চীন সম্রাটের সঙ্গে দূত বিনিময়ের জন্য প্রসিদ্ধ হয়ে আছেন-
A
সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ্
B
সুলতান সিকান্দার শাহ্
C
সুলতান গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ্
D
সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহ্
উত্তরের বিবরণ
গিয়াসউদ্দীন বিদেশি রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর কূটনৈতিক দক্ষতা বিশেষ করে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে প্রতিফলিত হয়েছিল।
মূল তথ্যগুলো হলো—
-
গিয়াসউদ্দীন চীন সম্রাট ইয়ংলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করেন।
-
তিনি ১৪০৫, ১৪০৮ ও ১৪০৯ খ্রিস্টাব্দে চীনে দূত প্রেরণ করেন।
-
চীন সম্রাট ইয়ংলো ঐ দূতদের আন্তরিকভাবে অভ্যর্থনা জানান।
-
প্রতিদানে তিনি বাংলার সুলতানের নিকট দূত ও উপঢৌকন পাঠান।
-
এই কূটনৈতিক বিনিময় বাংলার সুলতানের আন্তর্জাতিক মর্যাদা বৃদ্ধি করে।

0
Updated: 14 hours ago
ভারতে আধুনিক প্রশাসন ও রাজস্ব ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করেন-
Created: 22 hours ago
A
বলবন
B
ফিরোজ শাহ তুঘলক
C
শেরশাহ
D
ইলিয়াস শাহ্
শেরশাহ ছিলেন ভারতের সম্রাট ও শূর রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা, যিনি ১৫৪০ থেকে ১৫৪৫ সাল পর্যন্ত শাসন করেন। স্বল্প সময়ের মধ্যেও তিনি ভারতের প্রশাসন ও রাজস্ব ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনেন এবং আধুনিক প্রশাসনিক কাঠামোর ভিত্তি স্থাপন করেন।
-
শেরশাহ সূরি তাঁর শাসনামলে সাম্রাজ্যে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রশাসনকে নতুনভাবে বিন্যস্ত করেন।
-
তিনি তাঁর বিশাল সাম্রাজ্যকে ৪৭টি সরকারে বিভক্ত করেন এবং প্রতিটি সরকারকে কয়েকটি পরগণায় ভাগ করেন।
-
বাংলায় এই ব্যবস্থায় ১৯টি সরকার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
প্রতিটি সরকারে দুজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থাকতেন— ‘শিকদার-ই-শিকদারান’ (মুখ্য শিকদার) ও ‘মুন্সিফ-ই-মুন্সিফান’ (মুখ্য মুন্সিফ)।
-
তাঁরা শিকদার, আমিন, মুন্সিফ, কারকুন, পাটোয়ারী, চৌধুরী ও মুকাদ্দাম প্রমুখ স্থানীয় কর্মকর্তাদের কার্যক্রম তদারক করতেন।
-
ভূমি জরিপের মাধ্যমে জমির পরিমাণ ও ফসলের উৎপাদন নির্ধারণ করে উৎপাদিত ফসলের এক-চতুর্থাংশ রাজস্ব হিসেবে ধার্য করা হয়। এই রাজস্ব নগদ অর্থে বা ফসলের অংশ দিয়ে পরিশোধ করা যেত।
-
তিনি প্রথমবারের মতো ‘পাট্টা’ (ভূমি স্বত্বের দলিল) ও ‘কবুলিয়াত’ (চুক্তি দলিল) প্রথা চালু করেন, যার মাধ্যমে প্রজাদের জমির উপর স্বত্ব নিশ্চিত হয়।
-
কৃষকদের ঋণ দানের ব্যবস্থা করে তিনি কৃষিকার্যে উৎসাহ দেন এবং গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটান।

0
Updated: 22 hours ago
মিনহাজ উদ্দিন সিরাজ ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজীর মৃত্যুর প্রায় কত বছর পর বাংলায় আসেন?
Created: 4 hours ago
A
২০
B
৩০
C
৪০
D
৫০
মিনহাজ উদ্দিন সিরাজ বাংলার ইতিহাস রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজীর মৃত্যুর প্রায় ৪০ বছর পর বাংলায় আগমন করেন এবং এখানে অবস্থানকালে বহু ঐতিহাসিক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হন।
১২৪২ খ্রিস্টাব্দে কারায় মালিক ইজ্জউদ্দীন তুগরল তুগান খানের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়।
-
পরবর্তীতে তিনি বাংলার রাজধানী লখনৌতিতে আসেন এবং প্রায় দুই বছর সেখানে অবস্থান করেন।
-
তিনি উড়িষ্যার বিরুদ্ধে অভিযানে তুগান খানের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন।
-
লখনৌতি অধিকার নিয়ে তুগান খান ও অযোধ্যার গভর্নর মালিক তামার খান কিরানের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলে, তিনি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন।
-
বাংলার রাজধানীতে অবস্থানকালে তিনি বখতিয়ারের বাংলা বিজয় সম্পর্কিত তথ্য তাঁর জীবিত সহযোগীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন।
-
এছাড়া, দিল্লি সুলতানদের বাংলায় অভিযানকালে আগত দিল্লিবাসীদের কাছ থেকেও তিনি ইতিহাস রচনার জন্য তথ্য সংগ্রহ করেন।

0
Updated: 4 hours ago
শ্রী চৈতন্যদেবের আবির্ভাব হয়েছিল বাংলার কোন শাসকের আমলে?
Created: 22 hours ago
A
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ্
B
গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ্
C
আলাউদ্দিন হুসেন শাহ্
D
নসরৎ শাহ্
আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনামলে বৈষ্ণব কাব্যে তাঁর উদার মানসিকতার প্রতিফলন স্পষ্টভাবে দেখা যায়। তিনি ধর্মীয় সহনশীলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
-
বৈষ্ণব কাব্যসমূহে আলাউদ্দিন হোসেন শাহের উদার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে।
-
বলা হয়েছে যে, তিনি শ্রী চৈতন্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং তাঁকে ঈশ্বরের অবতার হিসেবে গণ্য করতেন।
-
শ্রী চৈতন্যের ধর্ম প্রচার কার্যক্রমে হোসেন শাহ সার্বিক সহযোগিতা ও সুবিধা প্রদান করেছিলেন।

0
Updated: 22 hours ago