সম্রাট হিসেবে নেপোলিয়নের ক্ষমতা লাভের প্রাক্কালে ফ্রান্সের সর্বময় ক্ষমতা ছিল-
A
ডাইরেক্টরদের হাতে
B
ষোড়শ লুইয়ের হাতে
C
প্রথম কনসালের হাতে
D
ব্যারাসের হাতে
উত্তরের বিবরণ
নেপোলিয়নের ক্ষমতা লাভের পেছনে ফ্রান্সের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ডিরেক্টরি শাসনের দুর্বলতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফরাসি বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে শাসনব্যবস্থা ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত ও অকার্যকর, যা নেপোলিয়নের উত্থানকে ত্বরান্বিত করেছিল।
সম্রাট হিসেবে নেপোলিয়নের ক্ষমতা লাভের প্রাক্কালে ফ্রান্সের সর্বময় ক্ষমতা ছিল ডাইরেক্টরদের হাতে।
-
১৭৯৯ সালের নভেম্বরে তিনি ফরাসি ডিরেক্টরির বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান সংঘটিত করে ফরাসি প্রজাতন্ত্রের প্রথম কনসাল হন।
-
ডিরেক্টরি শাসনের সীমাহীন দুর্নীতি ও দুর্বলতা নেপোলিয়নের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়ার পথকে সহজ করে দেয়।

0
Updated: 14 hours ago
'উষ্ণজল' নীতি কার ছিল?
Created: 15 hours ago
A
মহান ফ্রেডারিক
B
দ্বিতীয় ক্যাথারিন
C
মহান পিটার
D
জার নিকলাস
উষ্ণজল নীতি ছিল রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার মূল লক্ষ্য ছিল সারা বছর নৌচলাচল ও বাণিজ্য চালু রাখার জন্য বরফমুক্ত সমুদ্রবন্দর দখল করা।
-
রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলের সব বন্দর শীতকালে বরফে জমে যেত, ফলে বাণিজ্য ও নৌচলাচল ব্যাহত হতো।
-
এ সমস্যার সমাধানে রাশিয়া দক্ষিণমুখী সম্প্রসারণের নীতি গ্রহণ করে, যা পরিচিত হয় ‘উষ্ণজল নীতি’ নামে।
-
এই নীতির মূল উদ্দেশ্য ছিল Black Sea, Mediterranean Sea, ও ভারত মহাসাগর অভিমুখে প্রভাব বিস্তার করা।
-
উষ্ণজল নীতির ফলে রাশিয়ার সঙ্গে অন্যান্য ইউরোপীয় শক্তির সংঘাত ঘটে, যার অন্যতম উদাহরণ ক্রিমিয়া যুদ্ধ (1853–1856)।
-
এই নীতির সূচনা ও বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন মহান পিটার (Peter the Great)।

0
Updated: 15 hours ago
বাংলার সুলতানী রাষ্ট্রের প্রকৃতি ছিল-
Created: 14 hours ago
A
গণতান্ত্রিক
B
স্বৈরতান্ত্রিক
C
প্রজা হিতৈষী
D
ধর্মাশ্রয়ী
বাংলার সুলতানী রাষ্ট্রের প্রকৃতি মূলত প্রজা হিতৈষী ছিল এবং এই আমলে প্রশাসন ও সমাজে বহু জাতি ও সংস্কৃতির প্রভাব দেখা যায়।
-
বাংলা সালতানাত ছিল একটি সুন্নি মুসলিম শাসিত রাজ্য, যেখানে বাঙালি, তুর্কি-পারস্য, আফগান ও আবিসিনিয়ান অভিজাত শ্রেণীর প্রভাব ছিল সুস্পষ্ট।
-
প্রধান রাজবংশগুলোর মধ্যে ছিল ইলিয়াস শাহী, গণেশ বংশ এবং হোসেন শাহী বংশ।
-
এই আমলে ধর্মীয় সহনশীলতা ছিল অন্যতম বৈশিষ্ট্য; অমুসলিম সম্প্রদায়ও শান্তি ও সহাবস্থানের অধিকার ভোগ করত।
-
ফারসি ভাষা ছিল রাষ্ট্রীয়, প্রশাসনিক ও কূটনৈতিক ভাষা, পাশাপাশি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হতো।
-
বাংলা ভাষা প্রথমবারের মতো সুলতানী আমলেই দরবারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে, যা পরবর্তীতে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 14 hours ago
মিনহাজ উদ্দিন সিরাজ ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজীর মৃত্যুর প্রায় কত বছর পর বাংলায় আসেন?
Created: 4 hours ago
A
২০
B
৩০
C
৪০
D
৫০
মিনহাজ উদ্দিন সিরাজ বাংলার ইতিহাস রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজীর মৃত্যুর প্রায় ৪০ বছর পর বাংলায় আগমন করেন এবং এখানে অবস্থানকালে বহু ঐতিহাসিক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হন।
১২৪২ খ্রিস্টাব্দে কারায় মালিক ইজ্জউদ্দীন তুগরল তুগান খানের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়।
-
পরবর্তীতে তিনি বাংলার রাজধানী লখনৌতিতে আসেন এবং প্রায় দুই বছর সেখানে অবস্থান করেন।
-
তিনি উড়িষ্যার বিরুদ্ধে অভিযানে তুগান খানের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন।
-
লখনৌতি অধিকার নিয়ে তুগান খান ও অযোধ্যার গভর্নর মালিক তামার খান কিরানের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলে, তিনি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন।
-
বাংলার রাজধানীতে অবস্থানকালে তিনি বখতিয়ারের বাংলা বিজয় সম্পর্কিত তথ্য তাঁর জীবিত সহযোগীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন।
-
এছাড়া, দিল্লি সুলতানদের বাংলায় অভিযানকালে আগত দিল্লিবাসীদের কাছ থেকেও তিনি ইতিহাস রচনার জন্য তথ্য সংগ্রহ করেন।

0
Updated: 4 hours ago