Hirudo কোন পর্বের প্রানী?
A
প্রোটোজোয়া
B
পরিফেরা
C
মোলাস্কা
D
অ্যানেলিডা
উত্তরের বিবরণ
হিরুডো (Hirudo) গণের প্রাণী, যার মধ্যে জোঁক (Leech) অন্তর্ভুক্ত, তারা অ্যানেলিডা (Annelida) পর্বের সদস্য। এই পর্বের প্রাণীরা খণ্ডিত দেহ (segmented body)-যুক্ত কৃমি, যাদের শরীর সাধারণত নরম, দ্বিপার্শ্বিক প্রতিসম এবং কোইলাম বিশিষ্ট।
-
পর্বের বৈশিষ্ট্য: অ্যানেলিডা পর্বের প্রাণীরা সামুদ্রিক, মিঠা পানি ও স্থলজ পরিবেশে বাস করে।
-
হিরুডো গণের বৈশিষ্ট্য: এরা প্রধানত পরজীবী বা রক্তচোষা কৃমি, যাদের দেহের দুই প্রান্তে শোষক (sucker) থাকে—একটি অগ্রভাগে ও একটি পশ্চাদ্ভাগে।
-
উদাহরণ: Hirudo medicinalis (চিকিৎসা জোঁক) হলো এই গণের পরিচিত প্রজাতি, যা চিকিৎসা বিজ্ঞানে রক্ত নিঃসরণে ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 12 hours ago
কোনটি প্রাণীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য?
Created: 1 day ago
A
গ্যাস্ট্রুলেশন
B
বহুকোষী
C
যৌন প্রজনন
D
ফ্ল্যাজেলা
গ্যাস্ট্রুলেশন (Gastrulation) হলো প্রাণীজ ভ্রূণের বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যেখানে ব্লাস্টুলা (Blastula) নামক একস্তরবিশিষ্ট কোষগঠন অভ্যন্তরে ভাঁজ হয়ে গ্যাস্ট্রুলা (Gastrula) নামের বহুস্তরবিশিষ্ট গঠন তৈরি করে। এই প্রক্রিয়ায় ভ্রূণে তিনটি মূল কোষস্তর গঠিত হয়, যা থেকে ভবিষ্যতে প্রাণীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও টিস্যু তৈরি হয়।
-
প্রধান স্তরসমূহ:
-
এক্টোডার্ম (Ectoderm): বাহ্যস্তর; ত্বক, স্নায়ুতন্ত্র ও ইন্দ্রিয় অঙ্গের গঠন করে।
-
এন্ডোডার্ম (Endoderm): অভ্যন্তরীণ স্তর; পাচনতন্ত্র ও শ্বাসতন্ত্রের অভ্যন্তরীণ অংশ তৈরি করে।
-
মেসোডার্ম (Mesoderm): মধ্যবর্তী স্তর; পেশি, হাড়, রক্তনালী ও প্রজনন অঙ্গের বিকাশে ভূমিকা রাখে।
-
-
দ্বিস্তরী প্রাণী (Diploblastic): যেমন হাইড্রা (Hydra) বা Cnidarian, যাদের গ্যাস্ট্রুলেশনে শুধুমাত্র এক্টোডার্ম ও এন্ডোডার্ম গঠিত হয়।
-
ত্রিস্তরী প্রাণী (Triploblastic): যেমন প্লাটিহেলমিনথেস (Platyhelminthes) থেকে কর্ডেটস (Chordates) পর্যন্ত প্রাণীদের তিনটি স্তরই তৈরি হয়।
-
গুরুত্ব: গ্যাস্ট্রুলেশন হলো ভ্রূণের অক্ষ নির্ধারণ, কোষ বিভাজন ও টিস্যুর বিশেষায়নের সূচনা ধাপ, যা পরবর্তীতে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠনের ভিত্তি স্থাপন করে।
-
বৈজ্ঞানিক তাৎপর্য: প্রাণীদের শ্রেণিবিন্যাস, ভ্রূণীয় বিকাশ ও বিবর্তনীয় সম্পর্ক বোঝার ক্ষেত্রে এটি একটি মৌলিক সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়।

