সামরিক বিভাগে দুর্নীতি দূর করার জন্য 'হলিয়া' ও 'দাগ' নামে দুটি ব্যবস্থার প্রচলন করেন কোন্ সুলতান?
A
পিয়াস উদ্দীন বলবন
B
জালাল উদ্দীন ফিরোজ খলজী
C
আলাউদ্দিন খলজী
D
মুহম্মদ বিন তুঘলক
উত্তরের বিবরণ
আলাউদ্দিন খলজী সৈন্যবাহিনীতে শৃঙ্খলা ও সততা বজায় রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেন। তাঁর সময় সৈন্যদের অনুপস্থিতি ও নিম্নমানের ঘোড়া ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছিল, যা তিনি কঠোরভাবে দমন করেন।
এই সংস্কারের মূল দিকগুলো ছিল—
-
হুলিয়া প্রথা: প্রতিটি সৈন্যের দৈহিক বৈশিষ্ট্য ও পরিচয় সরকারিভাবে নথিভুক্ত করা হয়, যাতে অন্য কেউ তার স্থলাভিষিক্ত হতে না পারে।
-
দাগ প্রথা: সৈন্যদের ব্যবহৃত ঘোড়ার শরীরে লোহা পুড়িয়ে বিশেষ চিহ্ন (দাগ) দেওয়া হতো, যাতে যুদ্ধের সময় নিম্নমানের বা ভিন্ন ঘোড়া বদলে ব্যবহার করা না যায়।
-
এই ব্যবস্থা দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সৈন্যবাহিনীর দক্ষতা ও বিশ্বস্ততা নিশ্চিত করে।

0
Updated: 14 hours ago
মিনহাজ উদ্দিন সিরাজ ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজীর মৃত্যুর প্রায় কত বছর পর বাংলায় আসেন?
Created: 4 hours ago
A
২০
B
৩০
C
৪০
D
৫০
মিনহাজ উদ্দিন সিরাজ বাংলার ইতিহাস রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজীর মৃত্যুর প্রায় ৪০ বছর পর বাংলায় আগমন করেন এবং এখানে অবস্থানকালে বহু ঐতিহাসিক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হন।
১২৪২ খ্রিস্টাব্দে কারায় মালিক ইজ্জউদ্দীন তুগরল তুগান খানের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়।
-
পরবর্তীতে তিনি বাংলার রাজধানী লখনৌতিতে আসেন এবং প্রায় দুই বছর সেখানে অবস্থান করেন।
-
তিনি উড়িষ্যার বিরুদ্ধে অভিযানে তুগান খানের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন।
-
লখনৌতি অধিকার নিয়ে তুগান খান ও অযোধ্যার গভর্নর মালিক তামার খান কিরানের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলে, তিনি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন।
-
বাংলার রাজধানীতে অবস্থানকালে তিনি বখতিয়ারের বাংলা বিজয় সম্পর্কিত তথ্য তাঁর জীবিত সহযোগীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন।
-
এছাড়া, দিল্লি সুলতানদের বাংলায় অভিযানকালে আগত দিল্লিবাসীদের কাছ থেকেও তিনি ইতিহাস রচনার জন্য তথ্য সংগ্রহ করেন।

0
Updated: 4 hours ago
'উষ্ণজল' নীতি কার ছিল?
Created: 15 hours ago
A
মহান ফ্রেডারিক
B
দ্বিতীয় ক্যাথারিন
C
মহান পিটার
D
জার নিকলাস
উষ্ণজল নীতি ছিল রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার মূল লক্ষ্য ছিল সারা বছর নৌচলাচল ও বাণিজ্য চালু রাখার জন্য বরফমুক্ত সমুদ্রবন্দর দখল করা।
-
রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলের সব বন্দর শীতকালে বরফে জমে যেত, ফলে বাণিজ্য ও নৌচলাচল ব্যাহত হতো।
-
এ সমস্যার সমাধানে রাশিয়া দক্ষিণমুখী সম্প্রসারণের নীতি গ্রহণ করে, যা পরিচিত হয় ‘উষ্ণজল নীতি’ নামে।
-
এই নীতির মূল উদ্দেশ্য ছিল Black Sea, Mediterranean Sea, ও ভারত মহাসাগর অভিমুখে প্রভাব বিস্তার করা।
-
উষ্ণজল নীতির ফলে রাশিয়ার সঙ্গে অন্যান্য ইউরোপীয় শক্তির সংঘাত ঘটে, যার অন্যতম উদাহরণ ক্রিমিয়া যুদ্ধ (1853–1856)।
-
এই নীতির সূচনা ও বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন মহান পিটার (Peter the Great)।

0
Updated: 15 hours ago
ট্যাভারনিয়ে কোন দেশের পর্যটক ছিলেন?
Created: 14 hours ago
A
ইংল্যান্ড
B
ফ্রান্স
C
পর্তুগাল
D
স্পেন
সতেরো শতকের বিখ্যাত ফরাসি পর্যটক জে.বি টেভার্নিয়ার (১৬০৫–১৬৮৯) ইউরোপ থেকে ভারত ও বাংলাসহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল ভ্রমণ করেছিলেন। তাঁর লেখা ভ্রমণবৃত্তান্তে সে সময়কার ভারতের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থার বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে।
-
জন্ম: ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের প্যারিসে।
-
পরিবার: তাঁর বাবা গ্যাব্রিয়েল টেভার্নিয়ার ছিলেন একজন বণিক ও ভূগোলবিদ, যাঁর কাছ থেকেই তিনি ভূগোলচর্চা ও বিদেশ ভ্রমণের অনুপ্রেরণা পান।
-
ভারত ভ্রমণ: সতেরো শতকের ষাটের দশকে তিনি ভারত ভ্রমণ করেন এবং বাংলার রাজধানী ঢাকা সম্পর্কে মূল্যবান বর্ণনা দেন।
-
ভ্রমণবৃত্তান্ত: তাঁর ভ্রমণের বিবরণ “Travels in India” শিরোনামে ১৬৮৯ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়।
-
বাংলা ভ্রমণ: তিনি দুবার ঢাকা সফর করেন—প্রথমবার ১৬৪০ সালে এবং দ্বিতীয়বার ১৬৬৬ সালের জানুয়ারিতে।
-
তাঁর বর্ণনায় তৎকালীন ঢাকার ঐশ্বর্য, বাণিজ্যিক গুরুত্ব ও নগরজীবনের নানা দিক বিশদভাবে ফুটে উঠেছে।

0
Updated: 14 hours ago