'উষ্ণজল' নীতি কার ছিল?
A
মহান ফ্রেডারিক
B
দ্বিতীয় ক্যাথারিন
C
মহান পিটার
D
জার নিকলাস
উত্তরের বিবরণ
উষ্ণজল নীতি ছিল রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার মূল লক্ষ্য ছিল সারা বছর নৌচলাচল ও বাণিজ্য চালু রাখার জন্য বরফমুক্ত সমুদ্রবন্দর দখল করা।
-
রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলের সব বন্দর শীতকালে বরফে জমে যেত, ফলে বাণিজ্য ও নৌচলাচল ব্যাহত হতো।
-
এ সমস্যার সমাধানে রাশিয়া দক্ষিণমুখী সম্প্রসারণের নীতি গ্রহণ করে, যা পরিচিত হয় ‘উষ্ণজল নীতি’ নামে।
-
এই নীতির মূল উদ্দেশ্য ছিল Black Sea, Mediterranean Sea, ও ভারত মহাসাগর অভিমুখে প্রভাব বিস্তার করা।
-
উষ্ণজল নীতির ফলে রাশিয়ার সঙ্গে অন্যান্য ইউরোপীয় শক্তির সংঘাত ঘটে, যার অন্যতম উদাহরণ ক্রিমিয়া যুদ্ধ (1853–1856)।
-
এই নীতির সূচনা ও বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন মহান পিটার (Peter the Great)।

0
Updated: 15 hours ago
ইতিহাসবিদ আফিফ-ই-সিরাজের সমসাময়িক ছিলেন-
Created: 15 hours ago
A
হুসেন শাহ্
B
চৈতন্য দেব
C
নবাব সিরাজউদ্দোলা
D
ইলিয়াস শাহ্
শামস-ই-সিরাজ আফীফ তাঁর গ্রন্থ ‘তারিখ-ই-ফিরুজশাহী’-তে ফিরোজ শাহের দুটি বাংলা অভিযান সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন। এই বিবরণগুলো থেকে ফিরোজ শাহ ও বাংলার শাসকদের সম্পর্ক এবং সেই সময়কার রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্পষ্টভাবে জানা যায়।
১. আফীফ ফিরোজ শাহের দুটি অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন।
২. প্রথম অভিযান ছিল সুলতান ইলিয়াস শাহের বিরুদ্ধে।
৩. দ্বিতীয় অভিযান পরিচালিত হয়েছিল ইলিয়াস শাহের পুত্র সিকান্দর শাহের বিরুদ্ধে।
৪. ফিরোজ শাহের দ্বিতীয় বাংলা অভিযানের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন একমাত্র আফীফ, যিনি এই ঘটনার নির্ভরযোগ্য উৎস।
৫. আফীফের মতে, ইলিয়াস শাহের বিরুদ্ধে বিজয়ের পর যদিও ফিরোজ শাহ বাস্তবে কোনো সুফল পাননি, তবুও তিনি দিল্লিতে ফিরে যান।
৬. এর কিছুদিন পর লখনৌতির ইলিয়াস শাহ সোনারগাঁয়ের সুলতান ফখরুদ্দীন মুবারক শাহের জামাতা জাফর খানকে ক্ষমতাচ্যুত করে শাসন দখল করেন।
৭. এই তথ্য থেকে স্পষ্ট যে, ইলিয়াস শাহ ছিলেন আফীফের সমসাময়িক শাসক।

0
Updated: 15 hours ago
গোপচন্দ্র ছিলেন-
Created: 22 hours ago
A
স্বাধীন বংগ রাজ্যের রাজা
B
গৌড়ের রাজা
C
গুপ্ত বংগের রাজা
D
চন্দ্রবংশের রাজা
গোপচন্দ্র ছিলেন স্বাধীন বঙ্গ রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম গুরুত্বপূর্ণ শাসক হিসেবে ইতিহাসে পরিচিত। তাঁর শাসনকাল ষষ্ঠ শতকের প্রথমার্ধে নির্ধারিত। গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনোন্মুখ অবস্থার সুযোগে তিনি স্বাধীন শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
-
গোপচন্দ্র গুপ্ত সাম্রাজ্যের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে পূর্ব ও দক্ষিণ বাংলা এবং পশ্চিম বাংলার দক্ষিণ অংশে স্বাধীন বঙ্গ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
-
ফরিদপুর জেলার কোটালিপাড়া থেকে আবিষ্কৃত ৫টি তাম্রশাসন, বর্ধমান জেলার মল্লসারুল থেকে ১টি এবং বালেশ্বর জেলার জয়রামপুর থেকে ১টি তাম্রশাসন পাওয়া গেছে।
-
এই তাম্রশাসনগুলো থেকে স্বাধীন বঙ্গ রাজ্যের তিনজন শাসকের নাম জানা যায়— গোপচন্দ্র, ধর্মাদিত্য ও সমাচারদেব।
-
তাঁদের সম্পর্কে ঐতিহাসিক তথ্য খুবই সীমিত।

0
Updated: 22 hours ago
'হুমায়ূন নামার' রচয়িতা কে?
Created: 14 hours ago
A
সম্রাট হমায়ুন
B
গুলবদন বেগম
C
সম্রাট আকবর
D
সম্রাট জাহাঙ্গীর
গুলবদন বেগম রচিত ‘হুমায়ুননামা’ মোগল সম্রাট হুমায়ুনের জীবনী ও তাঁর যুগের ইতিহাস জানার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এতে সম্রাটের রাজনৈতিক জীবন, পারিবারিক ঘটনা এবং রাজদরবারের অভ্যন্তরীণ দিকের মূল্যবান বিবরণ পাওয়া যায়।
গুলবদন বেগম ছিলেন সম্রাট বাবরের কন্যা, জন্ম প্রায় ১৫২৩ খ্রিস্টাব্দে।
-
হুমায়ুন সিংহাসনে আরোহণের সময় তাঁর বয়স ছিল প্রায় আট বছর।
-
তিনি চাঘতাই মোগল খিজর খাওয়াজা খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
-
তাঁর লেখনী ও বিবরণ থেকে বোঝা যায় যে তিনি সুশিক্ষিতা, প্রতিভাবান ও বিদ্যানুরাগী ছিলেন।
-
গুলবদন বেগম ছিলেন রাজকীয় হারেমের নারীদের মধ্যে বিশেষভাবে বিশ্বাসভাজন, বিশেষত হুমায়ুনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত।

0
Updated: 14 hours ago