'হুমায়ূন নামার' রচয়িতা কে?
A
সম্রাট হমায়ুন
B
গুলবদন বেগম
C
সম্রাট আকবর
D
সম্রাট জাহাঙ্গীর
উত্তরের বিবরণ
গুলবদন বেগম রচিত ‘হুমায়ুননামা’ মোগল সম্রাট হুমায়ুনের জীবনী ও তাঁর যুগের ইতিহাস জানার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এতে সম্রাটের রাজনৈতিক জীবন, পারিবারিক ঘটনা এবং রাজদরবারের অভ্যন্তরীণ দিকের মূল্যবান বিবরণ পাওয়া যায়।
গুলবদন বেগম ছিলেন সম্রাট বাবরের কন্যা, জন্ম প্রায় ১৫২৩ খ্রিস্টাব্দে।
-
হুমায়ুন সিংহাসনে আরোহণের সময় তাঁর বয়স ছিল প্রায় আট বছর।
-
তিনি চাঘতাই মোগল খিজর খাওয়াজা খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
-
তাঁর লেখনী ও বিবরণ থেকে বোঝা যায় যে তিনি সুশিক্ষিতা, প্রতিভাবান ও বিদ্যানুরাগী ছিলেন।
-
গুলবদন বেগম ছিলেন রাজকীয় হারেমের নারীদের মধ্যে বিশেষভাবে বিশ্বাসভাজন, বিশেষত হুমায়ুনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত।

0
Updated: 14 hours ago
বাবরের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ 'তুজুগ-ই-বাবরী' কোন ভাষায় রচিত?
Created: 14 hours ago
A
আরবি
B
ফার্সি
C
উর্দু
D
তুর্কী
তুজুক-ই-বাবুরী হচ্ছে ভারতের মুগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দীন মুহাম্মদ বাবুরের আত্মজীবনী, যা বাবুরনামা বা বাবুরের স্মৃতিকথা নামেও পরিচিত। এই গ্রন্থে তার জীবনের অভিজ্ঞতা, যুদ্ধ, রাজনীতি ও সংস্কৃতিচর্চার বিবরণ পাওয়া যায়।
মূল তথ্যগুলো হলো—
-
এটি বাবুর নিজেই তুর্কি ভাষায় রচনা করেন।
-
পরবর্তীতে মুগল রাজকর্মচারী বৈরাম খান খান-ই-খানানের পুত্র আবদুর রহিম খান-ই-খানান একে ফারসি ভাষায় অনুবাদ করেন।
-
ইউরোপীয় পণ্ডিতদের মধ্যে এটি বিশেষভাবে সমাদৃত হয় এবং বিভিন্ন ইউরোপীয় ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
-
গ্রন্থটি ইতিহাস, সাহিত্য ও সংস্কৃতির দিক থেকে মুগল যুগের এক অমূল্য দলিল হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 14 hours ago
'আমিই রাষ্ট্র'এই ঘোষণা দিয়েছিলেন-
Created: 17 hours ago
A
ত্রয়োদশ লুই
B
চতুর্দশ লুই
C
ষোড়শ লুই
D
পঞ্চদশ লুই
চতুর্দশ লুই ছিলেন ফ্রান্সের সর্বময় ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে পরিচিত একজন রাজা। তিনি নিজের শাসনক্ষমতার পরিপূর্ণতা প্রকাশ করতে বিখ্যাত উক্তি করেছিলেন “I am the State” (আমিই রাষ্ট্র)।
উক্তি: “আমিই রাষ্ট্র” (I am the State) — এটি চতুর্দশ লুই-এর বিখ্যাত উক্তি।
-
অর্থ: উক্তিটি তার একচ্ছত্র ক্ষমতার প্রকাশ ঘটায়; অর্থাৎ, রাষ্ট্রের সমস্ত ক্ষমতা তার মধ্যেই নিহিত।
-
শাসনকাল: তিনি ১৬৪৩ থেকে ১৭১৫ সাল পর্যন্ত ফ্রান্স শাসন করেন।

0
Updated: 17 hours ago
ট্যাভারনিয়ে কোন দেশের পর্যটক ছিলেন?
Created: 14 hours ago
A
ইংল্যান্ড
B
ফ্রান্স
C
পর্তুগাল
D
স্পেন
সতেরো শতকের বিখ্যাত ফরাসি পর্যটক জে.বি টেভার্নিয়ার (১৬০৫–১৬৮৯) ইউরোপ থেকে ভারত ও বাংলাসহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল ভ্রমণ করেছিলেন। তাঁর লেখা ভ্রমণবৃত্তান্তে সে সময়কার ভারতের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থার বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে।
-
জন্ম: ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের প্যারিসে।
-
পরিবার: তাঁর বাবা গ্যাব্রিয়েল টেভার্নিয়ার ছিলেন একজন বণিক ও ভূগোলবিদ, যাঁর কাছ থেকেই তিনি ভূগোলচর্চা ও বিদেশ ভ্রমণের অনুপ্রেরণা পান।
-
ভারত ভ্রমণ: সতেরো শতকের ষাটের দশকে তিনি ভারত ভ্রমণ করেন এবং বাংলার রাজধানী ঢাকা সম্পর্কে মূল্যবান বর্ণনা দেন।
-
ভ্রমণবৃত্তান্ত: তাঁর ভ্রমণের বিবরণ “Travels in India” শিরোনামে ১৬৮৯ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়।
-
বাংলা ভ্রমণ: তিনি দুবার ঢাকা সফর করেন—প্রথমবার ১৬৪০ সালে এবং দ্বিতীয়বার ১৬৬৬ সালের জানুয়ারিতে।
-
তাঁর বর্ণনায় তৎকালীন ঢাকার ঐশ্বর্য, বাণিজ্যিক গুরুত্ব ও নগরজীবনের নানা দিক বিশদভাবে ফুটে উঠেছে।

0
Updated: 14 hours ago