মীর জুমলা যুদ্ধ করেন-
A
ইংরেজদের
B
ফরাসীদের সংগে
C
পর্তুগীজদের সঙ্গে
D
অহোমদের সংগে
উত্তরের বিবরণ
মীরজুমলার শাসনকালে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যসমূহে সংঘটিত ঘটনাগুলি বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর নীতি ও অভিযানের ফলে বাংলা সুবাহর সীমান্তে সাময়িকভাবে মোগল প্রভাব বিস্তার ঘটে।
আসামের রাজা জয়ধ্বজ যে বাহিনী গঠন করেছিলেন, তাদের বলা হতো অহোম।
-
বাংলায় মীরজুমলার শাসনের প্রধান দিক ছিল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত নীতি, যার মাধ্যমে তিনি কামরূপ ও আসাম জয় করেন।
-
কুচবিহার ছিল একটি সামন্ত রাজ্য। উত্তরাধিকার যুদ্ধের সুযোগে রাজা প্রাণনারায়ণ মোগল আনুগত্য অস্বীকার করেন।
-
মীরজুমলা প্রথমে বিশাল সেনা ও নৌবাহিনী নিয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে অগ্রসর হন; তিনি নিজে কুচবিহারের দিকে যান এবং সেনাবাহিনীর মূল অংশকে কামরূপে প্রেরণ করেন।
-
মীরজুমলার আগমনের সংবাদে প্রাণনারায়ণ পাহাড়ে পালিয়ে যান, এবং প্রায় দেড় মাসে কুচবিহার দখল সম্পন্ন হয়।
-
প্রশাসনিক ব্যবস্থা করে তিনি কামরূপগামী বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেন।
-
আসামের রাজা জয়ধ্বজ কামরূপ ত্যাগ করেন এবং দূরদর্শিতার পরিচয় দেন, কিন্তু মীরজুমলা আসাম জয় করার সিদ্ধান্ত নেন।
-
ভৌগোলিকভাবে আসাম ছিল দুর্গম ও বিস্তৃত, তবুও মীরজুমলা ছয় সপ্তাহেরও কম সময়ে গড়গাঁও পর্যন্ত জয় করেন।
-
রাজা পাহাড়ে আশ্রয় নিলে মোগল সৈন্যরা বর্ষাকালে বন্যা ও খাদ্যাভাবের মধ্যে পড়ে। রাস্তাঘাট ডুবে যায়, সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
-
আসামিদের রাত্রিকালীন আক্রমণ মোগলদের বিপাকে ফেলে, ফলে সৈন্যরা ঘোড়া হত্যা করে বাঁচতে থাকে।
-
খাদ্যাভাব ছাড়াও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও দূষিত পানি থেকে মহামারি ছড়িয়ে পড়ে, এতে সৈন্যবাহিনীর দুই-তৃতীয়াংশ মারা যায়।
-
মীরজুমলা নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েন, কিন্তু বর্ষা শেষে তিনি ও আসামের রাজা শান্তিচুক্তি করেন; যদিও তা মোগলদের অনুকূল, তবু মীরজুমলার প্রত্যাবর্তনের পর আসাম পুনরায় হাতছাড়া হয়।
-
ফেরার পথে খিজিরপুরে ১৬৬৩ খ্রিস্টাব্দের ৩০ মার্চ মীরজুমলার মৃত্যু হয়।

0
Updated: 3 days ago