১৯৪৭ সালে স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রে পূর্ববাংলার প্রথম গভর্নর ছিলেন-
A
খাজা নাজিম উদ্দিন
B
নূরুল আমিন
C
মোহাম্মদ আলী
D
চৌধুরী খালেকুজ্জামান
উত্তরের বিবরণ
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর পূর্ববাংলা (পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান) প্রশাসনের নেতৃত্ব দুটি পদে বিভক্ত ছিল। প্রথমত, গভর্নর পদে স্যার ফ্রেডেরিক চালমার্স বোর্ন দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতীয়ত, মন্ত্রিপরিষদের প্রধান হিসেবে অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিমুদ্দিন।
পূর্ববাংলার প্রথম গভর্নর: স্যার ফ্রেডেরিক চালমার্স বোর্ন
-
পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী: খাজা নাজিমুদ্দিন
এই দুই পদ একই সময়ে বিদ্যমান ছিল, যেখানে গভর্নর ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি এবং মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন প্রাদেশিক সরকারের প্রধান।

0
Updated: 15 hours ago
'উষ্ণজল' নীতি কার ছিল?
Created: 15 hours ago
A
মহান ফ্রেডারিক
B
দ্বিতীয় ক্যাথারিন
C
মহান পিটার
D
জার নিকলাস
উষ্ণজল নীতি ছিল রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার মূল লক্ষ্য ছিল সারা বছর নৌচলাচল ও বাণিজ্য চালু রাখার জন্য বরফমুক্ত সমুদ্রবন্দর দখল করা।
-
রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলের সব বন্দর শীতকালে বরফে জমে যেত, ফলে বাণিজ্য ও নৌচলাচল ব্যাহত হতো।
-
এ সমস্যার সমাধানে রাশিয়া দক্ষিণমুখী সম্প্রসারণের নীতি গ্রহণ করে, যা পরিচিত হয় ‘উষ্ণজল নীতি’ নামে।
-
এই নীতির মূল উদ্দেশ্য ছিল Black Sea, Mediterranean Sea, ও ভারত মহাসাগর অভিমুখে প্রভাব বিস্তার করা।
-
উষ্ণজল নীতির ফলে রাশিয়ার সঙ্গে অন্যান্য ইউরোপীয় শক্তির সংঘাত ঘটে, যার অন্যতম উদাহরণ ক্রিমিয়া যুদ্ধ (1853–1856)।
-
এই নীতির সূচনা ও বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন মহান পিটার (Peter the Great)।

0
Updated: 15 hours ago
বাংলার সুলতানী রাষ্ট্রের প্রকৃতি ছিল-
Created: 14 hours ago
A
গণতান্ত্রিক
B
স্বৈরতান্ত্রিক
C
প্রজা হিতৈষী
D
ধর্মাশ্রয়ী
বাংলার সুলতানী রাষ্ট্রের প্রকৃতি মূলত প্রজা হিতৈষী ছিল এবং এই আমলে প্রশাসন ও সমাজে বহু জাতি ও সংস্কৃতির প্রভাব দেখা যায়।
-
বাংলা সালতানাত ছিল একটি সুন্নি মুসলিম শাসিত রাজ্য, যেখানে বাঙালি, তুর্কি-পারস্য, আফগান ও আবিসিনিয়ান অভিজাত শ্রেণীর প্রভাব ছিল সুস্পষ্ট।
-
প্রধান রাজবংশগুলোর মধ্যে ছিল ইলিয়াস শাহী, গণেশ বংশ এবং হোসেন শাহী বংশ।
-
এই আমলে ধর্মীয় সহনশীলতা ছিল অন্যতম বৈশিষ্ট্য; অমুসলিম সম্প্রদায়ও শান্তি ও সহাবস্থানের অধিকার ভোগ করত।
-
ফারসি ভাষা ছিল রাষ্ট্রীয়, প্রশাসনিক ও কূটনৈতিক ভাষা, পাশাপাশি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হতো।
-
বাংলা ভাষা প্রথমবারের মতো সুলতানী আমলেই দরবারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে, যা পরবর্তীতে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 14 hours ago
আকবরের 'ইবাদত খানায়’
Created: 17 hours ago
A
নামাজ পরানো হতো
B
কোরআন শেখানো হতো
C
রাজনীতির আলোচনা হতো
D
ধর্মীয় পণ্ডিতগণ মতবিনিময় করতেন
১৫৭৫ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট আকবর তাঁর রাজধানী ফতেহপুর সিক্রিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন, যার নাম ছিল ইবাদতখানা (উপাসনা ঘর)। এটি ছিল এক ধরনের আলোচনা ও বিতর্কের সভাঘর, যেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় মতাবলম্বীদের মধ্যে চিন্তাভাবনার বিনিময় ঘটত।
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৫৭৫ খ্রিস্টাব্দ
-
প্রতিষ্ঠাতা: মুঘল সম্রাট আকবর (শাসনকাল ১৫৫৬–১৬০৫)
-
অবস্থান: ফতেহপুর সিক্রি
-
উদ্দেশ্য: বিভিন্ন ধর্ম ও বিশ্বাসের আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় নেতাদের একত্র করে ধর্মীয় শিক্ষার বিষয়ে আলোচনা ও বিতর্ক পরিচালনা করা
-
গুরুত্ব: এটি আকবরের ধর্মীয় সহনশীলতা ও মতের স্বাধীনতার নীতি প্রকাশ করেছিল
এটি দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসের (১৫২৬–১৮৫৭) একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয়-রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 17 hours ago