কোন্ গভর্নর জেনারেলকে ভারতে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের জনক বলা হয়?
A
লর্ড বেন্টিঙ্ক
B
লর্ড লিটন
C
লর্ড রিপন
D
লর্ড কার্জন
উত্তরের বিবরণ
লর্ড রিপন স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর সংস্কারের মাধ্যমে জনগণকে স্থানীয় প্রশাসনে সম্পৃক্ত করার নতুন ধারা শুরু হয়।
১. ১৮৮২ সালে তিনি সরকার কর্তৃক মনোনীত সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত স্থানীয় সরকারের প্রচলিত ব্যবস্থা বাতিল করেন।
২. তাঁর ঘোষণায় বলা হয় যে, এই সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য ছিল জনগণকে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ও সম্পৃক্ত করা।
৩. অধিক দক্ষতা ও কার্যকারিতা অর্জনের লক্ষ্যে বড় বড় লোকাল বোর্ড ভেঙে ছোট ছোট প্রশাসনিক এলাকায় বিভক্ত করা হয়।
৪. স্থানীয় বিষয়ে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে মনোনয়নের পরিবর্তে নির্বাচন প্রথা চালু করা হয়।
৫. তবে ব্রিটিশ আমলারা এর বিরোধিতা করেন, কারণ তারা মনে করতেন ভারতীয়রা তখনও নির্বাচন প্রথার জন্য প্রস্তুত নয়।
৬. এই বিরোধিতার ফলে রিপন তাঁর প্রত্যাশিত নির্বাচনী আদর্শ সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেননি।
৭. তবুও গ্রামীণ ও শহুরে কমিটিতে নির্বাচিত ও মনোনীত উভয় ধরনের সদস্যই ছিলেন।
৮. রিপনের সর্বোচ্চ কৃতিত্ব হলো, তিনি প্রথমবারের মতো গ্রামীণ বোর্ডে নির্বাচন প্রথা চালু করেছিলেন।

0
Updated: 14 hours ago
'হুমায়ূন নামার' রচয়িতা কে?
Created: 14 hours ago
A
সম্রাট হমায়ুন
B
গুলবদন বেগম
C
সম্রাট আকবর
D
সম্রাট জাহাঙ্গীর
গুলবদন বেগম রচিত ‘হুমায়ুননামা’ মোগল সম্রাট হুমায়ুনের জীবনী ও তাঁর যুগের ইতিহাস জানার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এতে সম্রাটের রাজনৈতিক জীবন, পারিবারিক ঘটনা এবং রাজদরবারের অভ্যন্তরীণ দিকের মূল্যবান বিবরণ পাওয়া যায়।
গুলবদন বেগম ছিলেন সম্রাট বাবরের কন্যা, জন্ম প্রায় ১৫২৩ খ্রিস্টাব্দে।
-
হুমায়ুন সিংহাসনে আরোহণের সময় তাঁর বয়স ছিল প্রায় আট বছর।
-
তিনি চাঘতাই মোগল খিজর খাওয়াজা খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
-
তাঁর লেখনী ও বিবরণ থেকে বোঝা যায় যে তিনি সুশিক্ষিতা, প্রতিভাবান ও বিদ্যানুরাগী ছিলেন।
-
গুলবদন বেগম ছিলেন রাজকীয় হারেমের নারীদের মধ্যে বিশেষভাবে বিশ্বাসভাজন, বিশেষত হুমায়ুনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত।

0
Updated: 14 hours ago
ফরায়েজী মতবাদকে 'খারিজী' ঘোষণা করেন
Created: 22 hours ago
A
মৌলানা শরাফত আলী জৌনপুরি
B
মৌলানা নিয়ামত আলী জৌনপুরি
C
মৌলানা কেরামত আলী জৌনপুরি
D
মৌলানা শওকত আলী জৌনপুরি
কেরামত আলী জৌনপুরী ছিলেন উনিশ শতকের এক প্রখ্যাত ধর্মপ্রচারক, যিনি ইসলামী সংস্কার আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর চিন্তা ও কার্যক্রম মূলত ধর্মীয় সংস্কার ও সমাজে নৈতিক শুদ্ধতা ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হলেও, ফরায়েজী মতবাদের সঙ্গে কিছু নীতিগত পার্থক্য ছিল।
-
কেরামত আলী জৌনপুরী ফরায়েজী মতবাদকে ‘খারিজী’ ঘোষণা করেন।
-
তিনি কলকাতায় ধর্মপ্রচারের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে যশোর ও খুলনা হয়ে বরিশাল পৌঁছেন।
-
এ সময় হাজী শরীয়তউল্লাহ, আব্দুল জববার ও অন্যান্য ফরায়েজী নেতা সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
-
যদিও হাজী শরীয়তউল্লাহ, দুদু মিয়া ও আব্দুল জববারের সংস্কার আন্দোলন এবং কেরামত আলীর আন্দোলন—উভয়ের নীতি ও আদর্শে খুব সামান্য পার্থক্য ছিল, তবুও ব্রিটিশ শাসনের ব্যাপারে তাদের অবস্থান ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত।
-
হাজী শরীয়তউল্লাহ মনে করতেন, ব্রিটিশ শাসিত ভারত দার-উল-হারব (শত্রু নিয়ন্ত্রিত দেশ)।
-
অন্যদিকে কেরামত আলী জৌনপুরী যুক্তি দেন যে, যেহেতু ব্রিটিশরা ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না, তাই ভারতবর্ষ দার-উল-হারব নয়।
-
তাঁর মতে, ভারতবর্ষ দারুল ইসলাম না হলেও অন্তত দারুল আমান, অর্থাৎ নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে বিবেচ্য।

0
Updated: 22 hours ago
বঙ্গাব্দের প্রবর্তক
Created: 4 hours ago
A
রাজা শশাঙ্ক
B
সম্রাট আকবর
C
রাজা দেবপাল
D
রাজা বিজয় সেন
বাংলা সনের প্রবর্তন নিয়ে বিভিন্ন মত থাকলেও বেশিরভাগ গবেষক ও ইতিহাসবিদের মতে এর সূচনা করেছিলেন সম্রাট আকবর।
ভারতের কিছু হিন্দুত্ববাদী সংগঠন দাবি করে যে গৌড়ের প্রাচীন রাজা শশাঙ্ক বাংলা সনের প্রবর্তক ছিলেন।
-
বাংলাদেশের গবেষক ও ইতিহাসবিদরা একমত যে বাংলা সন বা বঙ্গাব্দের সূচনা হয়েছিল মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে।
-
কিছু ইতিহাসবিদ ও নৃতাত্ত্বিকের মতে, বাংলার কৃষি সংস্কৃতির বিকাশের সময় থেকেই বাংলা সনের উদ্ভব, যদিও এর সঠিক সময় নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
-
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা শশাঙ্ককে প্রবর্তক হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে, তবে সে দেশেই এই দাবি নিয়ে বিতর্ক ও ভিন্নমত রয়েছে।
-
ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের বক্তব্য অনুযায়ী, বিখ্যাত বিজ্ঞানী ড. মেঘনাদ সাহা থেকে শুরু করে ড. অমর্ত্য সেন পর্যন্ত অনেক খ্যাতিমান গবেষক আকবরকেই বাংলা সনের প্রবর্তক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

0
Updated: 4 hours ago