A
এক প্রকার ধান
B
এক প্রকার গম
C
এক প্রকার আম
D
একটি নদীর নাম
উত্তরের বিবরণ
বাংলামতি ধান
বাংলামতি হলো একটি উন্নত জাতের ধান, যা দেখতে ও গন্ধে বাসমতি ধানের মতো। এটি ব্রি ধান-৫০ নামে পরিচিত এবং বোরো মৌসুমে চাষের উপযোগী।
-
উদ্ভাবন করেছে: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (BRRI)
-
জীবনকাল: প্রায় ১৫৫ দিন
-
উৎপাদন (সেচসহ): প্রতি হেক্টরে প্রায় ৬ টন
বাংলামতি ধানের বৈশিষ্ট্য:
-
গাছের উচ্চতা প্রায় ৮২ সেন্টিমিটার
-
গাছ সাধারণত হেলে পড়ে না
-
চাল লম্বা, চিকন, সাদা ও সুগন্ধি
-
ভাত ঝরঝরে হয়
-
চালের প্রোটিনের পরিমাণ ৮.২%
আরও কিছু উন্নত জাতের ধান (বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত)
-
ইরাটম
-
ব্রি হাইব্রিড-১
-
চান্দিনা
-
হীরা
-
মালা
-
বিপ্লব
-
দুলাভোগ
-
মোহিনী
-
সুফলা
-
আশা
-
প্রগতি
তথ্যসূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস

0
Updated: 4 days ago
একটি দেশের মোট আয়তনের কত শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন?
Created: 4 days ago
A
১৫-২০%
B
২০-২৫%
C
৩০-৩৫%
D
৩৫-৪০%
বন: প্রাকৃতিক সম্পদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ
একটি দেশের মোট জমির কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা খুবই জরুরি। এর মাধ্যমে ভূমির ক্ষয় রোধ, মাটি উর্বর রাখা, জলবায়ুর ভারসাম্য বজায় রাখা এবং বৃষ্টিপাত নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়।
বাংলাদেশের বনভূমি
বাংলাদেশের বনভূমি পাঁচটি প্রধান অঞ্চলে ভাগ করা যায়:
১। চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বন
২। সিলেটের বনাঞ্চল
৩। সুন্দরবন
৪। মধুপুর ও ভাওয়ালের বন
৫। দিনাজপুর ও রংপুরের বন
বাংলাদেশের বনাঞ্চলে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, কেওড়া, গর্জন, সেগুন, চাপালিস, গামারি, শিরীষ, শাল এর মতো গাছ পাওয়া যায়।
সুন্দরবনে গোলপাতা এবং সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে বাঁশ ও বেত প্রচুর পরিমাণে জন্মে।
এগুলো থেকে কাঠ সংগ্রহ করে ঘর-বাড়ি, আসবাবপত্র, নৌকা, রেলওয়ের স্লিপার, খুঁটি ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া বন থেকে আমরা জ্বালানি কাঠ, মধু, মোম, গোলপাতা প্রভৃতি পেয়ে থাকি, যা অনেক মানুষের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম।
বাংলাদেশের বনভূমির পরিমাণ
-
বাংলাদেশের মোট আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার।
-
সরকার নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ২৩ লাখ হেক্টর, যা মোট জমির প্রায় ১৫.৫৮%।
-
বন অধিদপ্তর পরিচালিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ১৬ লাখ হেক্টর, যা দেশের মোট আয়তনের প্রায় ১০.৭৪%।
-
মোট বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ দেশের মোট জমির ২২.৩৭%।
উৎস: অর্থনীতি, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 4 days ago
১৯৭১ সালে সর্বপ্রথম কোন পত্রিকা পাকিস্তানী বাহিনীর গণহত্যার উপর ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং এর প্রতিবেদন প্রকাশ করে?
Created: 4 days ago
A
নিউইয়র্ক টাইমস
B
ডেইলি মেইল
C
ডেইলি টেলিগ্রাফ
D
দ্য ইনডিপেনডেন্ট
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার খবর বিশ্বের সামনে প্রথমবারের মতো তুলে ধরেছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং। তিনি ব্রিটেনের বিখ্যাত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় কাজ করতেন। ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শুরু করা বর্বর হামলা ও গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তিনি।
সাইমন ড্রিং ১৯৭১ সালের ৬ মার্চ কম্বোডিয়া থেকে ঢাকায় আসেন। তখন পাকিস্তান সরকার ঢাকায় অবস্থানরত প্রায় ৫০ জন বিদেশি সাংবাদিককে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আটকে রাখে এবং তাদেরকে দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করে, যেন তারা গণহত্যার কোনো তথ্য প্রকাশ করতে না পারে। কিন্তু সাইমন ড্রিং লুকিয়ে থেকে গণহত্যার ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করেন। তিনি হোটেলের ছাদ, কিচেন, বার এমনকি লবিতেও লুকিয়ে ছিলেন প্রায় ৩২ ঘণ্টা।
২৫ মার্চের রাতের গণহত্যা শেষে যখন ২৭ মার্চ কারফিউ উঠল, তখন তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন—বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পুরান ঢাকা ও ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। এরপর ৩০ মার্চ তার লেখা প্রতিবেদন ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এটাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন।
তিনি এরপর কলকাতা থেকে খবর পাঠিয়ে লন্ডনের পত্রিকায় প্রকাশ করতে থাকেন। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের সময় তিনি আবার ঢাকায় ফিরে আসেন এবং বঙ্গবন্ধুর ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনেও ঢাকায় উপস্থিত ছিলেন।
২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার সাইমন ড্রিংকে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা প্রদান করে।
অন্যান্য সাংবাদিকদের অবদান
-
এস্থনি ম্যাসকারেনহাস পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে সচেতনতা তৈরি করেন।
-
বিবিসির সাংবাদিক মার্ক টালি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবিরত খবর প্রচার করেছেন।
-
অনেক বাংলাদেশি সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের ভেতর থেকে তথ্য বাইরে পাঠিয়েছেন।
-
নিজামউদ্দিন ও নাজমুল হক শহিদ হন সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে।
-
আকাশবাণী, বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকা (ভোয়া) বাংলাদেশের পক্ষে প্রচার চালায়।
-
আকাশবাণী কলকাতা থেকে প্রচারিত “সংবাদ পরিক্রমা” ছিল খুবই জনপ্রিয়।
-
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে “বজ্রকণ্ঠ” ও “চরমপত্র” অনুষ্ঠানগুলো মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে।
উৎসঃ দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা

0
Updated: 4 days ago