কোন্ গ্রুপের মোলাস্কা খাদ্য হিসাবে বেশী ব্যবহার হয়?
A
Slugs & Snails
B
Oysters & Mussels
C
Aplacophorans
D
Cap molluscs
উত্তরের বিবরণ
মোলাস্কা সাধারণত মানুষের জন্য উপকারী হলেও কিছু প্রজাতি পরোক্ষভাবে ক্ষতিকর। ক্ষতিকারক মোলাস্কের মধ্যে স্লাগ ও জাহাজের পোকা (টেরেডো) উল্লেখযোগ্য। নিচে এর উপকারিতা ও ক্ষতির দিকগুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো।
-
স্লাগ কৃষিকাজ ও বাগানের জন্য ক্ষতিকর। তারা শুধু গাছের পাতা নয়, শিকড় ও কান্ড কেটে গাছ ধ্বংস করে ফসলের ক্ষতি ঘটায়।
-
টেরেডো বা জাহাজের পোকা সমুদ্রে ডুবে থাকা কাঠে গর্ত করে ঘাট, জাহাজ ও কাঠামোতে মারাত্মক ক্ষতি ঘটায়।
-
অনেক মোলাস্ক মানুষের খাদ্যের উৎস। বিশেষ করে ঝিনুক, স্ক্যালপ ও অক্টোপাস চীন, জাপান, মালয়, ইউরোপ ও আমেরিকায় খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
মিঠা পানির ঝিনুকের খোলস থেকে মুক্তা বোতাম তৈরি হয়, যা ন্যাক্রিয়াস স্তর দিয়ে গঠিত এবং ধোলাইয়ের উপযোগী অন্য কোনো পদার্থ এর সমান নয়।
-
আমেরিকায় ঝিনুকের খোলস রাস্তা তৈরিতে আলকার সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয় এবং এগুলো থেকে তৈরি চুন মুরগির ডিমের খোলস ও ভবন নির্মাণে কাজে লাগে।
-
মোলাস্কের খোলস বিশ্বজুড়ে অলঙ্কার ও গয়না তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। কিছু স্থানে কাউরি খোলস অর্থ ও অলঙ্কার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
অনেক ক্ল্যাম ও সামুদ্রিক ঝিনুক মুক্তা উৎপাদন করে, তবে সবচেয়ে মূল্যবান মুক্তা পাওয়া যায় পিঙ্কটাডা মার্গারিটিফেরা ও পিঙ্কটাডা মার্টেনসি প্রজাতি থেকে, যারা ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের উষ্ণ উপকূলে বাস করে।
-
মুক্তা তৈরি হয় যখন বালির কণা বা পরজীবী খোলস ও আবরণের মাঝে প্রবেশ করে এবং এর চারপাশে ন্যাক্রিয়াসের স্তর জমে মুক্তা গঠিত হয়।
-
জাপানে মুক্তা চাষ করা হয় কৃত্রিমভাবে ঝিনুকের আবরণের নিচে ছোট জ্বালাকর পদার্থ প্রবেশ করিয়ে, যা কয়েক বছরের মধ্যে ভালো মানের মুক্তায় পরিণত হয়।

0
Updated: 14 hours ago
কুমীরের বৈশিষ্ট্য নয় কোনটি?
Created: 13 hours ago
A
শীতল রক্তবিশিস্ট
B
ডিমপাড়া প্রানী
C
শক্তিশালী চোয়াল
D
সর্বভুক ও নিশাচর
কুমির হলো শক্তিশালী ও আধা-জলজ সরীসৃপ, যার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো শক্তিশালী চোয়াল, পুরু আঁশযুক্ত ত্বক এবং জল ও স্থলে সমানভাবে বসবাসের ক্ষমতা। এদের চোখ, কান ও নাকের ছিদ্র এমনভাবে অবস্থান করে যে দেহের বেশিরভাগ অংশ জলে ডুবে থাকলেও শ্বাস নেওয়া ও শিকার পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়।
-
চোয়াল: কুমিরের চোয়াল অত্যন্ত শক্তিশালী ও শঙ্কু-আকৃতির দাঁতে পরিপূর্ণ। চোয়াল খোলার পেশী তুলনামূলক দুর্বল হলেও বন্ধ করার পেশী খুব শক্তিশালী, যা শিকার ধরতে সহায়ক।
-
ত্বক: দেহের ত্বক পুরু, শক্ত এবং আঁশযুক্ত, যা সুরক্ষা প্রদান করে।
-
লেজ: এদের লম্বা ও শক্তিশালী লেজ সাঁতার ও শিকার ধরতে সাহায্য করে।
-
পা: কুমিরের ছোট পা ও নখরযুক্ত আঙুল থাকে; পায়ের মধ্যে জালযুক্ত ত্বক থাকার কারণে সহজে সাঁতার কাটতে পারে।
-
শ্বাস-প্রশ্বাস: চোখ, কান ও নাকের ছিদ্র জলের উপরে থাকে, ফলে দেহ ডুবিয়ে রেখেও তারা দেখতে, শুনতে ও শ্বাস নিতে পারে।
আচরণ ও জীবনযাত্রা:
-
আবাসস্থল: কুমির উষ্ণ জলবায়ু পছন্দ করে এবং জল ও স্থল উভয় পরিবেশে বসবাস করে।
-
খাদ্য: এরা মাংসাশী, সাধারণত মাছ, পাখি ও ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী খায়; বড় কুমির গৃহপালিত পশু বা মানুষকেও আক্রমণ করতে পারে।
-
প্রজনন: স্ত্রী কুমির বালি বা মাটিতে ডিম পাড়ে।
-
জীবনকাল: সাধারণ কুমির প্রায় ৩০–৪০ বছর বাঁচে, তবে লবণ পানির কুমির ৬০–৭০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য:
-
কুমিরের চার-কক্ষবিশিষ্ট হৃদপিণ্ড থাকে, যা অন্যান্য সরীসৃপের তুলনায় উন্নত।
-
এদের দাঁত হাড়ে প্রোথিত, যা স্তন্যপায়ী প্রাণীর বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

