Vermicomposting- এ কোন পর্বের প্রাণী ব্যবহৃত হয়?
A
মোলাস্কা
B
আর্থ্রোপোডা
C
অ্যানেলিডা
D
সবগুলি
উত্তরের বিবরণ
ভার্মিকম্পোস্টিং (Vermicomposting) হলো একটি জৈব প্রক্রিয়া, যেখানে কেঁচো (worm) জৈব বর্জ্য ভেঙে পুষ্টিসমৃদ্ধ জৈব সার বা ভার্মিকাস্ট (vermicast)-এ পরিণত করে। এই প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত কেঁচোগুলো অ্যানেলিডা (Annelida) পর্বের প্রাণী।
-
ব্যবহৃত প্রজাতি: ভার্মিকম্পোস্টিংয়ে সাধারণত Eisenia fetida নামক কেঁচো প্রজাতি ব্যবহার করা হয়, যা “রেড উইগলার (Red wiggler)” নামেও পরিচিত।
-
কাজের ধরন: এরা জৈব বর্জ্য খেয়ে হজম করে, এবং তা পুষ্টিগুণসম্পন্ন মল (vermicast) হিসেবে ত্যাগ করে, যা উদ্ভিদের জন্য উৎকৃষ্ট সার হিসেবে কাজ করে।
-
গুরুত্ব: ভার্মিকম্পোস্ট মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি, মাইক্রোবিয়াল কার্যকলাপ উন্নতকরণ ও উদ্ভিদের পুষ্টি সরবরাহে অত্যন্ত কার্যকর।

0
Updated: 12 hours ago
পৃথিবীতে মোট কয়টি প্রানী-ভৌগলিক অঞ্চল আছে?
Created: 12 hours ago
A
২টি
B
৪টি
C
৬টি
D
৮টি
পৃথিবীর প্রাণী-ভৌগলিক অঞ্চল ছয়টি প্রধান ভাগে বিভক্ত, যা বিভিন্ন অঞ্চলের প্রাণিকুলের বিস্তার ও বৈচিত্র্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত। এই বিভাজন প্রথমে পাখিদের বিস্তৃতি বিবেচনা করে তৈরি করা হয়েছিল এবং পরবর্তীতে অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণীকেও এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
-
ছয়টি প্রধান প্রাণী-ভৌগলিক অঞ্চল:
-
প্যালিআর্কটিক (Palaearctic)
-
নিয়ার্কটিক (Nearctic)
-
নিওট্রপিক (Neotropic)
-
ইথিওপিয়ান (Ethiopian)
-
ওরিয়েন্টাল (Oriental)
-
অস্ট্রেলিয়ান (Australian)
-
-
বৈশিষ্ট্য: প্রতিটি অঞ্চল তাদের ভূগোল, জলবায়ু ও প্রাণিবৈচিত্র্যের দিক থেকে স্বতন্ত্র, এবং অনেক ক্ষেত্রে প্রজাতির বিবর্তন ও অভিযোজনের ইতিহাস বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 12 hours ago
পতঙ্গের শ্বাস প্রশ্বাস ছিদ্রের নাম কী?
Created: 12 hours ago
A
ট্রাকিউব্লাস্ট
B
স্টোমাটা
C
ট্রাকিয়া
D
স্পাইরাকল
স্পাইরাকল (Spiracle) হলো পতঙ্গের শ্বাস-প্রশ্বাসের ছিদ্র, যার মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেন দেহে প্রবেশ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়। এই ছিদ্রগুলো পতঙ্গের বক্ষ ও পেটের পার্শ্বভাগে অবস্থান করে।
-
অবস্থান: সাধারণত পতঙ্গের দেহে এক জোড়া বক্ষীয় ও আট জোড়া উদরীয় স্পাইরাকল থাকে।
-
কাজ: স্পাইরাকলের মাধ্যমে বাতাস ট্র্যাকিয়া (Trachea) নামক সূক্ষ্ম নালিকায় প্রবেশ করে, যা বাতাসকে শরীরের প্রতিটি কোষে পৌঁছে দেয়।
-
প্রক্রিয়া: এই ট্র্যাকিয়াল ব্যবস্থা সরাসরি গ্যাস বিনিময় (gas exchange) সম্পন্ন করে, ফলে পতঙ্গের রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন পরিবহণের প্রয়োজন হয় না।

0
Updated: 12 hours ago
FAO-এর রিপোর্ট অনুযায়ী জলজপ্রানী চাষাবাদে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান কততম?
Created: 1 day ago
A
প্রথম
B
দ্বিতীয়
C
পঞ্চম
D
দশম
FAO-এর ২০২৪ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী জলজপ্রাণী চাষাবাদে (Aquaculture) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। দেশের মৎস্য খাত এখন বিশ্ব র্যাংকিংয়ে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে রয়েছে, যা খাদ্যনিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
-
সামগ্রিক অবস্থান: জলজপ্রাণী চাষে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৫ম স্থানে রয়েছে।
-
মিঠা পানির মাছ উৎপাদন: Freshwater fish production বা মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ২য় স্থান, যা সাম্প্রতিক সময়ে চীনকে পিছিয়ে দিয়ে অর্জিত হয়েছে।
-
অর্থনৈতিক প্রভাব: এই অর্জন বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য খাতের জন্য একটি বড় মাইলফলক, কারণ মৎস্য খাত দেশের রপ্তানি আয় ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
কারণ ও সাফল্যের উপাদান: চাষাবাদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার, উপযুক্ত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, এবং সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা মিলে এই উন্নতি সম্ভব হয়েছে।
-
উপসংহার: জলজপ্রাণী চাষের সামগ্রিক দিক থেকে বাংলাদেশ ৫ম, তবে মিঠা পানির মাছ চাষে বিশ্বে ২য় স্থানে অবস্থান করছে—যা দেশের কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনে একটি অসাধারণ সাফল্য।

0
Updated: 1 day ago