'দ্য সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার’ বইটির লেখক কে?
A
উড্রো উইল্সন
B
জোসেফ স্টালিন
C
উইনস্টন চার্চিল
D
এডলফ হিটলার
উত্তরের বিবরণ
চার্চিল ছিলেন শুধু রাজনীতিবিদ ও সুবক্তা নন, বরং এক অসাধারণ লেখকও, যার সাহিত্যকর্ম ইংরেজি ভাষাকে করেছে সমৃদ্ধ।
-
সৈনিক জীবনের সময় তিনি যে রিপোর্টগুলি লিখতেন, তা প্রকাশিত হত ‘দি পায়োনিয়ার’ ও ‘ডেইলি টেলিগ্রাফ’ পত্রিকায়।
-
তার সাহিত্যিক অবদানের জন্য ১৯৫৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
-
লেখক হিসেবে তিনি রচনা করেছেন চল্লিশটিরও বেশি বই, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ছয় খণ্ডে প্রকাশিত ‘দ্য সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার’।
-
তার সমৃদ্ধ লেখনির মধ্যেও উল্লেখযোগ্য একটি ব্যতিক্রম হলো একমাত্র ছোটগল্প ‘ম্যান ওভারবোর্ড’।
-
আত্মজৈবনিক রচনাগুলিই মূলত তাকে বিশ্বসাহিত্যে বিশিষ্ট মর্যাদা এনে দেয়।

0
Updated: 14 hours ago
আরবদের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ঘটে-
Created: 14 hours ago
A
মহানবীর সময়ে
B
খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগে
C
উমাইয়া যুগে
D
আঝাসীয় যুগে
উমাইয়া যুগে আরব ও ভারতের মধ্যে এক গভীর সাংস্কৃতিক যোগাযোগের সূত্রপাত ঘটে, যা পরবর্তী সময়ে দুই দেশের সংস্কৃতিতে স্থায়ী প্রভাব ফেলে।
উমাইয়া খলিফার নেতৃত্বে আরবরা ভারত আক্রমণ করে, যার ফলে রাজনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানও শুরু হয়।
-
মুহাম্মদ বিন কাসিমের সিন্ধু বিজয় ছিল এই সাংস্কৃতিক সংযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা; এর ফলেই মুসলমান সংস্কৃতি ভারতীয় ঐতিহ্যের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়।
-
আরবরা ভারতে এসে এখানকার উন্নত সভ্যতা ও সংস্কৃতি দেখে বিস্মিত হয়েছিল এবং ভারতীয় সঙ্গীতজ্ঞ, চিত্রশিল্পী, দার্শনিক, পণ্ডিত ও কারিগরদের প্রশংসা করেছিল।
-
ঐতিহাসিক তাবারির বিবরণে জানা যায়, অসুস্থ হলে খলিফা হারুন-উর-রশিদ ভারতীয় এক চিকিৎসকের চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করেন।
-
ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্রের বহু গ্রন্থ আরবি ভাষায় অনূদিত হয়, যার মধ্যে শুশ্রুত ও চরকের গ্রন্থ বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
-
পশু-চিকিৎসা ও সর্পদংশন চিকিৎসা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থও আরবিতে অনুবাদ করা হয়।
সব মিলিয়ে বোঝা যায়, আরবরা ভারতীয় চিকিৎসা ও সংস্কৃতির কাছে গভীরভাবে ঋণী, এবং উমাইয়া যুগে এই সাংস্কৃতিক বিনিময়ই ছিল দুই সভ্যতার মিলনের সূচনা।

0
Updated: 14 hours ago
'প্রজাপতি রাজা' হিসেবে পরিচিত ছিলেন-
Created: 1 day ago
A
পঞ্চদশ লুই
B
ষোড়শ লুই
C
ত্রয়োদশ লুই
D
চতুর্দশ লুই
আঠারো শতকের ফ্রান্স ছিল রাজনৈতিক অস্থিরতা ও রাজকীয় বিলাসিতায় ভরপুর এক সময়। এই সময় দেশটি শাসিত হয়েছিল অকর্মণ্য ও দুর্বল নেতৃত্বের দ্বারা, যার ফলে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে এবং জনঅসন্তোষ বৃদ্ধি পায়।
অকর্মণ্য রাজা পঞ্চদশ লুই, ডিউক অব অরলিয়েন্স, ম্যাডাম প্যাম্পাডোর, দুর্বল-চিত্তের ষোড়শ লুই এবং তাঁর বিলাসপ্রিয় স্ত্রী মারিয়া আঁতোয়া— এঁরাই ফ্রান্সের শাসনভার ধারণ করেছিলেন।
-
ঐতিহাসিক শেভিলের ভাষায় পঞ্চদশ লুই ছিলেন “প্রজাপতি রাজা”, কারণ তিনি দায়িত্বহীনভাবে শুধু আমোদ-প্রমোদে সময় কাটাতেন।
-
তাঁর স্থায়ী উপপত্নী ম্যাডাম প্যাম্পাডোর রাজার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে প্রশাসনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতেন।
-
এর ফলে প্রশাসন ধীরে ধীরে রাজা’র ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, যা ফরাসি সমাজে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলার জন্ম দেয়।

0
Updated: 1 day ago
সম্রাট হিসেবে নেপোলিয়নের ক্ষমতা লাভের প্রাক্কালে ফ্রান্সের সর্বময় ক্ষমতা ছিল-
Created: 14 hours ago
A
ডাইরেক্টরদের হাতে
B
ষোড়শ লুইয়ের হাতে
C
প্রথম কনসালের হাতে
D
ব্যারাসের হাতে
নেপোলিয়নের ক্ষমতা লাভের পেছনে ফ্রান্সের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ডিরেক্টরি শাসনের দুর্বলতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফরাসি বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে শাসনব্যবস্থা ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত ও অকার্যকর, যা নেপোলিয়নের উত্থানকে ত্বরান্বিত করেছিল।
সম্রাট হিসেবে নেপোলিয়নের ক্ষমতা লাভের প্রাক্কালে ফ্রান্সের সর্বময় ক্ষমতা ছিল ডাইরেক্টরদের হাতে।
-
১৭৯৯ সালের নভেম্বরে তিনি ফরাসি ডিরেক্টরির বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান সংঘটিত করে ফরাসি প্রজাতন্ত্রের প্রথম কনসাল হন।
-
ডিরেক্টরি শাসনের সীমাহীন দুর্নীতি ও দুর্বলতা নেপোলিয়নের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়ার পথকে সহজ করে দেয়।

0
Updated: 14 hours ago