0
Updated: 1 day ago
সাপের বিষের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো-?
Created: 1 day ago
A
নিউরোটক্সিন
B
মায়োটক্সিন
C
কার্ডিওটক্সিন
D
উপরের সবগুলি
উ. প্রোটিন
-
সাপের বিষের (Snake venom) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর উপাদান হলো প্রোটিন, যা বিষের মোট উপাদানের প্রায় ৯০–৯৫% গঠন করে।
-
এই প্রোটিনগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের টক্সিন (Toxin) ও এনজাইম (Enzyme) থাকে, যা মানুষের শরীরে বিষাক্ত প্রভাব সৃষ্টি করে।
প্রধান উপাদান ও কার্যকারিতা:
-
প্রোটিন: সাপের বিষের মূল গঠন উপাদান; বিভিন্ন টক্সিন ও এনজাইম এর মাধ্যমেই বিষের জৈব ক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
-
এনজাইম: শরীরের কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফসফোলিপিড জাতীয় বড় অণুগুলো ভেঙে দেয়, ফলে কোষীয় ক্ষতি ও রক্তের জমাট বাঁধা প্রভাবিত হয়।
-
নিউরোটক্সিন (Neurotoxin): স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে; পক্ষাঘাত বা শ্বাসক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটায়।
-
সাইটোটক্সিন (Cytotoxin): কোষ ধ্বংস করে, টিস্যু নষ্ট ও পচন সৃষ্টি করে।
-
কার্ডিওটক্সিন (Cardiotoxin): হৃদপিণ্ডের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলে, রক্তচাপ কমিয়ে দেয়।
সারমর্ম: সাপের বিষ মূলত প্রোটিনজাত টক্সিন ও এনজাইমের জটিল মিশ্রণ, যা বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় সিস্টেমে ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে।

0
Updated: 1 day ago
কোন্ গ্রুপের মোলাস্কা খাদ্য হিসাবে বেশী ব্যবহার হয়?
Created: 14 hours ago
A
Slugs & Snails
B
Oysters & Mussels
C
Aplacophorans
D
Cap molluscs
মোলাস্কা সাধারণত মানুষের জন্য উপকারী হলেও কিছু প্রজাতি পরোক্ষভাবে ক্ষতিকর। ক্ষতিকারক মোলাস্কের মধ্যে স্লাগ ও জাহাজের পোকা (টেরেডো) উল্লেখযোগ্য। নিচে এর উপকারিতা ও ক্ষতির দিকগুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো।
-
স্লাগ কৃষিকাজ ও বাগানের জন্য ক্ষতিকর। তারা শুধু গাছের পাতা নয়, শিকড় ও কান্ড কেটে গাছ ধ্বংস করে ফসলের ক্ষতি ঘটায়।
-
টেরেডো বা জাহাজের পোকা সমুদ্রে ডুবে থাকা কাঠে গর্ত করে ঘাট, জাহাজ ও কাঠামোতে মারাত্মক ক্ষতি ঘটায়।
-
অনেক মোলাস্ক মানুষের খাদ্যের উৎস। বিশেষ করে ঝিনুক, স্ক্যালপ ও অক্টোপাস চীন, জাপান, মালয়, ইউরোপ ও আমেরিকায় খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
মিঠা পানির ঝিনুকের খোলস থেকে মুক্তা বোতাম তৈরি হয়, যা ন্যাক্রিয়াস স্তর দিয়ে গঠিত এবং ধোলাইয়ের উপযোগী অন্য কোনো পদার্থ এর সমান নয়।
-
আমেরিকায় ঝিনুকের খোলস রাস্তা তৈরিতে আলকার সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয় এবং এগুলো থেকে তৈরি চুন মুরগির ডিমের খোলস ও ভবন নির্মাণে কাজে লাগে।
-
মোলাস্কের খোলস বিশ্বজুড়ে অলঙ্কার ও গয়না তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। কিছু স্থানে কাউরি খোলস অর্থ ও অলঙ্কার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
অনেক ক্ল্যাম ও সামুদ্রিক ঝিনুক মুক্তা উৎপাদন করে, তবে সবচেয়ে মূল্যবান মুক্তা পাওয়া যায় পিঙ্কটাডা মার্গারিটিফেরা ও পিঙ্কটাডা মার্টেনসি প্রজাতি থেকে, যারা ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের উষ্ণ উপকূলে বাস করে।
-
মুক্তা তৈরি হয় যখন বালির কণা বা পরজীবী খোলস ও আবরণের মাঝে প্রবেশ করে এবং এর চারপাশে ন্যাক্রিয়াসের স্তর জমে মুক্তা গঠিত হয়।
-
জাপানে মুক্তা চাষ করা হয় কৃত্রিমভাবে ঝিনুকের আবরণের নিচে ছোট জ্বালাকর পদার্থ প্রবেশ করিয়ে, যা কয়েক বছরের মধ্যে ভালো মানের মুক্তায় পরিণত হয়।

0
Updated: 14 hours ago