ব্রিটিশ ভারতে প্রথম শিক্ষা কমিশন (হান্টার কমিশন) হয়-
A
১৮৮০ খ্রিঃ
B
১৮৮১ খ্রিঃ
C
১৮৮২ খ্রিঃ
D
১৮৮৩ খ্রিঃ
উত্তরের বিবরণ
লর্ড রিপন ১৮৮২ সালে উইলিয়ম হান্টারকে চেয়ারম্যান করে প্রথম ইন্ডিয়ান এডুকেশন কমিশন গঠন করেন, যা ভারতে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কমিশনের প্রধান সুপারিশগুলো ছিল:
-
সরকারি অনুদান ব্যবস্থার মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনার হাতে তুলে দেওয়া।
-
স্কুলে অভ্যন্তরীণ ও প্রবেশিকা পরীক্ষা চালুর ব্যবস্থা করা।
-
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করা।
এই সুপারিশগুলো ভারতের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যক্তি উদ্যোগ ও মানসম্মত শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল।

0
Updated: 3 days ago
পান্ডুয়ার (ফিরোজাবাদ) সন্নিকটে আদিনার বিখ্যাত মসজিদ কোন্ সুলতানের শাসনামলে নির্মিত হয়?
Created: 4 days ago
A
শামস উদ্দীন ইলিয়াস শাহ্
B
সিকান্দার শাহ্
C
আলাউদ্দিন হুসেন শাহ্
D
গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ্
আদিনা মসজিদ বাংলার ইতিহাসে স্থাপত্য ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন। এটি শুধু বাংলার নয়, সমগ্র উপমহাদেশের অন্যতম বৃহত্তম মসজিদ হিসেবে পরিচিত।
-
অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার হযরত পান্ডুয়া বা ফিরুজাবাদে অবস্থিত।
-
গুরুত্ব: এটি উপমহাদেশের বৃহত্তম মসজিদ, যা বাংলার স্থাপত্য ঐতিহ্যের শিখর নির্দেশ করে।
-
নির্মাণকাল ও নির্মাতা: মসজিদের পেছনের দেয়ালের একটি শিলালিপি থেকে জানা যায়, এটি ১৩৭৩ খ্রিস্টাব্দে সুলতান ইলিয়াস শাহের পুত্র সিকান্দর শাহ নির্মাণ করেন।
-
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: সিকান্দর শাহ ১৩৬৯ খ্রিস্টাব্দে নিজেকে আরব ও পারস্যের সুলতানদের মধ্যে যোগ্যতম এবং পরবর্তীতে ‘বিশ্বাসীদের খলিফা’ বলে ঘোষণা করেন। তাই এমন একটি বিশাল ও জাঁকজমকপূর্ণ মসজিদ নির্মাণ তাঁর সম্পদ, ক্ষমতা ও ধর্মীয় মর্যাদার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 4 days ago
ট্যাভারনিয়ে কোন দেশের পর্যটক ছিলেন?
Created: 3 days ago
A
ইংল্যান্ড
B
ফ্রান্স
C
পর্তুগাল
D
স্পেন
সতেরো শতকের বিখ্যাত ফরাসি পর্যটক জে.বি টেভার্নিয়ার (১৬০৫–১৬৮৯) ইউরোপ থেকে ভারত ও বাংলাসহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল ভ্রমণ করেছিলেন। তাঁর লেখা ভ্রমণবৃত্তান্তে সে সময়কার ভারতের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থার বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে।
-
জন্ম: ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের প্যারিসে।
-
পরিবার: তাঁর বাবা গ্যাব্রিয়েল টেভার্নিয়ার ছিলেন একজন বণিক ও ভূগোলবিদ, যাঁর কাছ থেকেই তিনি ভূগোলচর্চা ও বিদেশ ভ্রমণের অনুপ্রেরণা পান।
-
ভারত ভ্রমণ: সতেরো শতকের ষাটের দশকে তিনি ভারত ভ্রমণ করেন এবং বাংলার রাজধানী ঢাকা সম্পর্কে মূল্যবান বর্ণনা দেন।
-
ভ্রমণবৃত্তান্ত: তাঁর ভ্রমণের বিবরণ “Travels in India” শিরোনামে ১৬৮৯ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়।
-
বাংলা ভ্রমণ: তিনি দুবার ঢাকা সফর করেন—প্রথমবার ১৬৪০ সালে এবং দ্বিতীয়বার ১৬৬৬ সালের জানুয়ারিতে।
-
তাঁর বর্ণনায় তৎকালীন ঢাকার ঐশ্বর্য, বাণিজ্যিক গুরুত্ব ও নগরজীবনের নানা দিক বিশদভাবে ফুটে উঠেছে।

0
Updated: 3 days ago
বাবরের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ 'তুজুগ-ই-বাবরী' কোন ভাষায় রচিত?
Created: 3 days ago
A
আরবি
B
ফার্সি
C
উর্দু
D
তুর্কী
তুজুক-ই-বাবুরী হচ্ছে ভারতের মুগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দীন মুহাম্মদ বাবুরের আত্মজীবনী, যা বাবুরনামা বা বাবুরের স্মৃতিকথা নামেও পরিচিত। এই গ্রন্থে তার জীবনের অভিজ্ঞতা, যুদ্ধ, রাজনীতি ও সংস্কৃতিচর্চার বিবরণ পাওয়া যায়।
মূল তথ্যগুলো হলো—
-
এটি বাবুর নিজেই তুর্কি ভাষায় রচনা করেন।
-
পরবর্তীতে মুগল রাজকর্মচারী বৈরাম খান খান-ই-খানানের পুত্র আবদুর রহিম খান-ই-খানান একে ফারসি ভাষায় অনুবাদ করেন।
-
ইউরোপীয় পণ্ডিতদের মধ্যে এটি বিশেষভাবে সমাদৃত হয় এবং বিভিন্ন ইউরোপীয় ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
-
গ্রন্থটি ইতিহাস, সাহিত্য ও সংস্কৃতির দিক থেকে মুগল যুগের এক অমূল্য দলিল হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 3 days ago