বাংলার সুলতানী রাষ্ট্রের প্রকৃতি ছিল-
A
গণতান্ত্রিক
B
স্বৈরতান্ত্রিক
C
প্রজা হিতৈষী
D
ধর্মাশ্রয়ী
উত্তরের বিবরণ
বাংলার সুলতানী রাষ্ট্রের প্রকৃতি মূলত প্রজা হিতৈষী ছিল এবং এই আমলে প্রশাসন ও সমাজে বহু জাতি ও সংস্কৃতির প্রভাব দেখা যায়।
-
বাংলা সালতানাত ছিল একটি সুন্নি মুসলিম শাসিত রাজ্য, যেখানে বাঙালি, তুর্কি-পারস্য, আফগান ও আবিসিনিয়ান অভিজাত শ্রেণীর প্রভাব ছিল সুস্পষ্ট।
-
প্রধান রাজবংশগুলোর মধ্যে ছিল ইলিয়াস শাহী, গণেশ বংশ এবং হোসেন শাহী বংশ।
-
এই আমলে ধর্মীয় সহনশীলতা ছিল অন্যতম বৈশিষ্ট্য; অমুসলিম সম্প্রদায়ও শান্তি ও সহাবস্থানের অধিকার ভোগ করত।
-
ফারসি ভাষা ছিল রাষ্ট্রীয়, প্রশাসনিক ও কূটনৈতিক ভাষা, পাশাপাশি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হতো।
-
বাংলা ভাষা প্রথমবারের মতো সুলতানী আমলেই দরবারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে, যা পরবর্তীতে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 14 hours ago
কোন্ গভর্নর জেনারেলকে ভারতে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের জনক বলা হয়?
Created: 14 hours ago
A
লর্ড বেন্টিঙ্ক
B
লর্ড লিটন
C
লর্ড রিপন
D
লর্ড কার্জন
লর্ড রিপন স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর সংস্কারের মাধ্যমে জনগণকে স্থানীয় প্রশাসনে সম্পৃক্ত করার নতুন ধারা শুরু হয়।
১. ১৮৮২ সালে তিনি সরকার কর্তৃক মনোনীত সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত স্থানীয় সরকারের প্রচলিত ব্যবস্থা বাতিল করেন।
২. তাঁর ঘোষণায় বলা হয় যে, এই সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য ছিল জনগণকে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ও সম্পৃক্ত করা।
৩. অধিক দক্ষতা ও কার্যকারিতা অর্জনের লক্ষ্যে বড় বড় লোকাল বোর্ড ভেঙে ছোট ছোট প্রশাসনিক এলাকায় বিভক্ত করা হয়।
৪. স্থানীয় বিষয়ে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে মনোনয়নের পরিবর্তে নির্বাচন প্রথা চালু করা হয়।
৫. তবে ব্রিটিশ আমলারা এর বিরোধিতা করেন, কারণ তারা মনে করতেন ভারতীয়রা তখনও নির্বাচন প্রথার জন্য প্রস্তুত নয়।
৬. এই বিরোধিতার ফলে রিপন তাঁর প্রত্যাশিত নির্বাচনী আদর্শ সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেননি।
৭. তবুও গ্রামীণ ও শহুরে কমিটিতে নির্বাচিত ও মনোনীত উভয় ধরনের সদস্যই ছিলেন।
৮. রিপনের সর্বোচ্চ কৃতিত্ব হলো, তিনি প্রথমবারের মতো গ্রামীণ বোর্ডে নির্বাচন প্রথা চালু করেছিলেন।

0
Updated: 14 hours ago
পান্ডুয়ার (ফিরোজাবাদ) সন্নিকটে আদিনার বিখ্যাত মসজিদ কোন্ সুলতানের শাসনামলে নির্মিত হয়?
Created: 1 day ago
A
শামস উদ্দীন ইলিয়াস শাহ্
B
সিকান্দার শাহ্
C
আলাউদ্দিন হুসেন শাহ্
D
গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ্
আদিনা মসজিদ বাংলার ইতিহাসে স্থাপত্য ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন। এটি শুধু বাংলার নয়, সমগ্র উপমহাদেশের অন্যতম বৃহত্তম মসজিদ হিসেবে পরিচিত।
-
অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার হযরত পান্ডুয়া বা ফিরুজাবাদে অবস্থিত।
-
গুরুত্ব: এটি উপমহাদেশের বৃহত্তম মসজিদ, যা বাংলার স্থাপত্য ঐতিহ্যের শিখর নির্দেশ করে।
-
নির্মাণকাল ও নির্মাতা: মসজিদের পেছনের দেয়ালের একটি শিলালিপি থেকে জানা যায়, এটি ১৩৭৩ খ্রিস্টাব্দে সুলতান ইলিয়াস শাহের পুত্র সিকান্দর শাহ নির্মাণ করেন।
-
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: সিকান্দর শাহ ১৩৬৯ খ্রিস্টাব্দে নিজেকে আরব ও পারস্যের সুলতানদের মধ্যে যোগ্যতম এবং পরবর্তীতে ‘বিশ্বাসীদের খলিফা’ বলে ঘোষণা করেন। তাই এমন একটি বিশাল ও জাঁকজমকপূর্ণ মসজিদ নির্মাণ তাঁর সম্পদ, ক্ষমতা ও ধর্মীয় মর্যাদার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 1 day ago
১৯১০ সালে ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী ছিল-
Created: 14 hours ago
A
আগ্রা
B
দিল্লী
C
ফতেপুর সিক্রি
D
কলকাতা
কলকাতা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ নগরী হিসেবে বিশেষ ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। এটি একসময় উপমহাদেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল।
-
কলকাতা পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী, সবচেয়ে বড় শহর এবং প্রধান বন্দর।
-
এটি ১৯১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী হিসেবে পরিচিত ছিল।
-
রাজধানী স্থানান্তরের পর, কলকাতা অবিভক্ত বাংলা প্রদেশের রাজধানী হিসেবে অব্যাহত থাকে।
-
এ তথ্যটি নেওয়া হয়েছে “বাংলাদেশের ইতিহাস ১৯০৫–১৯৭১” - ড. আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেন গ্রন্থ থেকে।

0
Updated: 14 hours ago