১৯৭১ সালে সর্বপ্রথম কোন পত্রিকা পাকিস্তানী বাহিনীর গণহত্যার উপর ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং এর প্রতিবেদন প্রকাশ করে?
A
নিউইয়র্ক টাইমস
B
ডেইলি মেইল
C
ডেইলি টেলিগ্রাফ
D
দ্য ইনডিপেনডেন্ট
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার খবর বিশ্বের সামনে প্রথমবারের মতো তুলে ধরেছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং। তিনি ব্রিটেনের বিখ্যাত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় কাজ করতেন। ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শুরু করা বর্বর হামলা ও গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তিনি।
সাইমন ড্রিং ১৯৭১ সালের ৬ মার্চ কম্বোডিয়া থেকে ঢাকায় আসেন। তখন পাকিস্তান সরকার ঢাকায় অবস্থানরত প্রায় ৫০ জন বিদেশি সাংবাদিককে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আটকে রাখে এবং তাদেরকে দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করে, যেন তারা গণহত্যার কোনো তথ্য প্রকাশ করতে না পারে। কিন্তু সাইমন ড্রিং লুকিয়ে থেকে গণহত্যার ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করেন। তিনি হোটেলের ছাদ, কিচেন, বার এমনকি লবিতেও লুকিয়ে ছিলেন প্রায় ৩২ ঘণ্টা।
২৫ মার্চের রাতের গণহত্যা শেষে যখন ২৭ মার্চ কারফিউ উঠল, তখন তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন—বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পুরান ঢাকা ও ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। এরপর ৩০ মার্চ তার লেখা প্রতিবেদন ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এটাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন।
তিনি এরপর কলকাতা থেকে খবর পাঠিয়ে লন্ডনের পত্রিকায় প্রকাশ করতে থাকেন। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের সময় তিনি আবার ঢাকায় ফিরে আসেন এবং বঙ্গবন্ধুর ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনেও ঢাকায় উপস্থিত ছিলেন।
২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার সাইমন ড্রিংকে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা প্রদান করে।
অন্যান্য সাংবাদিকদের অবদান
-
এস্থনি ম্যাসকারেনহাস পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে সচেতনতা তৈরি করেন।
-
বিবিসির সাংবাদিক মার্ক টালি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবিরত খবর প্রচার করেছেন।
-
অনেক বাংলাদেশি সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের ভেতর থেকে তথ্য বাইরে পাঠিয়েছেন।
-
নিজামউদ্দিন ও নাজমুল হক শহিদ হন সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে।
-
আকাশবাণী, বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকা (ভোয়া) বাংলাদেশের পক্ষে প্রচার চালায়।
-
আকাশবাণী কলকাতা থেকে প্রচারিত “সংবাদ পরিক্রমা” ছিল খুবই জনপ্রিয়।
-
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে “বজ্রকণ্ঠ” ও “চরমপত্র” অনুষ্ঠানগুলো মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে।
উৎসঃ দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা
0
Updated: 3 months ago
সাইমন ড্রিং ১৯৭১ সালে কোন পত্রিকার প্রতিবেদক হিসেবে বাংলাদেশে আসেন?
