'তুঘলকি' পরিকল্পনা বলতে বোঝায়-
A
ভাল পরিকল্পনা
B
বড় ও ব্যর্থ পরিকল্পনা
C
বড় পরিকল্পনা
D
যুগোপযােগী পরিকল্পনা
উত্তরের বিবরণ
জিয়াউদ্দীন বারণী সুলতান মুহম্মদ-বিন-তুঘলকের পাঁচটি প্রধান পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেছেন, যেগুলো পরবর্তীতে ইতিহাসে “তুঘলকি পরিকল্পনা” নামে পরিচিত হয়। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত সবগুলোই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
তথ্যগুলো নিম্নরূপ—
১. দেবগিরিতে রাজধানী স্থানান্তর: সুলতান সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে দাক্ষিণাত্যের দেবগিরি (পরবর্তীতে দৌলতাবাদ) নির্ধারণ করেন। উদ্দেশ্য ছিল সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক সুবিধা ও দক্ষিণাঞ্চলের ওপর নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি। কয়েক বছর তিনি সেখানে অবস্থান করলেও শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনাটি ব্যর্থ হয়।
২. খোরাসান অভিযান: তিনি খোরাসান আক্রমণের উদ্দেশ্যে বিশাল সৈন্যবাহিনী গঠন করেন। কিন্তু অভিযানের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রায় দেড় বছর পর পরিকল্পনাটি পরিত্যক্ত হয়, ফলে প্রচুর অর্থ ও জনবল অপচয় ঘটে।
৩. কারাচিল অভিযান: উত্তর ভারতের পার্বত্য অঞ্চল কারাচিলে অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও প্রতিকূল ভৌগোলিক অবস্থান ও সেনাদের কষ্টের কারণে এ পরিকল্পনাও সফল হয়নি।
৪. প্রতীক মুদ্রা প্রচলন: তিনি স্বর্ণ ও রৌপ্যের পরিবর্তে তামার প্রতীক মুদ্রা চালু করেন। কিন্তু জনগণ এর উদ্দেশ্য বুঝতে না পারায় এবং ব্যাপক জাল মুদ্রা তৈরির ফলে ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে; সুলতান বাধ্য হয়ে এটি প্রত্যাহার করেন।
৫. দোয়াবে কর বৃদ্ধি: তিনি দোয়াব অঞ্চলে কর বৃদ্ধি করেন, কিন্তু অনাবৃষ্টি ও দুর্ভিক্ষের কারণে প্রজারা কর দিতে অক্ষম হয়। এতে জনগণ বনে পালিয়ে যায় এবং পরিকল্পনাটি ব্যর্থ হয়।
এসব পরিকল্পনার ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে সমকালীন ও পরবর্তী ঐতিহাসিকগণ সুলতানকে স্বেচ্ছাচারী, খামখেয়ালী এবং কখনও পাগল পর্যন্ত বলেছেন। তবু তাঁর এসব উদ্যোগ প্রশাসনিক নতুনত্ব ও উচ্চাভিলাষী চিন্তার প্রতিফলন ছিল।

0
Updated: 15 hours ago
ব্রিটিশ ভারতে প্রথম শিক্ষা কমিশন (হান্টার কমিশন) হয়-
Created: 4 hours ago
A
১৮৮০ খ্রিঃ
B
১৮৮১ খ্রিঃ
C
১৮৮২ খ্রিঃ
D
১৮৮৩ খ্রিঃ
লর্ড রিপন ১৮৮২ সালে উইলিয়ম হান্টারকে চেয়ারম্যান করে প্রথম ইন্ডিয়ান এডুকেশন কমিশন গঠন করেন, যা ভারতে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কমিশনের প্রধান সুপারিশগুলো ছিল:
-
সরকারি অনুদান ব্যবস্থার মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনার হাতে তুলে দেওয়া।
-
স্কুলে অভ্যন্তরীণ ও প্রবেশিকা পরীক্ষা চালুর ব্যবস্থা করা।
-
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করা।
এই সুপারিশগুলো ভারতের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যক্তি উদ্যোগ ও মানসম্মত শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল।

0
Updated: 4 hours ago
সম্রাট হিসেবে নেপোলিয়নের ক্ষমতা লাভের প্রাক্কালে ফ্রান্সের সর্বময় ক্ষমতা ছিল-
Created: 14 hours ago
A
ডাইরেক্টরদের হাতে
B
ষোড়শ লুইয়ের হাতে
C
প্রথম কনসালের হাতে
D
ব্যারাসের হাতে
নেপোলিয়নের ক্ষমতা লাভের পেছনে ফ্রান্সের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ডিরেক্টরি শাসনের দুর্বলতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফরাসি বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে শাসনব্যবস্থা ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত ও অকার্যকর, যা নেপোলিয়নের উত্থানকে ত্বরান্বিত করেছিল।
সম্রাট হিসেবে নেপোলিয়নের ক্ষমতা লাভের প্রাক্কালে ফ্রান্সের সর্বময় ক্ষমতা ছিল ডাইরেক্টরদের হাতে।
-
১৭৯৯ সালের নভেম্বরে তিনি ফরাসি ডিরেক্টরির বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান সংঘটিত করে ফরাসি প্রজাতন্ত্রের প্রথম কনসাল হন।
-
ডিরেক্টরি শাসনের সীমাহীন দুর্নীতি ও দুর্বলতা নেপোলিয়নের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়ার পথকে সহজ করে দেয়।

0
Updated: 14 hours ago
শ্রী চৈতন্যদেবের আবির্ভাব হয়েছিল বাংলার কোন শাসকের আমলে?
Created: 22 hours ago
A
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ্
B
গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ্
C
আলাউদ্দিন হুসেন শাহ্
D
নসরৎ শাহ্
আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনামলে বৈষ্ণব কাব্যে তাঁর উদার মানসিকতার প্রতিফলন স্পষ্টভাবে দেখা যায়। তিনি ধর্মীয় সহনশীলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
-
বৈষ্ণব কাব্যসমূহে আলাউদ্দিন হোসেন শাহের উদার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে।
-
বলা হয়েছে যে, তিনি শ্রী চৈতন্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং তাঁকে ঈশ্বরের অবতার হিসেবে গণ্য করতেন।
-
শ্রী চৈতন্যের ধর্ম প্রচার কার্যক্রমে হোসেন শাহ সার্বিক সহযোগিতা ও সুবিধা প্রদান করেছিলেন।

0
Updated: 22 hours ago