কোন্ প্রাণীতে পানি সংবহনতন্ত্র দেখতে পাওয়া যায়?
A
Sea-anemone
B
Sea-cucumber
C
Sea-horse
D
Sea-pen
উত্তরের বিবরণ
পানি সংবহনতন্ত্র (Water vascular system) হলো ইকাইনোডার্মাটা (Echinodermata) পর্বের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অঙ্গতন্ত্র, যা শুধুমাত্র এই পর্বের প্রাণীদের মধ্যেই পাওয়া যায়। এদের মধ্যে তারামাছ, শঙ্খ, সি-কিউকাম্বার (Sea cucumber) প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত।
-
গঠন: এই তন্ত্রটি দেহের ভেতরে অবস্থিত পানিতে পূর্ণ নালিকা ও গহ্বরের জটিল কাঠামো, যার মূল অংশ হলো ম্যাড্রেপোরাইট, রিং ক্যানাল, রেডিয়াল ক্যানাল ও টিউব ফুট (Tube feet)।
-
কাজ:
-
চলাচল: টিউব ফুটের মাধ্যমে পানির চাপ ব্যবহার করে তারা সঞ্চালন বা গমনাগমন করে।
-
খাদ্য গ্রহণ: টিউব ফুট খাবার ধরতে ও মুখে আনতে সাহায্য করে।
-
শ্বসন: এই তন্ত্র গ্যাস বিনিময়েও ভূমিকা রাখে।
-
-
গুরুত্ব: পানি সংবহনতন্ত্র ইকাইনোডার্মদের চলাচল, খাদ্যগ্রহণ ও শ্বসন প্রক্রিয়াকে সমন্বিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, যা তাদের স্বতন্ত্র শারীরবৃত্তীয় অভিযোজনের একটি দৃষ্টান্ত।

0
Updated: 13 hours ago
FAO-এর রিপোর্ট অনুযায়ী জলজপ্রানী চাষাবাদে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান কততম?
Created: 1 day ago
A
প্রথম
B
দ্বিতীয়
C
পঞ্চম
D
দশম
FAO-এর ২০২৪ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী জলজপ্রাণী চাষাবাদে (Aquaculture) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। দেশের মৎস্য খাত এখন বিশ্ব র্যাংকিংয়ে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে রয়েছে, যা খাদ্যনিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
-
সামগ্রিক অবস্থান: জলজপ্রাণী চাষে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৫ম স্থানে রয়েছে।
-
মিঠা পানির মাছ উৎপাদন: Freshwater fish production বা মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ২য় স্থান, যা সাম্প্রতিক সময়ে চীনকে পিছিয়ে দিয়ে অর্জিত হয়েছে।
-
অর্থনৈতিক প্রভাব: এই অর্জন বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য খাতের জন্য একটি বড় মাইলফলক, কারণ মৎস্য খাত দেশের রপ্তানি আয় ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
কারণ ও সাফল্যের উপাদান: চাষাবাদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার, উপযুক্ত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, এবং সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা মিলে এই উন্নতি সম্ভব হয়েছে।
-
উপসংহার: জলজপ্রাণী চাষের সামগ্রিক দিক থেকে বাংলাদেশ ৫ম, তবে মিঠা পানির মাছ চাষে বিশ্বে ২য় স্থানে অবস্থান করছে—যা দেশের কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনে একটি অসাধারণ সাফল্য।

0
Updated: 1 day ago
প্রতিযোগিতার উদাহরণ নয় কোনটি?
Created: 1 day ago
A
Intraspecific competition
B
Interspecific competition
C
Interference competition
D
Exploitation competition
উ. সবগুলোই প্রতিযোগিতার উদাহরণ
-
Intraspecific competition (আন্তঃপ্রজাতি প্রতিযোগিতা): একই প্রজাতির সদস্যদের মধ্যে সীমিত সম্পদের জন্য প্রতিযোগিতা ঘটে, যেমন একই প্রজাতির পাখিরা খাদ্য বা বাসা বানানোর স্থানের জন্য লড়াই করে।
-
Interspecific competition (আন্তঃপ্রজাতি প্রতিযোগিতা): ভিন্ন প্রজাতির জীবদের মধ্যে সীমিত সম্পদের জন্য প্রতিযোগিতা হয়, যেমন সিংহ ও চিতাবাঘ একই শিকারকে ধরার চেষ্টা করে।
-
Interference competition (হস্তক্ষেপ প্রতিযোগিতা): এক জীব সরাসরি অন্য জীবকে বাধা দেয় বা আক্রমণ করে, যেমন পুরুষ হরিণেরা প্রজননস্থলের নিয়ন্ত্রণের জন্য একে অপরের সঙ্গে লড়াই করে।
-
Exploitation competition (শোষণ প্রতিযোগিতা): জীবেরা সরাসরি লড়াই না করে পরোক্ষভাবে একই সম্পদ ব্যবহার করে একে অপরের সুযোগ কমিয়ে দেয়, যেমন গাছেরা আলো বা পুষ্টি পাওয়ার জন্য একে অপরকে ছায়া দেয়।
সুতরাং, Exploitation competition-ও প্রতিযোগিতার একটি ধরন, তাই এটি “প্রতিযোগিতার উদাহরণ নয়” — এই উত্তরটি সঠিক নয়।

0
Updated: 1 day ago
খাদ্যাভ্যাস অনুযায়ী কোরাল কোন্ ধরণের প্রানী?
Created: 14 hours ago
A
Omnivores
B
Carnivores
C
Detritivores
D
Herbivores
প্রবাল (Coral) হলো Cnidaria পর্বের অমেরুদণ্ডী মাংসাশী প্রাণী, যারা অসংখ্য ক্ষুদ্র পলিপ (Polyp) দ্বারা গঠিত একটি উপনিবেশে বাস করে। প্রতিটি পলিপ এক একটি ক্ষুদ্র দেহবিশিষ্ট প্রাণী, যা একত্রে বৃহৎ প্রবাল কাঠামো তৈরি করে।
-
প্রতিটি পলিপের চারপাশে স্পর্শক (tentacles) থাকে, যার মধ্যে nematocyst বা stinging cells অবস্থান করে।
-
এই কোষগুলোর মাধ্যমে প্রবাল ক্ষুদ্র জলজ প্রাণী যেমন প্ল্যাঙ্কটন ধরে ফেলে ও হজম করে।
-
এভাবে প্রবাল খাদ্য সংগ্রহ ও আত্মরক্ষায় উভয় ক্ষেত্রেই এই দংশনকারী কোষ ব্যবহার করে।

0
Updated: 14 hours ago