'একাডেমিক এসোসিয়েশন' এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন-
A
রাজা রামমোহন রায়
B
শিবনাথ শাস্ত্রী
C
সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী
D
ডিরোজিও
উত্তরের বিবরণ
ডিরোজিও ছিলেন এক অসাধারণ চিন্তাবিদ ও শিক্ষক, যিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যুক্তিবাদ, স্বাধীন চিন্তা ও জ্ঞানের প্রতি আকর্ষণ জাগিয়ে তুলেছিলেন। তাঁর শিক্ষাদান ও মননচর্চার ধরন ছিল প্রচলিত ধারা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
-
হেনরী লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও ১৮০৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৩১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
-
তিনি ছিলেন একজন ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক।
-
১৮২৬ সালে, মাত্র সতেরো বছর বয়সে, তিনি কলকাতা হিন্দু কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
-
তিনি ইংরেজি সাহিত্য ও ইতিহাস পড়াতেন এবং তাঁর শিক্ষাদান পদ্ধতি ছিল গতানুগতিকতামুক্ত।
-
শ্রেণীকক্ষের বাইরে তিনি ছাত্রদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতেন, প্রায়ই নিজের বাসভবনেই সেই আলোচনা হতো।
-
আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন ও বিজ্ঞানসহ নানা জ্ঞানমূলক ক্ষেত্র।
-
তাঁর অনুপ্রেরণায় ছাত্ররা ১৮২৮ সালে ‘অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি সাহিত্য ও বিতর্ক সংঘ গঠন করে।
-
এই সংঘের সভাগুলো মানিকটোলার এক বাগানবাড়িতে পাক্ষিকভাবে অনুষ্ঠিত হতো, যেখানে ছাত্র ও উদার ইউরোপীয় ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করতেন।
-
এর সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় আরও অনুরূপ সংঘ গঠিত হয়।
-
ডিরোজিও ছিলেন অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, পাশাপাশি অন্যান্য সংঘের সঙ্গেও যুক্ত থেকে তাদের কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন।
তাঁর প্রভাবেই এক নতুন শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম গড়ে ওঠে, যারা পরবর্তীকালে বাংলার নবজাগরণের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত হয়।

0
Updated: 3 days ago
বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী-
Created: 3 days ago
A
সুভাষ চন্দ্র চন্দ্র বসু
B
এ কে ফজলুল হক
C
হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী
D
খাজা নাজিমুদ্দিন
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটে। এই সময়ের ঘটনাগুলো নিম্নরূপ—
-
১৪ আগস্ট ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলে খাজা নাজিমউদ্দীন পূর্ব বাংলার (পূর্ব পাকিস্তান) প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।
-
পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মৃত্যু হলে, ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে খাজা নাজিমউদ্দীন পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল পদে অধিষ্ঠিত হন।

0
Updated: 3 days ago
'ডকট্রিন অব ল্যাপস' ব্রিটিশদের
Created: 3 days ago
A
রাজ্য দখল নীতি
B
রাজ্য ফিরিয়ে দেয়ার নীতি
C
সুশাসন প্রতিষ্ঠার নীতি
D
ন্যায় বিচারের নীতি
‘ডকট্রিন অব ল্যাপস’ ছিল ব্রিটিশদের রাজ্য দখলের একটি নীতি, যার মাধ্যমে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটে। এই নীতি মূলত গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসী প্রয়োগ করেন।
‘ডকট্রিন অব ল্যাপস’ অর্থাৎ স্বত্ববিলোপ নীতির মাধ্যমে ব্রিটিশরা এমন রাজ্য দখল করত, যেখানে শাসকের কোনো জৈবিক উত্তরাধিকারী ছিল না।
-
ডালহৌসীর শাসনামলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ভারতে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়।
-
এই নীতি প্রয়োগ করে তিনি সাতারা, সম্বলপুর, উদয়পুর, ঝাঁসি ও নাগপুর রাজ্য দখল করেন।
-
তিনি আরও কর্ণাটক ও তাঞ্জোরের খেতাবসার সার্বভৌমত্ব বিলোপ করেন, কারণ এগুলোকে তিনি অকার্যকর বলে বিবেচনা করেছিলেন।
-
প্রাক্তন পেশোয়া দ্বিতীয় বাজি রাও মারা গেলে, তাঁর দত্তকপুত্র নানা সাহেবকে পেনশন দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানান, যা পরবর্তীতে অসন্তোষের জন্ম দেয়।

0
Updated: 3 days ago
বিপ্লবোত্তর ফ্রান্সে জেকোবিন ও জিরোফিন দলের মধ্যে প্রথম মতপার্থক্য তৈরি হয়-
Created: 3 days ago
A
অর্থনৈতিক সংস্কার প্রশ্নে
B
নির্বাচন প্রশ্নে
C
রাজার বিচার প্রশ্নে
D
ক্ষমতা কুক্ষিগত করার প্রশ্নে
ফরাসি বিপ্লবের পর জেকোবিন ও জিরন্ডিস্ট দলের মধ্যে প্রথম বড় মতভেদ দেখা দেয় রাজার বিচার নিয়ে। এই মতভেদ থেকেই ফ্রান্সের রাজনীতিতে বিভাজন আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
১. জিরন্ডিস্টরা সরাসরি রাজার মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে না হলেও স্পষ্টভাবে বিরোধিতাও করেনি।
২. তারা প্রস্তাব করে যে, রাজার বিচার প্রশ্নে গণভোট হওয়া উচিত, অর্থাৎ জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।
৩. অন্যদিকে জেকোবিনরা এই গণভোটের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে।
৪. তারা রাজার মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেয়।
৫. এর ফলস্বরূপ, ১৭৯৩ সালের ২১ জানুয়ারি ফ্রান্সের রাজা ষোড়শ লুইকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়।

0
Updated: 3 days ago