বাংলামতি কি?
A
এক প্রকার ধান
B
এক প্রকার গম
C
এক প্রকার আম
D
একটি নদীর নাম
উত্তরের বিবরণ
বাংলামতি ধান
বাংলামতি হলো একটি উন্নত জাতের ধান, যা দেখতে ও গন্ধে বাসমতি ধানের মতো। এটি ব্রি ধান-৫০ নামে পরিচিত এবং বোরো মৌসুমে চাষের উপযোগী।
-
উদ্ভাবন করেছে: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (BRRI)
-
জীবনকাল: প্রায় ১৫৫ দিন
-
উৎপাদন (সেচসহ): প্রতি হেক্টরে প্রায় ৬ টন
বাংলামতি ধানের বৈশিষ্ট্য:
-
গাছের উচ্চতা প্রায় ৮২ সেন্টিমিটার
-
গাছ সাধারণত হেলে পড়ে না
-
চাল লম্বা, চিকন, সাদা ও সুগন্ধি
-
ভাত ঝরঝরে হয়
-
চালের প্রোটিনের পরিমাণ ৮.২%
আরও কিছু উন্নত জাতের ধান (বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত)
-
ইরাটম
-
ব্রি হাইব্রিড-১
-
চান্দিনা
-
হীরা
-
মালা
-
বিপ্লব
-
দুলাভোগ
-
মোহিনী
-
সুফলা
-
আশা
-
প্রগতি
তথ্যসূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস
0
Updated: 3 months ago
মহাস্থবীর শিলভদ্র কোন মহাবিহারের আচার্য ছিলেন?
Created: 2 months ago
A
আনন্দ বিহার
B
নালন্দা বিহার
C
গোসিপো বিহার
D
সোমপুর বিহার
মহাস্থবীর শীলভদ্র নালন্দা মহাবিহারের আচার্য ছিলেন
নালন্দা মহাবিহার
-
নালন্দা প্রাচীন ভারতের এক খ্যাতনামা বৌদ্ধ মহাবিহার।
-
সপ্তম শতকে এটি বৌদ্ধ শিক্ষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল।
-
ধারণা করা হয়, গুপ্ত সম্রাটরাই এই বিখ্যাত মহাবিহারটি নির্মাণ করেছিলেন।
-
পঞ্চম শতক থেকে প্রায় ১২০০ শতক পর্যন্ত নালন্দা একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল।
-
এটি বিহারের পাটনা থেকে প্রায় ৯৫ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে এবং বিহার শরিফ শহরের কাছে অবস্থিত।
-
চৈনিক তীর্থযাত্রী জুয়ান জাং ও ইজিং নালন্দা সম্পর্কে লিখেছেন; তাঁরা সপ্তম শতকে এখানে ভ্রমণ করেছিলেন।
-
বিখ্যাত চীনা তীর্থযাত্রী হিউয়েন-সাংও নালন্দায় কয়েক বছর পড়াশোনা করেছিলেন।
-
নালন্দার পণ্ডিতগণ তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিখ্যাত ছিলেন।
-
হিউয়েন-সাংয়ের সময়, নালন্দার আচার্য ছিলেন বাঙালি বৌদ্ধ ভিক্ষু শীলভদ্র, যিনি সমতটের প্রথম প্রধান দার্শনিক ছিলেন।
-
শীলভদ্র সন্ন্যাস জীবন শুরু করার আগে যুক্তিবিদ্যা, ভাষাতত্ত্ব, সাংখ্যদর্শন ও ধর্মশাস্ত্রে প্রগভভাবে অধ্যয়ন করেছিলেন।
-
তিনি প্রথম বাঙালি বৌদ্ধ শিক্ষক, যিনি বাংলার বাইরে এই ধরনের মর্যাদা অর্জন করেছিলেন।
উল্লেখযোগ্য:
-
বর্তমান নালন্দা মহাবিহার ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃত।
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
'জয় বাংলা’ কে জাতীয় স্লোগান হিসাবে মন্ত্রিসভায় কত তারিখে অনুমোদন করা হয়?
Created: 4 weeks ago
A
২ মার্চ, ২০২২
B
৩ মার্চ, ২০২২
C
৪ মার্চ, ২০২২
D
৫ মার্চ, ২০২২
‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে ঘিরে জাতীয় সিদ্ধান্তের বিষয়টি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। নিচে বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে সাজানো হলো—
-
২ মার্চ, ২০২২ তারিখে মন্ত্রিসভায় ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
-
এর আগে ১০ মার্চ, ২০২০ তারিখে হাইকোর্ট এক রায়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সেই নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় সরকার এটি অনুমোদন করে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়—
-
‘জয় বাংলা’ হবে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান।
-
দেশের সাংবিধানিক পদাধিকারীগণ এবং দেশে-বিদেশে কর্মরত সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব জাতীয় দিবসের কর্মসূচি ও সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ উচ্চারণ করবেন।
-
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাত্যহিক সমাবেশের শেষে এবং সভা-সেমিনারে বক্তব্য সমাপ্তির পর শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ করবেন।
0
Updated: 4 weeks ago
BTRC-এর ইংরেজি পূর্ণরূপ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
Bangladesh Telephone Regulatory Commission
B
Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission
C
Bangladesh Telecom Regulatory Commission
D
Bangladesh Telephone and Telegraph Regulatory Commission
BTRC (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন)
-
পূর্ণরূপ: Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission।
-
প্রতিষ্ঠা: বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ (Bangladesh Telecommunication Regulatory Act, 2001) অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি ২০০২-এ BTRC গঠিত হয়।
-
উদ্দেশ্য:
-
বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ সেবা নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন।
-
সেলুলার নেটওয়ার্ক, পিএসটিএন, কৃত্রিম উপগ্রহ, ক্যাবল এবং অন্যান্য টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ।
-
-
পূর্ববর্তী ইতিহাস:
-
১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন বোর্ড গঠিত হয়।
-
১৯৯৫ সালে বোর্ড সম্পর্কিত অধ্যাদেশ সংশোধন করা হয়।
-
-
কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব: BTRC চালু হওয়ার পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব BTRC-এর ওপর হস্তান্তর করা হয়।
সূত্র: BTRC ওয়েবসাইট।
0
Updated: 2 months ago