ভারতে আসার সময় লর্ড ম্যাকলের পদবী কী ছিল?
A
গভর্নর জেনারেলের পরিষদের শিক্ষা উপদেষ্টা
B
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি
C
দয়রা জজ
D
গভর্নর জেনারেলের পরিষদের আইন সদস্য
উত্তরের বিবরণ
ভারত সরকার আইন ১৮৩৩ পাস হওয়ার পর তিনি সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং গভর্নর-জেনারেলের কাউন্সিলের প্রথম আইন সদস্য হিসেবে নিয়োগ গ্রহণ করেন।
-
এই আইনটি ভারত প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনে এবং আইন প্রণয়নের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় করে।
-
১৮৩৪ সালে মেকলে ভারতে আসেন আইন সদস্যের দায়িত্ব নিতে।
-
তিনি ১৮৩৪ থেকে ১৮৩৮ সাল পর্যন্ত সুপ্রিম কাউন্সিলে দায়িত্ব পালন করেন।
-
এই সময়েই মেকলে ভারতের জন্য একীভূত আইন প্রণয়নের ভিত্তি স্থাপন করেন।

0
Updated: 3 days ago
ট্যাভারনিয়ে কোন দেশের পর্যটক ছিলেন?
Created: 3 days ago
A
ইংল্যান্ড
B
ফ্রান্স
C
পর্তুগাল
D
স্পেন
সতেরো শতকের বিখ্যাত ফরাসি পর্যটক জে.বি টেভার্নিয়ার (১৬০৫–১৬৮৯) ইউরোপ থেকে ভারত ও বাংলাসহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল ভ্রমণ করেছিলেন। তাঁর লেখা ভ্রমণবৃত্তান্তে সে সময়কার ভারতের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থার বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে।
-
জন্ম: ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের প্যারিসে।
-
পরিবার: তাঁর বাবা গ্যাব্রিয়েল টেভার্নিয়ার ছিলেন একজন বণিক ও ভূগোলবিদ, যাঁর কাছ থেকেই তিনি ভূগোলচর্চা ও বিদেশ ভ্রমণের অনুপ্রেরণা পান।
-
ভারত ভ্রমণ: সতেরো শতকের ষাটের দশকে তিনি ভারত ভ্রমণ করেন এবং বাংলার রাজধানী ঢাকা সম্পর্কে মূল্যবান বর্ণনা দেন।
-
ভ্রমণবৃত্তান্ত: তাঁর ভ্রমণের বিবরণ “Travels in India” শিরোনামে ১৬৮৯ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়।
-
বাংলা ভ্রমণ: তিনি দুবার ঢাকা সফর করেন—প্রথমবার ১৬৪০ সালে এবং দ্বিতীয়বার ১৬৬৬ সালের জানুয়ারিতে।
-
তাঁর বর্ণনায় তৎকালীন ঢাকার ঐশ্বর্য, বাণিজ্যিক গুরুত্ব ও নগরজীবনের নানা দিক বিশদভাবে ফুটে উঠেছে।

0
Updated: 3 days ago
'আমিই রাষ্ট্র'এই ঘোষণা দিয়েছিলেন-
Created: 4 days ago
A
ত্রয়োদশ লুই
B
চতুর্দশ লুই
C
ষোড়শ লুই
D
পঞ্চদশ লুই
চতুর্দশ লুই ছিলেন ফ্রান্সের সর্বময় ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে পরিচিত একজন রাজা। তিনি নিজের শাসনক্ষমতার পরিপূর্ণতা প্রকাশ করতে বিখ্যাত উক্তি করেছিলেন “I am the State” (আমিই রাষ্ট্র)।
উক্তি: “আমিই রাষ্ট্র” (I am the State) — এটি চতুর্দশ লুই-এর বিখ্যাত উক্তি।
-
অর্থ: উক্তিটি তার একচ্ছত্র ক্ষমতার প্রকাশ ঘটায়; অর্থাৎ, রাষ্ট্রের সমস্ত ক্ষমতা তার মধ্যেই নিহিত।
-
শাসনকাল: তিনি ১৬৪৩ থেকে ১৭১৫ সাল পর্যন্ত ফ্রান্স শাসন করেন।

0
Updated: 4 days ago
আদি বাঙালি সমাজ গঠনে কোন নৃগোষ্ঠীর প্রভাব সবচেয়ে বেশী ছিল?
Created: 4 days ago
A
অস্ট্রিক
B
দ্রাবিড়
C
আর্য
D
মঙ্গোলীয়
বাঙালি জাতির গঠন একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক ও নৃতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ার ফল, যা বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর সংমিশ্রণে সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলে বহু জাতি ও জনগোষ্ঠীর আগমন ঘটেছে, যারা তাদের উপস্থিতির চিহ্ন রেখে গেছে বাংলার মাটিতে।
-
বাঙালি জাতি একটি মিশ্র জাতি, যা এই অঞ্চলের আদিতম মানবগোষ্ঠীগুলির অন্যতম।
-
ইতিহাসে দেখা যায়, পৃথিবীর নানা জাতি বাংলায় প্রবেশ করেছে এবং অনেকেই আবার চলে গেলেও তাদের আগমনের নৃতাত্ত্বিক প্রমাণ এখানে রয়ে গেছে।
-
বৃহত্তর বাঙালির রক্তে বহু ও বিচিত্র নরগোষ্ঠীর সংমিশ্রণ রয়েছে।
-
প্রাচীন জনগোষ্ঠীগুলি দীর্ঘকাল ধরে বিভিন্ন জন ও কোমে বিভক্ত অবস্থায় বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করেছে এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পরস্পরের সঙ্গে মিশে গেছে।
-
জাতিতাত্ত্বিক নৃবিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর চারটি প্রধান নরগোষ্ঠীর প্রত্যেকটির কোনো না কোনো শাখা বাংলায় এসেছে।
-
এই নরগোষ্ঠী চারটি হলো নিগ্রীয়, মঙ্গোলীয়, ককেশীয় ও অষ্ট্রেলীয়।
-
ধারণা করা হয়, বাংলার প্রাচীন জনসমাজের মধ্যে অষ্ট্রিক ভাষী জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি ছিল সর্বাধিক।
-
বাংলাদেশের সাঁওতাল, বাঁশফোড়, রাজবংশী প্রভৃতি জনগোষ্ঠীকে আদি অষ্ট্রেলীয়দের উত্তরসূরি হিসেবে ধরা হয়।

0
Updated: 4 days ago