ট্যাভারনিয়ে কোন দেশের পর্যটক ছিলেন?
A
ইংল্যান্ড
B
ফ্রান্স
C
পর্তুগাল
D
স্পেন
উত্তরের বিবরণ
সতেরো শতকের বিখ্যাত ফরাসি পর্যটক জে.বি টেভার্নিয়ার (১৬০৫–১৬৮৯) ইউরোপ থেকে ভারত ও বাংলাসহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল ভ্রমণ করেছিলেন। তাঁর লেখা ভ্রমণবৃত্তান্তে সে সময়কার ভারতের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থার বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে।
-
জন্ম: ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের প্যারিসে।
-
পরিবার: তাঁর বাবা গ্যাব্রিয়েল টেভার্নিয়ার ছিলেন একজন বণিক ও ভূগোলবিদ, যাঁর কাছ থেকেই তিনি ভূগোলচর্চা ও বিদেশ ভ্রমণের অনুপ্রেরণা পান।
-
ভারত ভ্রমণ: সতেরো শতকের ষাটের দশকে তিনি ভারত ভ্রমণ করেন এবং বাংলার রাজধানী ঢাকা সম্পর্কে মূল্যবান বর্ণনা দেন।
-
ভ্রমণবৃত্তান্ত: তাঁর ভ্রমণের বিবরণ “Travels in India” শিরোনামে ১৬৮৯ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়।
-
বাংলা ভ্রমণ: তিনি দুবার ঢাকা সফর করেন—প্রথমবার ১৬৪০ সালে এবং দ্বিতীয়বার ১৬৬৬ সালের জানুয়ারিতে।
-
তাঁর বর্ণনায় তৎকালীন ঢাকার ঐশ্বর্য, বাণিজ্যিক গুরুত্ব ও নগরজীবনের নানা দিক বিশদভাবে ফুটে উঠেছে।

0
Updated: 14 hours ago
১৯৪৭ সালে স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রে পূর্ববাংলার প্রথম গভর্নর ছিলেন-
Created: 15 hours ago
A
খাজা নাজিম উদ্দিন
B
নূরুল আমিন
C
মোহাম্মদ আলী
D
চৌধুরী খালেকুজ্জামান
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর পূর্ববাংলা (পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান) প্রশাসনের নেতৃত্ব দুটি পদে বিভক্ত ছিল। প্রথমত, গভর্নর পদে স্যার ফ্রেডেরিক চালমার্স বোর্ন দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতীয়ত, মন্ত্রিপরিষদের প্রধান হিসেবে অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিমুদ্দিন।
পূর্ববাংলার প্রথম গভর্নর: স্যার ফ্রেডেরিক চালমার্স বোর্ন
-
পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী: খাজা নাজিমুদ্দিন
এই দুই পদ একই সময়ে বিদ্যমান ছিল, যেখানে গভর্নর ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি এবং মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন প্রাদেশিক সরকারের প্রধান।

0
Updated: 15 hours ago
'একাডেমিক এসোসিয়েশন' এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন-
Created: 4 hours ago
A
রাজা রামমোহন রায়
B
শিবনাথ শাস্ত্রী
C
সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী
D
ডিরোজিও
ডিরোজিও ছিলেন এক অসাধারণ চিন্তাবিদ ও শিক্ষক, যিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যুক্তিবাদ, স্বাধীন চিন্তা ও জ্ঞানের প্রতি আকর্ষণ জাগিয়ে তুলেছিলেন। তাঁর শিক্ষাদান ও মননচর্চার ধরন ছিল প্রচলিত ধারা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
-
হেনরী লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও ১৮০৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৩১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
-
তিনি ছিলেন একজন ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক।
-
১৮২৬ সালে, মাত্র সতেরো বছর বয়সে, তিনি কলকাতা হিন্দু কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
-
তিনি ইংরেজি সাহিত্য ও ইতিহাস পড়াতেন এবং তাঁর শিক্ষাদান পদ্ধতি ছিল গতানুগতিকতামুক্ত।
-
শ্রেণীকক্ষের বাইরে তিনি ছাত্রদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতেন, প্রায়ই নিজের বাসভবনেই সেই আলোচনা হতো।
-
আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন ও বিজ্ঞানসহ নানা জ্ঞানমূলক ক্ষেত্র।
-
তাঁর অনুপ্রেরণায় ছাত্ররা ১৮২৮ সালে ‘অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি সাহিত্য ও বিতর্ক সংঘ গঠন করে।
-
এই সংঘের সভাগুলো মানিকটোলার এক বাগানবাড়িতে পাক্ষিকভাবে অনুষ্ঠিত হতো, যেখানে ছাত্র ও উদার ইউরোপীয় ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করতেন।
-
এর সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় আরও অনুরূপ সংঘ গঠিত হয়।
-
ডিরোজিও ছিলেন অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, পাশাপাশি অন্যান্য সংঘের সঙ্গেও যুক্ত থেকে তাদের কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন।
তাঁর প্রভাবেই এক নতুন শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম গড়ে ওঠে, যারা পরবর্তীকালে বাংলার নবজাগরণের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত হয়।

0
Updated: 4 hours ago
মিনহাজ উদ্দিন সিরাজ ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজীর মৃত্যুর প্রায় কত বছর পর বাংলায় আসেন?
Created: 4 hours ago
A
২০
B
৩০
C
৪০
D
৫০
মিনহাজ উদ্দিন সিরাজ বাংলার ইতিহাস রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজীর মৃত্যুর প্রায় ৪০ বছর পর বাংলায় আগমন করেন এবং এখানে অবস্থানকালে বহু ঐতিহাসিক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হন।
১২৪২ খ্রিস্টাব্দে কারায় মালিক ইজ্জউদ্দীন তুগরল তুগান খানের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়।
-
পরবর্তীতে তিনি বাংলার রাজধানী লখনৌতিতে আসেন এবং প্রায় দুই বছর সেখানে অবস্থান করেন।
-
তিনি উড়িষ্যার বিরুদ্ধে অভিযানে তুগান খানের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন।
-
লখনৌতি অধিকার নিয়ে তুগান খান ও অযোধ্যার গভর্নর মালিক তামার খান কিরানের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলে, তিনি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন।
-
বাংলার রাজধানীতে অবস্থানকালে তিনি বখতিয়ারের বাংলা বিজয় সম্পর্কিত তথ্য তাঁর জীবিত সহযোগীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন।
-
এছাড়া, দিল্লি সুলতানদের বাংলায় অভিযানকালে আগত দিল্লিবাসীদের কাছ থেকেও তিনি ইতিহাস রচনার জন্য তথ্য সংগ্রহ করেন।

0
Updated: 4 hours ago