'গজ-ই-শেহরানী' কী?
A
পানি পরিমাপক
B
কাপড় পরিমাপক
C
ফসল পরিমাপক
D
ভূমি পরিমাপক
উত্তরের বিবরণ
গজ-ই-শেহরানী’ নামে কোনো পদ্ধতি ইতিহাসে পাওয়া যায় না।
সঠিক উত্তর হবে ‘গজ-ই-সিকান্দারী’, যা ছিল সিকান্দার লোদির প্রবর্তিত ভূমি পরিমাপক পদ্ধতি।
বাহলুল লোদির দ্বিতীয় পুত্র সিকান্দার লোদিই ছিলেন তার ঘোষিত উত্তরাধিকারী।
সিকান্দারের আসল নাম ছিল ‘নিজাম খান’।
তিনি ছিলেন হিন্দু মায়ের সন্তান, যার কারণে পাঠান অভিজাতদের মধ্যে তার বিশুদ্ধ আফগান রক্ত না থাকার অভিযোগ ওঠে।
সিকান্দার লোদি আবাদি জমির পরিমাপে ‘গজ-ই-সিকান্দার’ পদ্ধতি চালু করেন, যা প্রশাসনিক ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন হিসেবে গণ্য হয়।

0
Updated: 14 hours ago
'আমিই রাষ্ট্র'এই ঘোষণা দিয়েছিলেন-
Created: 17 hours ago
A
ত্রয়োদশ লুই
B
চতুর্দশ লুই
C
ষোড়শ লুই
D
পঞ্চদশ লুই
চতুর্দশ লুই ছিলেন ফ্রান্সের সর্বময় ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে পরিচিত একজন রাজা। তিনি নিজের শাসনক্ষমতার পরিপূর্ণতা প্রকাশ করতে বিখ্যাত উক্তি করেছিলেন “I am the State” (আমিই রাষ্ট্র)।
উক্তি: “আমিই রাষ্ট্র” (I am the State) — এটি চতুর্দশ লুই-এর বিখ্যাত উক্তি।
-
অর্থ: উক্তিটি তার একচ্ছত্র ক্ষমতার প্রকাশ ঘটায়; অর্থাৎ, রাষ্ট্রের সমস্ত ক্ষমতা তার মধ্যেই নিহিত।
-
শাসনকাল: তিনি ১৬৪৩ থেকে ১৭১৫ সাল পর্যন্ত ফ্রান্স শাসন করেন।

0
Updated: 17 hours ago
ফরায়েজী মতবাদকে 'খারিজী' ঘোষণা করেন
Created: 22 hours ago
A
মৌলানা শরাফত আলী জৌনপুরি
B
মৌলানা নিয়ামত আলী জৌনপুরি
C
মৌলানা কেরামত আলী জৌনপুরি
D
মৌলানা শওকত আলী জৌনপুরি
কেরামত আলী জৌনপুরী ছিলেন উনিশ শতকের এক প্রখ্যাত ধর্মপ্রচারক, যিনি ইসলামী সংস্কার আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর চিন্তা ও কার্যক্রম মূলত ধর্মীয় সংস্কার ও সমাজে নৈতিক শুদ্ধতা ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হলেও, ফরায়েজী মতবাদের সঙ্গে কিছু নীতিগত পার্থক্য ছিল।
-
কেরামত আলী জৌনপুরী ফরায়েজী মতবাদকে ‘খারিজী’ ঘোষণা করেন।
-
তিনি কলকাতায় ধর্মপ্রচারের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে যশোর ও খুলনা হয়ে বরিশাল পৌঁছেন।
-
এ সময় হাজী শরীয়তউল্লাহ, আব্দুল জববার ও অন্যান্য ফরায়েজী নেতা সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
-
যদিও হাজী শরীয়তউল্লাহ, দুদু মিয়া ও আব্দুল জববারের সংস্কার আন্দোলন এবং কেরামত আলীর আন্দোলন—উভয়ের নীতি ও আদর্শে খুব সামান্য পার্থক্য ছিল, তবুও ব্রিটিশ শাসনের ব্যাপারে তাদের অবস্থান ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত।
-
হাজী শরীয়তউল্লাহ মনে করতেন, ব্রিটিশ শাসিত ভারত দার-উল-হারব (শত্রু নিয়ন্ত্রিত দেশ)।
-
অন্যদিকে কেরামত আলী জৌনপুরী যুক্তি দেন যে, যেহেতু ব্রিটিশরা ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না, তাই ভারতবর্ষ দার-উল-হারব নয়।
-
তাঁর মতে, ভারতবর্ষ দারুল ইসলাম না হলেও অন্তত দারুল আমান, অর্থাৎ নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে বিবেচ্য।

0
Updated: 22 hours ago
'একাডেমিক এসোসিয়েশন' এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন-
Created: 4 hours ago
A
রাজা রামমোহন রায়
B
শিবনাথ শাস্ত্রী
C
সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী
D
ডিরোজিও
ডিরোজিও ছিলেন এক অসাধারণ চিন্তাবিদ ও শিক্ষক, যিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যুক্তিবাদ, স্বাধীন চিন্তা ও জ্ঞানের প্রতি আকর্ষণ জাগিয়ে তুলেছিলেন। তাঁর শিক্ষাদান ও মননচর্চার ধরন ছিল প্রচলিত ধারা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
-
হেনরী লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও ১৮০৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৩১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
-
তিনি ছিলেন একজন ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক।
-
১৮২৬ সালে, মাত্র সতেরো বছর বয়সে, তিনি কলকাতা হিন্দু কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
-
তিনি ইংরেজি সাহিত্য ও ইতিহাস পড়াতেন এবং তাঁর শিক্ষাদান পদ্ধতি ছিল গতানুগতিকতামুক্ত।
-
শ্রেণীকক্ষের বাইরে তিনি ছাত্রদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতেন, প্রায়ই নিজের বাসভবনেই সেই আলোচনা হতো।
-
আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন ও বিজ্ঞানসহ নানা জ্ঞানমূলক ক্ষেত্র।
-
তাঁর অনুপ্রেরণায় ছাত্ররা ১৮২৮ সালে ‘অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি সাহিত্য ও বিতর্ক সংঘ গঠন করে।
-
এই সংঘের সভাগুলো মানিকটোলার এক বাগানবাড়িতে পাক্ষিকভাবে অনুষ্ঠিত হতো, যেখানে ছাত্র ও উদার ইউরোপীয় ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করতেন।
-
এর সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় আরও অনুরূপ সংঘ গঠিত হয়।
-
ডিরোজিও ছিলেন অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, পাশাপাশি অন্যান্য সংঘের সঙ্গেও যুক্ত থেকে তাদের কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন।
তাঁর প্রভাবেই এক নতুন শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম গড়ে ওঠে, যারা পরবর্তীকালে বাংলার নবজাগরণের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত হয়।

0
Updated: 4 hours ago