সিন্দু বিজয়ের পর আরবদের ব্যবহৃত প্রধান বন্দর ছিল-
A
সুরাট
B
দেবল
C
হুগলী
D
গোয়া
উত্তরের বিবরণ
দেবল ছিল সেই প্রথম শহর যেটি মুহাম্মদ বিন কাসিম তার আক্রমণের সূচনায় দখল করেন। এটি ছিল সিন্ধু অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী, যা ইসলামী শাসনের প্রাথমিক প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
নবম শতাব্দীর মুসলিম ইতিহাসবিদ আল-বালাধুরি উল্লেখ করেন যে দেবলে সংঘটিত যুদ্ধ তিন দিন স্থায়ী হয়েছিল, এবং সেই সময় অনেক মানুষ নিহত হয়েছিলেন।
-
যুদ্ধ শেষে হিন্দু নেতারা একটি মন্দির পুনর্নির্মাণ করেন এবং শহরে চার হাজার লোককে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়।
-
মুহাম্মদ বিন কাসিম শহরের এক চতুর্থাংশ অংশ মুসলিম সেনাদের জন্য নির্ধারণ করেন।
-
দেবল বন্দর পরবর্তীতে আরবদের প্রধান বাণিজ্যিক ও সামরিক বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এই ঘটনাকে ভারতবর্ষে ইসলামী শাসনের সূচনালগ্নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে গণ্য করা হয়।

0
Updated: 14 hours ago
মিনহাজ উদ্দিন সিরাজ ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজীর মৃত্যুর প্রায় কত বছর পর বাংলায় আসেন?
Created: 4 hours ago
A
২০
B
৩০
C
৪০
D
৫০
মিনহাজ উদ্দিন সিরাজ বাংলার ইতিহাস রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজীর মৃত্যুর প্রায় ৪০ বছর পর বাংলায় আগমন করেন এবং এখানে অবস্থানকালে বহু ঐতিহাসিক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হন।
১২৪২ খ্রিস্টাব্দে কারায় মালিক ইজ্জউদ্দীন তুগরল তুগান খানের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়।
-
পরবর্তীতে তিনি বাংলার রাজধানী লখনৌতিতে আসেন এবং প্রায় দুই বছর সেখানে অবস্থান করেন।
-
তিনি উড়িষ্যার বিরুদ্ধে অভিযানে তুগান খানের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন।
-
লখনৌতি অধিকার নিয়ে তুগান খান ও অযোধ্যার গভর্নর মালিক তামার খান কিরানের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলে, তিনি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন।
-
বাংলার রাজধানীতে অবস্থানকালে তিনি বখতিয়ারের বাংলা বিজয় সম্পর্কিত তথ্য তাঁর জীবিত সহযোগীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন।
-
এছাড়া, দিল্লি সুলতানদের বাংলায় অভিযানকালে আগত দিল্লিবাসীদের কাছ থেকেও তিনি ইতিহাস রচনার জন্য তথ্য সংগ্রহ করেন।

0
Updated: 4 hours ago
বাংলায় প্রথম মুগল সুবাদার ছিলেন-
Created: 14 hours ago
A
ইসলাম খাঁ
B
মানসিংহ
C
মীর জুমলা
D
মুর্শিদ কুলি খাঁ
মানসিংহ ছিলেন রাজা ভগবান দাসের পালক পুত্র এবং আম্বরে জন্মগ্রহণকারী এক বিশিষ্ট রাজপুত সেনানায়ক। তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের ঘনিষ্ঠ অনুগত ছিলেন এবং তাঁর সামরিক ও প্রশাসনিক দক্ষতার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত হন।
-
মানসিংহ রাজা ভগবান দাসের পালক পুত্র ছিলেন।
-
তিনি আম্বরে জন্মগ্রহণ করেন এবং পরে মির্জা রাজা নামে পরিচিত হন।
-
সম্রাট আকবর তাঁকে “ফরজন্দ” (পুত্র) উপাধিতে ভূষিত করেন।
-
ভগবান দাস যখন পাঞ্জাবের সুবাহদার নিযুক্ত হন, তখন মানসিংহ সিন্ধু নদের তীরবর্তী অঞ্চলগুলির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
-
১৫৮৫ খ্রিস্টাব্দে প্রদেশের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তাঁকে কাবুলে পাঠানো হয়।
-
১৫৮৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিহারের সুবাহদার নিযুক্ত হন।
-
তখন পর্যন্ত তিনি কুনওয়ার মানসিংহ নামে পরিচিত ছিলেন; পরে ১৫৯০ খ্রিস্টাব্দে ‘রাজা’ উপাধি এবং পাঁচ হাজারি মনসব লাভ করেন।
-
১৫৯৪ সালের ১৭ মার্চ তাঁকে বাংলার সুবাহদার নিযুক্ত করা হয়।
-
তিনি তিন দফায় সুবাহদারের দায়িত্ব পালন করেন—১৫৯৪–১৫৯৮, ১৬০১–১৬০৫, এবং ১৬০৫–১৬০৬ খ্রিস্টাব্দে।

0
Updated: 14 hours ago
বাংলার সুলতানী রাষ্ট্রের প্রকৃতি ছিল-
Created: 14 hours ago
A
গণতান্ত্রিক
B
স্বৈরতান্ত্রিক
C
প্রজা হিতৈষী
D
ধর্মাশ্রয়ী
বাংলার সুলতানী রাষ্ট্রের প্রকৃতি মূলত প্রজা হিতৈষী ছিল এবং এই আমলে প্রশাসন ও সমাজে বহু জাতি ও সংস্কৃতির প্রভাব দেখা যায়।
-
বাংলা সালতানাত ছিল একটি সুন্নি মুসলিম শাসিত রাজ্য, যেখানে বাঙালি, তুর্কি-পারস্য, আফগান ও আবিসিনিয়ান অভিজাত শ্রেণীর প্রভাব ছিল সুস্পষ্ট।
-
প্রধান রাজবংশগুলোর মধ্যে ছিল ইলিয়াস শাহী, গণেশ বংশ এবং হোসেন শাহী বংশ।
-
এই আমলে ধর্মীয় সহনশীলতা ছিল অন্যতম বৈশিষ্ট্য; অমুসলিম সম্প্রদায়ও শান্তি ও সহাবস্থানের অধিকার ভোগ করত।
-
ফারসি ভাষা ছিল রাষ্ট্রীয়, প্রশাসনিক ও কূটনৈতিক ভাষা, পাশাপাশি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হতো।
-
বাংলা ভাষা প্রথমবারের মতো সুলতানী আমলেই দরবারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে, যা পরবর্তীতে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 14 hours ago