ফিতাকৃমির দেহ থেকে গ্রাভিড প্রোগ্লোটিড খসে পড়ার প্রক্রিয়াকে বলা হয়?
A
অ্যাপোফাইসিস
B
অ্যাপোলাইসিস
C
প্রোগ্লোসিস
D
প্রোপোলাইসিস
উত্তরের বিবরণ
অ্যাপোলাইসিস (Apolysis) হলো এমন একটি জৈবিক প্রক্রিয়া, যেখানে দেহের কোনো অংশ বা গঠন আলাদা হয়ে যায়, এবং এটি বিভিন্ন প্রাণী গোষ্ঠীতে ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্যে ঘটে।
-
পরজীবীতে (যেমন ফিতাকৃমি): অ্যাপোলাইসিস প্রক্রিয়ায় পরিপক্ক প্রোগ্লোটিড (proglottid) দেহ থেকে আলাদা হয়ে যায়। এই খণ্ডগুলিতে ডিম থাকে, যা বাহিরে নির্গত হয়ে পরজীবীর প্রজননে সহায়তা করে।
-
আর্থ্রোপডে (যেমন কীট-পতঙ্গ): এখানে অ্যাপোলাইসিস হলো পুরনো কিউটিকল (cuticle) থেকে এপিডার্মাল কোষের (epidermal cell) পৃথক হওয়ার প্রক্রিয়া, যা খোলস পরিবর্তন বা মোল্টিং (molting)-এর একটি ধাপ।
-
গুরুত্ব: প্রথম ক্ষেত্রে এটি প্রজনন প্রক্রিয়ার অংশ, আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে এটি বৃদ্ধি ও নতুন খোলস গঠনের জন্য অপরিহার্য।

0
Updated: 13 hours ago
'রয়েল জেলি' কোন্ পতঙ্গতে পাওয়া যায়?
Created: 23 hours ago
A
প্রজাপতি
B
পিপড়া
C
মৌমাছি
D
উইপোকা
উ. মৌমাছি
-
‘রয়েল জেলি (Royal Jelly)’ হলো এক ধরনের পুষ্টিকর পদার্থ, যা মৌমাছির কর্মী মৌমাছির হাইপোফ্যারিনজিয়াল গ্রন্থি (Hypopharyngeal gland) থেকে নিঃসৃত হয়।
-
এটি রানী মৌমাছির (Queen bee) খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং তার দ্রুত বৃদ্ধি ও প্রজননক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
রয়েল জেলিতে প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, শর্করা, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে।
-
প্রজাপতি, পিঁপড়া ও উইপোকার দেহে এই পদার্থ তৈরি হয় না; এটি শুধু মৌমাছির বিশেষ গ্রন্থি থেকেই উৎপন্ন হয়।

0
Updated: 23 hours ago
FAO-এর রিপোর্ট অনুযায়ী জলজপ্রানী চাষাবাদে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান কততম?
Created: 1 day ago
A
প্রথম
B
দ্বিতীয়
C
পঞ্চম
D
দশম
FAO-এর ২০২৪ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী জলজপ্রাণী চাষাবাদে (Aquaculture) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। দেশের মৎস্য খাত এখন বিশ্ব র্যাংকিংয়ে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে রয়েছে, যা খাদ্যনিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
-
সামগ্রিক অবস্থান: জলজপ্রাণী চাষে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৫ম স্থানে রয়েছে।
-
মিঠা পানির মাছ উৎপাদন: Freshwater fish production বা মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ২য় স্থান, যা সাম্প্রতিক সময়ে চীনকে পিছিয়ে দিয়ে অর্জিত হয়েছে।
-
অর্থনৈতিক প্রভাব: এই অর্জন বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য খাতের জন্য একটি বড় মাইলফলক, কারণ মৎস্য খাত দেশের রপ্তানি আয় ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
কারণ ও সাফল্যের উপাদান: চাষাবাদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার, উপযুক্ত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, এবং সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা মিলে এই উন্নতি সম্ভব হয়েছে।
-
উপসংহার: জলজপ্রাণী চাষের সামগ্রিক দিক থেকে বাংলাদেশ ৫ম, তবে মিঠা পানির মাছ চাষে বিশ্বে ২য় স্থানে অবস্থান করছে—যা দেশের কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনে একটি অসাধারণ সাফল্য।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি প্রাণীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য?
Created: 1 day ago
A
গ্যাস্ট্রুলেশন
B
বহুকোষী
C
যৌন প্রজনন
D
ফ্ল্যাজেলা
গ্যাস্ট্রুলেশন (Gastrulation) হলো প্রাণীজ ভ্রূণের বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যেখানে ব্লাস্টুলা (Blastula) নামক একস্তরবিশিষ্ট কোষগঠন অভ্যন্তরে ভাঁজ হয়ে গ্যাস্ট্রুলা (Gastrula) নামের বহুস্তরবিশিষ্ট গঠন তৈরি করে। এই প্রক্রিয়ায় ভ্রূণে তিনটি মূল কোষস্তর গঠিত হয়, যা থেকে ভবিষ্যতে প্রাণীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও টিস্যু তৈরি হয়।
-
প্রধান স্তরসমূহ:
-
এক্টোডার্ম (Ectoderm): বাহ্যস্তর; ত্বক, স্নায়ুতন্ত্র ও ইন্দ্রিয় অঙ্গের গঠন করে।
-
এন্ডোডার্ম (Endoderm): অভ্যন্তরীণ স্তর; পাচনতন্ত্র ও শ্বাসতন্ত্রের অভ্যন্তরীণ অংশ তৈরি করে।
-
মেসোডার্ম (Mesoderm): মধ্যবর্তী স্তর; পেশি, হাড়, রক্তনালী ও প্রজনন অঙ্গের বিকাশে ভূমিকা রাখে।
-
-
দ্বিস্তরী প্রাণী (Diploblastic): যেমন হাইড্রা (Hydra) বা Cnidarian, যাদের গ্যাস্ট্রুলেশনে শুধুমাত্র এক্টোডার্ম ও এন্ডোডার্ম গঠিত হয়।
-
ত্রিস্তরী প্রাণী (Triploblastic): যেমন প্লাটিহেলমিনথেস (Platyhelminthes) থেকে কর্ডেটস (Chordates) পর্যন্ত প্রাণীদের তিনটি স্তরই তৈরি হয়।
-
গুরুত্ব: গ্যাস্ট্রুলেশন হলো ভ্রূণের অক্ষ নির্ধারণ, কোষ বিভাজন ও টিস্যুর বিশেষায়নের সূচনা ধাপ, যা পরবর্তীতে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠনের ভিত্তি স্থাপন করে।
-
বৈজ্ঞানিক তাৎপর্য: প্রাণীদের শ্রেণিবিন্যাস, ভ্রূণীয় বিকাশ ও বিবর্তনীয় সম্পর্ক বোঝার ক্ষেত্রে এটি একটি মৌলিক সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়।

0
Updated: 1 day ago