0
Updated: 13 hours ago
পঙ্গপাল- এর কোন্ phase বেশী ক্ষতিসাধন করার সম্ভাবনা থাকে?
Created: 13 hours ago
A
ডরমেন্ট
B
গ্রেগোরিয়াস
C
সলিটারী
D
একটিভ
পঙ্গপালের সমন্বিত বা ঝাঁক বাঁধা পর্যায় (Gregorious phase) হলো এদের জীবনের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ও বিপজ্জনক অবস্থা। এই পর্যায়ে পঙ্গপাল একত্রিত হয়ে বিশাল আকারের ঝাঁক তৈরি করে, যা চলাচলের সময় ব্যাপক ফসল ও উদ্ভিদ ধ্বংস করতে সক্ষম।
-
একাকী পর্যায়: স্বাভাবিক অবস্থায় পঙ্গপাল একাকী ও নিরীহ থাকে এবং কৃষিতে তেমন ক্ষতি করে না।
-
সমন্বিত পর্যায়ে পরিবর্তন: যখন পঙ্গপালের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে অতিরিক্ত ভিড় সৃষ্টি করে, তখন তাদের আচরণ, রং ও শারীরবৃত্তীয় গঠন পরিবর্তিত হয়।
-
গ্রেগরিয়াস পর্যায়: এই অবস্থায় তারা বৃহৎ ঝাঁক তৈরি করে দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করে, ফসল ও উদ্ভিদের বিপুল ক্ষতি ঘটায় এবং দুর্ভিক্ষের কারণ হতে পারে।
-
গুরুত্ব: এই পর্যায়ে পঙ্গপাল একটি প্রধান কৃষি কীটপতঙ্গ হিসেবে বিবেচিত, যা মানুষের খাদ্যনিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি।

0
Updated: 13 hours ago
পতঙ্গের কোন অঙ্গটি বর্জ্য অপসারণে ভূমিকা পালন করে?
Created: 14 hours ago
A
গলগী বডি
B
মালপিজিয়ান নালী
C
ট্রাকিউল
D
শিখা কোষ
পতঙ্গের বর্জ্য অপসারণে ম্যালপিজিয়ান নালিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ রেচন অঙ্গ হিসেবে কাজ করে। এটি পতঙ্গের শরীর থেকে নাইট্রোজেনযুক্ত বর্জ্য পদার্থ অপসারণে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
-
মূল কাজ: ম্যালপিজিয়ান নালিকা হিমোলিম্ফ (রক্ত) থেকে নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে।
-
সংগৃহীত বর্জ্য পদার্থকে এটি অন্ত্রের শেষ অংশে প্রেরণ করে, যেখানে তা পরিপাকতন্ত্রের মাধ্যমে মলের সাথে শরীর থেকে নির্গত হয়।
-
এই নালিকাগুলো সাধারণত পাতলা ও নলাকার, এবং পরিপাকতন্ত্রের সাথে যুক্ত থাকে।
-
ফলে ম্যালপিজিয়ান নালিকা পতঙ্গের বর্জ্য নির্গমন ও শরীরের রাসায়নিক ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত কার্যকর অঙ্গ।

0
Updated: 14 hours ago