরবর্তী শাহজাহান) ধনুর্বিদ্যায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য মীর মুরাদকে নিয়োগ করেছিলেন এবং পরে তাঁকে লাহোরের বখশী নিযুক্ত করেন।
-
ইসলাম খান চিশতির সুবাহদারি আমলে, কাসিম খান বাংলায় খাজাঞ্চি পদে কর্মরত ছিলেন।
-
তাঁর সুবাহদারি আমলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল পর্তুগিজদের নিকট থেকে হুগলি দখল।

0
Updated: 3 days ago
বিপ্লবোত্তর ফ্রান্সে জেকোবিন ও জিরোফিন দলের মধ্যে প্রথম মতপার্থক্য তৈরি হয়-
Created: 3 days ago
A
অর্থনৈতিক সংস্কার প্রশ্নে
B
নির্বাচন প্রশ্নে
C
রাজার বিচার প্রশ্নে
D
ক্ষমতা কুক্ষিগত করার প্রশ্নে
ফরাসি বিপ্লবের পর জেকোবিন ও জিরন্ডিস্ট দলের মধ্যে প্রথম বড় মতভেদ দেখা দেয় রাজার বিচার নিয়ে। এই মতভেদ থেকেই ফ্রান্সের রাজনীতিতে বিভাজন আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
১. জিরন্ডিস্টরা সরাসরি রাজার মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে না হলেও স্পষ্টভাবে বিরোধিতাও করেনি।
২. তারা প্রস্তাব করে যে, রাজার বিচার প্রশ্নে গণভোট হওয়া উচিত, অর্থাৎ জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।
৩. অন্যদিকে জেকোবিনরা এই গণভোটের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে।
৪. তারা রাজার মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেয়।
৫. এর ফলস্বরূপ, ১৭৯৩ সালের ২১ জানুয়ারি ফ্রান্সের রাজা ষোড়শ লুইকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়।

0
Updated: 3 days ago
বখতিয়ার খিলজী সম্পর্কে জানার উৎস-
Created: 4 days ago
A
তারিখ-ই-ফিরোজ শাহী
B
আইন ই আকবারি
C
তবকাত-ই-নাসিরি
D
রাজ তরঙ্গিলী
বাংলার প্রারম্ভিক মুসলিম শাসনের ইতিহাস বুঝতে মিনহাজ-উস-সিরাজের গ্রন্থটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে গণ্য হয়। এতে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের বিবরণ সংরক্ষিত আছে, যা ঐ সময়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা বোঝার ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক।
মিনহাজ-উস-সিরাজের "তবকাত-ই-নাসিরী" হলো বখতিয়ার খলজীর বিজয় (১২০৪ খ্রিস্টাব্দ) থেকে ১২৫৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলার ইতিহাসের একমাত্র নির্ভরযোগ্য উৎস।
-
এই সময়ের অন্য কিছু সমসাময়িক উৎস হিসেবে শিলালিপি ও মুদ্রা পাওয়া যায়।
-
গ্রন্থটির গুরুত্ব শুধু সমসাময়িকতার জন্য নয়, আরও দুটি কারণে তা মূল্যবান।
-
প্রথমত, মিনহাজ নিজে বাংলায় এসে প্রায় দুই বছর অবস্থান করেন এবং এখানকার ঘটনাবলি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে তাঁর রচনার জন্য তথ্য সংগ্রহ করেন।
-
তিনি বাংলার রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহেও প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন, যা তাঁর বর্ণনাকে বিশেষভাবে প্রামাণ্য করে তোলে।

0
Updated: 4 days ago
সম্রাট হিসেবে নেপোলিয়নের ক্ষমতা লাভের প্রাক্কালে ফ্রান্সের সর্বময় ক্ষমতা ছিল-
Created: 3 days ago
A
ডাইরেক্টরদের হাতে
B
ষোড়শ লুইয়ের হাতে
C
প্রথম কনসালের হাতে
D
ব্যারাসের হাতে
নেপোলিয়নের ক্ষমতা লাভের পেছনে ফ্রান্সের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ডিরেক্টরি শাসনের দুর্বলতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফরাসি বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে শাসনব্যবস্থা ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত ও অকার্যকর, যা নেপোলিয়নের উত্থানকে ত্বরান্বিত করেছিল।
সম্রাট হিসেবে নেপোলিয়নের ক্ষমতা লাভের প্রাক্কালে ফ্রান্সের সর্বময় ক্ষমতা ছিল ডাইরেক্টরদের হাতে।
-
১৭৯৯ সালের নভেম্বরে তিনি ফরাসি ডিরেক্টরির বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান সংঘটিত করে ফরাসি প্রজাতন্ত্রের প্রথম কনসাল হন।
-
ডিরেক্টরি শাসনের সীমাহীন দুর্নীতি ও দুর্বলতা নেপোলিয়নের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়ার পথকে সহজ করে দেয়।

0
Updated: 3 days ago