পতঙ্গের কোন অঙ্গটি বর্জ্য অপসারণে ভূমিকা পালন করে?
A
গলগী বডি
B
মালপিজিয়ান নালী
C
ট্রাকিউল
D
শিখা কোষ
উত্তরের বিবরণ
পতঙ্গের বর্জ্য অপসারণে ম্যালপিজিয়ান নালিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ রেচন অঙ্গ হিসেবে কাজ করে। এটি পতঙ্গের শরীর থেকে নাইট্রোজেনযুক্ত বর্জ্য পদার্থ অপসারণে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
-
মূল কাজ: ম্যালপিজিয়ান নালিকা হিমোলিম্ফ (রক্ত) থেকে নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে।
-
সংগৃহীত বর্জ্য পদার্থকে এটি অন্ত্রের শেষ অংশে প্রেরণ করে, যেখানে তা পরিপাকতন্ত্রের মাধ্যমে মলের সাথে শরীর থেকে নির্গত হয়।
-
এই নালিকাগুলো সাধারণত পাতলা ও নলাকার, এবং পরিপাকতন্ত্রের সাথে যুক্ত থাকে।
-
ফলে ম্যালপিজিয়ান নালিকা পতঙ্গের বর্জ্য নির্গমন ও শরীরের রাসায়নিক ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত কার্যকর অঙ্গ।

0
Updated: 14 hours ago
ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অনিষ্টকারী পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণের সমন্বিত ব্যবস্থার নাম কী?
Created: 14 hours ago
A
জৈব নিয়ন্ত্রণ
B
শস্য পর্যায়
C
IPM
D
ICM
সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা (IPM) হলো এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে ফসলের অনিষ্টকারী পোকামাকড়কে নিয়ন্ত্রণ করা হয় পরিবেশবান্ধব ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক উপায়ে। এই ব্যবস্থায় কেবলমাত্র কীটনাশকের ওপর নির্ভর না করে বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ কৌশল সমন্বিতভাবে ব্যবহার করা হয়।
-
উদ্দেশ্য: পোকামাকড় দমন করে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা।
-
ব্যবহৃত কৌশল: এতে জৈবিক, যান্ত্রিক, সাংস্কৃতিক ও রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি একত্রে প্রয়োগ করা হয়।
-
বিশেষত্ব: এই পদ্ধতি পরিবেশের ক্ষতি না করে, অর্থনৈতিকভাবে টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর পোকা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করে।

0
Updated: 14 hours ago
কুমীরের বৈশিষ্ট্য নয় কোনটি?
Created: 13 hours ago
A
শীতল রক্তবিশিস্ট
B
ডিমপাড়া প্রানী
C
শক্তিশালী চোয়াল
D
সর্বভুক ও নিশাচর
কুমির হলো শক্তিশালী ও আধা-জলজ সরীসৃপ, যার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো শক্তিশালী চোয়াল, পুরু আঁশযুক্ত ত্বক এবং জল ও স্থলে সমানভাবে বসবাসের ক্ষমতা। এদের চোখ, কান ও নাকের ছিদ্র এমনভাবে অবস্থান করে যে দেহের বেশিরভাগ অংশ জলে ডুবে থাকলেও শ্বাস নেওয়া ও শিকার পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়।
-
চোয়াল: কুমিরের চোয়াল অত্যন্ত শক্তিশালী ও শঙ্কু-আকৃতির দাঁতে পরিপূর্ণ। চোয়াল খোলার পেশী তুলনামূলক দুর্বল হলেও বন্ধ করার পেশী খুব শক্তিশালী, যা শিকার ধরতে সহায়ক।
-
ত্বক: দেহের ত্বক পুরু, শক্ত এবং আঁশযুক্ত, যা সুরক্ষা প্রদান করে।
-
লেজ: এদের লম্বা ও শক্তিশালী লেজ সাঁতার ও শিকার ধরতে সাহায্য করে।
-
পা: কুমিরের ছোট পা ও নখরযুক্ত আঙুল থাকে; পায়ের মধ্যে জালযুক্ত ত্বক থাকার কারণে সহজে সাঁতার কাটতে পারে।
-
শ্বাস-প্রশ্বাস: চোখ, কান ও নাকের ছিদ্র জলের উপরে থাকে, ফলে দেহ ডুবিয়ে রেখেও তারা দেখতে, শুনতে ও শ্বাস নিতে পারে।
আচরণ ও জীবনযাত্রা:
-
আবাসস্থল: কুমির উষ্ণ জলবায়ু পছন্দ করে এবং জল ও স্থল উভয় পরিবেশে বসবাস করে।
-
খাদ্য: এরা মাংসাশী, সাধারণত মাছ, পাখি ও ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী খায়; বড় কুমির গৃহপালিত পশু বা মানুষকেও আক্রমণ করতে পারে।
-
প্রজনন: স্ত্রী কুমির বালি বা মাটিতে ডিম পাড়ে।
-
জীবনকাল: সাধারণ কুমির প্রায় ৩০–৪০ বছর বাঁচে, তবে লবণ পানির কুমির ৬০–৭০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য:
-
কুমিরের চার-কক্ষবিশিষ্ট হৃদপিণ্ড থাকে, যা অন্যান্য সরীসৃপের তুলনায় উন্নত।
-
এদের দাঁত হাড়ে প্রোথিত, যা স্তন্যপায়ী প্রাণীর বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

0
Updated: 13 hours ago
পতঙ্গের অসম্পূর্ণ রুপান্তরের অপরিণত দশাকে কি বলে?
Created: 12 hours ago
A
লার্ভা
B
পিউপা
C
নিম্ফ
D
ক্রাইসালিস
নিম্ফ (Nymph) হলো পতঙ্গের অসম্পূর্ণ রূপান্তরের (incomplete metamorphosis) একটি অপরিণত দশা, যেখানে পোকাটি আকারে ছোট হলেও প্রাপ্তবয়স্ক পোকার মতো দেখতে হয়। এই পর্যায়ে পতঙ্গ সম্পূর্ণরূপে বিকশিত না হওয়ায় ডানা অনুপস্থিত বা অসম্পূর্ণ থাকে।
-
বিকাশ প্রক্রিয়া: নিম্ফ পর্যায়ে পতঙ্গ খোলস পরিবর্তন (molting) প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। প্রতিবার খোলস পরিবর্তনের পর পোকাটি আকারে বড় হয় এবং ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ (adult) রূপে পরিণত হয়।
-
বৈশিষ্ট্য: এই ধরনের বিকাশে ডিম → নিম্ফ → পূর্ণাঙ্গ পোকা — এভাবে তিনটি ধাপ থাকে; কোনো পিউপা (pupa) পর্যায় থাকে না।
-
উদাহরণ: তেলাপোকা, ঘাসফড়িং ও জোনাকি পতঙ্গ এই ধরনের অসম্পূর্ণ রূপান্তর প্রদর্শন করে।

0
Updated: 12 hours ago