Created: 1 month ago
A
দ্য টাইমস
B
দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ
C
দ্য গার্ডিয়ান
D
দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং টেলিভিশন উপস্থাপক ও পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার সময় তিনি প্রথম প্রত্যক্ষদর্শী বিদেশি সাংবাদিক ছিলেন।
-
সাইমন ড্রিং লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফ, ডেইলি মেইল, দ্য সানডে টাইমস, নিউজউইক, বিবিসি টেলিভিশন রেডিও নিউজ, রয়টার প্রভৃতিতে সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
-
১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে চালু হওয়া প্রথম বেসরকারি চ্যানেল একুশে টেলিভিশন-এর যুগ্ম ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ঘটনা:
-
১৯৭১ সালের ৬ মার্চ কম্বোডিয়া থেকে ঢাকায় আসেন দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের প্রতিবেদক হিসেবে।
-
২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী গণহত্যা শুরু করার আগে ঢাকায় অবস্থানরত প্রায় অর্ধশত বিদেশি সাংবাদিককে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আটকে ফেলে। সাইমন ড্রিং হোটেলে লুকিয়ে থেকে ৩২ ঘণ্টা লবি, ছাদ, বার ও কিচেনে অবস্থান করেন।
-
পরে তিনি সরাসরি গণহত্যার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পুরান ঢাকা ও ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় দেখেন।
-
৩০ মার্চ ১৯৭১ তার মুক্তিযুদ্ধের প্রথম খবর প্রকাশ করেন ডেইলি টেলিগ্রাফে।
-
কলকাতা থেকে সংগ্রহকৃত তথ্য লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফে পাঠাতেন।
-
১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের খবর জানার পর ঢাকায় ফিরে আসেন।
-
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একাত্তরে বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানো এই ব্রিটিশ সাংবাদিককে ২০১২ সালে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
কোন তারিখে আসাদুজ্জামান আসাদ পুলিশের গুলিতে শহিদ হন?
Created: 1 month ago
A
১৮ জানুয়ারি ১৯৬৯
B
২০ জানুয়ারি ১৯৬৯
C
২২ জানুয়ারি ১৯৬৯
D
২৪ জানুয়ারি ১৯৬৯
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে ছাত্র আন্দোলন একটি ঐতিহাসিক রূপ নেয়, যেখানে শহীদ আসাদসহ অনেকের আত্মত্যাগ আন্দোলনকে আরও বেগবান করে তোলে।
-
১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান
-
আইয়ুব বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ১৯৬৮ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হলেও ১৯৬৯ সালের জানুয়ারিতে তা তুঙ্গে ওঠে এবং মধ্য জানুয়ারিতে পূর্ণ গণআন্দোলনের রূপ নেয়।
-
ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ দেশের সকল মৌলিক গণতন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানালে অনেকে সে আহ্বানে সাড়া দেন।
-
ছাত্র ও শিক্ষক সমাজ ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে।
-
আইয়ুব খান পুলিশ, ইপিআর ও সেনাবাহিনী দিয়ে আন্দোলন দমন করার চেষ্টা চালান।
-
১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন গ্রুপ)-এর নেতা আসাদুজ্জামান পুলিশের গুলিতে শহীদ হলে আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
-
আন্দোলন আরও চরম আকার ধারণ করে যখন ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা প্রক্টরের দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের গুলি ও বেয়নেট চার্জে মৃত্যুবরণ করেন।
-
-
উল্লেখযোগ্য তথ্য
-
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে ‘এগারো দফা’ প্রণীত হয়।
-
এই আন্দোলনের মাধ্যমেই আইয়ুব খানের পতন ঘটে।
-
0
Updated: 1 month ago
‘সেকেন্ডারি মার্কেট’ কিসের সাথে সংশ্লিষ্ট?
Created: 1 month ago
A
শ্রম বাজার
B
চাকুরি বাজার
C
স্টক মার্কেট
D
কৃষি বাজার
পুঁজি বাজার বা স্টক মার্কেটকে সাধারণত সেকেন্ডারি মার্কেট হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যেখানে কোম্পানির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। বাংলাদেশে এই বাজার পরিচালনার জন্য দুটি প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ রয়েছে।
-
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (DSE), প্রতিষ্ঠিত ১৯৫৪ সালে, কিন্তু আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে ১৯৫৬ সালে নারায়ণগঞ্জে। পরবর্তীতে ১৯৫৮ সালে ঢাকার মতিঝিলে স্থানান্তরিত হয়।
-
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (CSE), প্রতিষ্ঠিত ১৯৯৫ সালে।
-
বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (BSEC), যা ১৯৯৩ সালের ৮ জুন প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
এই কমিশনের মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রাহকের পুঁজির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পুঁজি বাজারে বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করা।
0
Updated: 1 month ago