দ্বিতীয় যোসেফের উল্লেখযোগ্য সংস্কার হলো-
A
মৃত্যুদন্ড নিষিদ্ধকরন
B
রাজস্ব বৃদ্ধি
C
ভূমিদাস প্রথার অবসান
D
প্রশাসনিক ক্ষমতা বৃদ্ধি
উত্তরের বিবরণ
দ্বিতীয় যোসেফ ছিলেন অস্ট্রিয়ার প্রজাহিতৈষী স্বৈরশাসকদের মধ্যে অন্যতম, যিনি প্রজাদের কল্যাণে নানা গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্য সম্পন্ন করেন।
তিনি তাঁর মা মারিয়া থেরেসার মৃত্যুর পর ১৭৮০ সালে অস্ট্রিয়ার পূর্ণ শাসনভার গ্রহণ করেন এবং সমাজের প্রায় সবক্ষেত্রে পরিবর্তনের উদ্যোগ নেন।
ভূমিদাস প্রথার অবসান ছিল তাঁর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার।
-
মৃত্যুদণ্ডের বিলুপ্তি ঘটান।
-
ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান করে সব ধর্মের মানুষকে সমান অধিকার ভোগের সুযোগ দেন।
-
আইনের চোখে সকল নাগরিকের সমতা ঘোষণা করেন।
-
প্রশাসনিক, আর্থ-সামাজিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কার আনেন।
তাঁর সকল উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল প্রজাদের মঙ্গলসাধন। তিনি আন্তরিকভাবে এ লক্ষ্যে কাজ করলেও তাঁর গৃহীত সংস্কারসমূহ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। অবশেষে তিনি ১৭৯০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

0
Updated: 3 days ago
কোন্ গভর্নর জেনারেলকে ভারতে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের জনক বলা হয়?
Created: 3 days ago
A
লর্ড বেন্টিঙ্ক
B
লর্ড লিটন
C
লর্ড রিপন
D
লর্ড কার্জন
লর্ড রিপন স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর সংস্কারের মাধ্যমে জনগণকে স্থানীয় প্রশাসনে সম্পৃক্ত করার নতুন ধারা শুরু হয়।
১. ১৮৮২ সালে তিনি সরকার কর্তৃক মনোনীত সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত স্থানীয় সরকারের প্রচলিত ব্যবস্থা বাতিল করেন।
২. তাঁর ঘোষণায় বলা হয় যে, এই সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য ছিল জনগণকে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ও সম্পৃক্ত করা।
৩. অধিক দক্ষতা ও কার্যকারিতা অর্জনের লক্ষ্যে বড় বড় লোকাল বোর্ড ভেঙে ছোট ছোট প্রশাসনিক এলাকায় বিভক্ত করা হয়।
৪. স্থানীয় বিষয়ে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে মনোনয়নের পরিবর্তে নির্বাচন প্রথা চালু করা হয়।
৫. তবে ব্রিটিশ আমলারা এর বিরোধিতা করেন, কারণ তারা মনে করতেন ভারতীয়রা তখনও নির্বাচন প্রথার জন্য প্রস্তুত নয়।
৬. এই বিরোধিতার ফলে রিপন তাঁর প্রত্যাশিত নির্বাচনী আদর্শ সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেননি।
৭. তবুও গ্রামীণ ও শহুরে কমিটিতে নির্বাচিত ও মনোনীত উভয় ধরনের সদস্যই ছিলেন।
৮. রিপনের সর্বোচ্চ কৃতিত্ব হলো, তিনি প্রথমবারের মতো গ্রামীণ বোর্ডে নির্বাচন প্রথা চালু করেছিলেন।

0
Updated: 3 days ago
'টেনিস কোর্টের শপথনামা'র তারিখ হলো:
Created: 4 days ago
A
২০ জুন, ১৭৮৯
B
১৭ জুন, ১৭৮৯
C
২০ জুন, ১৮৮৯
D
১৭ জুন, ১৮৮৯
১৭৮৯ সালের ২০ জুন ফরাসি বিপ্লবের প্রারম্ভিক পর্যায়ে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা সংঘটিত হয়, যা “টেনিস কোর্টের শপথ” নামে পরিচিত। এটি ছিল ফরাসি থার্ড এস্টেটের ঐক্য ও গণতান্ত্রিক চেতনার সূচনা চিহ্নিত করার মুহূর্ত।
-
এই শপথ ড. গিলোটিনের পরামর্শে একটি বাস্তব টেনিস কোর্টে গ্রহণ করা হয়।
-
এতে ফরাসি থার্ড এস্টেটের সদস্যরা অংশ নেন।
-
তারা প্রতিজ্ঞা করেন যে, রাজ্যের সংবিধান প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তারা বিচ্ছিন্ন হবেন না এবং প্রয়োজনে পুনরায় একত্রিত হবেন।
-
এই শপথ ছিল ফরাসি বিপ্লবের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, যা রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্য ও গণঅধিকার প্রতিষ্ঠার পথে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 4 days ago
শ্রী চৈতন্যদেবের আবির্ভাব হয়েছিল বাংলার কোন শাসকের আমলে?
Created: 4 days ago
A
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ্
B
গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ্
C
আলাউদ্দিন হুসেন শাহ্
D
নসরৎ শাহ্
আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনামলে বৈষ্ণব কাব্যে তাঁর উদার মানসিকতার প্রতিফলন স্পষ্টভাবে দেখা যায়। তিনি ধর্মীয় সহনশীলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
-
বৈষ্ণব কাব্যসমূহে আলাউদ্দিন হোসেন শাহের উদার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে।
-
বলা হয়েছে যে, তিনি শ্রী চৈতন্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং তাঁকে ঈশ্বরের অবতার হিসেবে গণ্য করতেন।
-
শ্রী চৈতন্যের ধর্ম প্রচার কার্যক্রমে হোসেন শাহ সার্বিক সহযোগিতা ও সুবিধা প্রদান করেছিলেন।

0
Updated: 4 days ago