কুমীরের বৈশিষ্ট্য নয় কোনটি?
A
শীতল রক্তবিশিস্ট
B
ডিমপাড়া প্রানী
C
শক্তিশালী চোয়াল
D
সর্বভুক ও নিশাচর
উত্তরের বিবরণ
কুমির হলো শক্তিশালী ও আধা-জলজ সরীসৃপ, যার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো শক্তিশালী চোয়াল, পুরু আঁশযুক্ত ত্বক এবং জল ও স্থলে সমানভাবে বসবাসের ক্ষমতা। এদের চোখ, কান ও নাকের ছিদ্র এমনভাবে অবস্থান করে যে দেহের বেশিরভাগ অংশ জলে ডুবে থাকলেও শ্বাস নেওয়া ও শিকার পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়।
-
চোয়াল: কুমিরের চোয়াল অত্যন্ত শক্তিশালী ও শঙ্কু-আকৃতির দাঁতে পরিপূর্ণ। চোয়াল খোলার পেশী তুলনামূলক দুর্বল হলেও বন্ধ করার পেশী খুব শক্তিশালী, যা শিকার ধরতে সহায়ক।
-
ত্বক: দেহের ত্বক পুরু, শক্ত এবং আঁশযুক্ত, যা সুরক্ষা প্রদান করে।
-
লেজ: এদের লম্বা ও শক্তিশালী লেজ সাঁতার ও শিকার ধরতে সাহায্য করে।
-
পা: কুমিরের ছোট পা ও নখরযুক্ত আঙুল থাকে; পায়ের মধ্যে জালযুক্ত ত্বক থাকার কারণে সহজে সাঁতার কাটতে পারে।
-
শ্বাস-প্রশ্বাস: চোখ, কান ও নাকের ছিদ্র জলের উপরে থাকে, ফলে দেহ ডুবিয়ে রেখেও তারা দেখতে, শুনতে ও শ্বাস নিতে পারে।
আচরণ ও জীবনযাত্রা:
-
আবাসস্থল: কুমির উষ্ণ জলবায়ু পছন্দ করে এবং জল ও স্থল উভয় পরিবেশে বসবাস করে।
-
খাদ্য: এরা মাংসাশী, সাধারণত মাছ, পাখি ও ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী খায়; বড় কুমির গৃহপালিত পশু বা মানুষকেও আক্রমণ করতে পারে।
-
প্রজনন: স্ত্রী কুমির বালি বা মাটিতে ডিম পাড়ে।
-
জীবনকাল: সাধারণ কুমির প্রায় ৩০–৪০ বছর বাঁচে, তবে লবণ পানির কুমির ৬০–৭০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য:
-
কুমিরের চার-কক্ষবিশিষ্ট হৃদপিণ্ড থাকে, যা অন্যান্য সরীসৃপের তুলনায় উন্নত।
-
এদের দাঁত হাড়ে প্রোথিত, যা স্তন্যপায়ী প্রাণীর বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

0
Updated: 13 hours ago
Platanista gangetica কী?
Created: 1 day ago
A
সাপ
B
মাছ
C
শুশুক
D
ডলফিন
Platanista gangetica, যা সাধারণভাবে দক্ষিণ এশীয় নদীর ডলফিন (South Asian River Dolphin) নামে পরিচিত, একটি মিঠাপানির দাঁতাল তিমি (toothed whale) প্রজাতি। এটি মূলত গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র এবং সিন্ধু নদী অববাহিকায় বাস করে এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী হিসেবে বিবেচিত।
-
বাসস্থান: গঙ্গা ও সিন্ধু নদীসহ ভারতের উত্তরাঞ্চল, নেপাল এবং বাংলাদেশের মিঠাপানির নদীগুলোতে পাওয়া যায়। নদীর ঘোলা, ধীর গতিসম্পন্ন জলে এদের বসবাস উপযোগী।
-
দৃষ্টিশক্তি ও ইকোলোকেশন: এদের চোখ ছোট এবং লেন্সহীন, ফলে কার্যত অন্ধ। দিকনির্দেশনা ও খাদ্য সন্ধানের জন্য তারা ইকোলোকেশন (echolocation) ব্যবহার করে, অর্থাৎ শব্দতরঙ্গ প্রতিফলনের মাধ্যমে চারপাশের পরিবেশ শনাক্ত করে।
-
খাদ্যাভ্যাস: প্রধানত মাছ, চিংড়ি ও অন্যান্য ছোট জলজ প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে।
-
সামাজিক আচরণ: সাধারণত একা বা ছোট দলের মধ্যে সক্রিয় থাকে এবং পানির উপরে নিঃশ্বাস নিতে উঠে আসে।
-
সংরক্ষণ অবস্থা: আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা (IUCN) এই প্রজাতিটিকে বিপন্ন (Endangered) হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
-
প্রধান হুমকি: নদীতে বাঁধ নির্মাণ, অতিরিক্ত মাছ ধরা, জালের ফাঁদে পড়া, রাসায়নিক দূষণ ও শব্দদূষণ এদের টিকে থাকার জন্য বড় হুমকি সৃষ্টি করেছে।

0
Updated: 1 day ago
'রয়েল জেলি' কোন্ পতঙ্গতে পাওয়া যায়?
Created: 23 hours ago
A
প্রজাপতি
B
পিপড়া
C
মৌমাছি
D
উইপোকা
উ. মৌমাছি
-
‘রয়েল জেলি (Royal Jelly)’ হলো এক ধরনের পুষ্টিকর পদার্থ, যা মৌমাছির কর্মী মৌমাছির হাইপোফ্যারিনজিয়াল গ্রন্থি (Hypopharyngeal gland) থেকে নিঃসৃত হয়।
-
এটি রানী মৌমাছির (Queen bee) খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং তার দ্রুত বৃদ্ধি ও প্রজননক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
রয়েল জেলিতে প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, শর্করা, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে।
-
প্রজাপতি, পিঁপড়া ও উইপোকার দেহে এই পদার্থ তৈরি হয় না; এটি শুধু মৌমাছির বিশেষ গ্রন্থি থেকেই উৎপন্ন হয়।

0
Updated: 23 hours ago
Thrips-পতঙ্গের মুখোপাঙ্গ কোন্ ধরণের?
Created: 12 hours ago
A
রাস্পিং ও সাকিং টাইপ
B
পেয়ারসিং ও সাকিং টাইপ
C
সাইফোনিং টাইপ
D
স্পনজিং ও সাকিং টাইপ
থ্রিপস (Thrips) পতঙ্গের মুখোপাঙ্গ হলো ছিদ্রকরণ ও চোষণ (piercing and sucking) ধরনের। এই মুখগঠন তাদেরকে গাছের কোষে সূঁচের মতো অংশ প্রবেশ করিয়ে উদ্ভিদের রস শোষণ করতে সক্ষম করে।
-
গঠন: থ্রিপসের মুখে স্টাইলেট-সদৃশ সূক্ষ্ম অংশ থাকে, যা গাছের কোষে ছিদ্র সৃষ্টি করে।
-
কাজ: এরা উদ্ভিদের কোষরস চুষে খায়, ফলে পাতায় বিবর্ণ দাগ, কুঁচকানো এবং বিকৃতি দেখা দেয়।
-
গুরুত্ব: থ্রিপস কৃষিক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষতিকারক পতঙ্গ, কারণ এটি শুধু রস শোষণ করেই ক্ষতি করে না, বরং বিভিন্ন ভাইরাসজনিত রোগও ছড়ায়।

0
Updated: 12 hours ago