Taenia solium একটি পরজীবী ফিতাকৃমি, যা মানুষের ক্ষুদ্রান্ত্রে পরজীবী হিসেবে বাস করে এবং সিস্টিসারকোসিস (Cysticercosis) রোগের সৃষ্টি করে। এটির জীবনচক্র জটিল, যেখানে দুটি পোষক প্রাণীর প্রয়োজন হয়—একটি প্রাথমিক ও একটি মধ্যবর্তী পোষক।

• প্রাথমিক পোষক: মানুষ; যার অন্ত্রে পূর্ণবয়স্ক ফিতাকৃমি অবস্থান করে ও ডিম উৎপন্ন করে।

• মধ্যবর্তী পোষক: শূকর; যার দেহে কৃমির লার্ভা বা সিস্টিসারকাস (Cysticercus cellulosae) অবস্থায় থাকে।

• জীবনচক্রের ধাপসমূহ: স্পার্মাটোগোনিয়ার মতো, প্রতিটি ডিম থেকে লার্ভা তৈরি হয় → শূকরের দেহে লার্ভা পেশিতে প্রবেশ করে → মানুষ অপর্যাপ্তভাবে রান্না করা মাংস খেলে সংক্রমিত হয় → মানুষের অন্ত্রে পূর্ণবয়স্ক কৃমি বিকশিত হয়।

• রোগের কারণ: সংক্রমিত মাংস খাওয়ার ফলে অন্ত্রে কৃমি বাসা বাঁধে, আর যদি ডিম শরীরে প্রবেশ করে তবে তা মস্তিষ্ক, চোখ বা পেশিতে পৌঁছে সিস্টিসারকোসিস ঘটাতে পারে।

• প্রতিরোধ: শূকরের মাংস ভালোভাবে রান্না করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং খাদ্য গ্রহণে সতর্ক থাকা সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর।

কোষ আবরণ (Cell membrane) বা প্লাজমা মেমব্রেন (Plasma membrane) হলো কোষের বাইরের সীমানা, যা কোষের অভ্যন্তরীণ অংশকে বাইরের পরিবেশ থেকে আলাদা রাখে এবং পদার্থের প্রবেশ ও নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করে।

• প্রধান উপাদান: কোষ আবরণের গঠন প্রধানত লিপিড (lipid) এবং প্রোটিন (protein) দ্বারা তৈরি।

• গঠন: এই দুটি উপাদান একত্রে একটি দ্বিস্তর (bi-layer) গঠন করে, যা ফসফোলিপিড দ্বিস্তর (phospholipid bilayer) নামে পরিচিত।

• কাজ: এটি অর্ধভেদ্য ঝিল্লি (semipermeable membrane) হিসেবে কাজ করে, যা প্রয়োজনীয় পদার্থকে কোষে প্রবেশ করতে দেয় এবং অপ্রয়োজনীয় পদার্থকে বের করে দেয়।