'টেনিস কোর্টের শপথনামা'র তারিখ হলো:
A
২০ জুন, ১৭৮৯
B
১৭ জুন, ১৭৮৯
C
২০ জুন, ১৮৮৯
D
১৭ জুন, ১৮৮৯
উত্তরের বিবরণ
১৭৮৯ সালের ২০ জুন ফরাসি বিপ্লবের প্রারম্ভিক পর্যায়ে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা সংঘটিত হয়, যা “টেনিস কোর্টের শপথ” নামে পরিচিত। এটি ছিল ফরাসি থার্ড এস্টেটের ঐক্য ও গণতান্ত্রিক চেতনার সূচনা চিহ্নিত করার মুহূর্ত।
-
এই শপথ ড. গিলোটিনের পরামর্শে একটি বাস্তব টেনিস কোর্টে গ্রহণ করা হয়।
-
এতে ফরাসি থার্ড এস্টেটের সদস্যরা অংশ নেন।
-
তারা প্রতিজ্ঞা করেন যে, রাজ্যের সংবিধান প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তারা বিচ্ছিন্ন হবেন না এবং প্রয়োজনে পুনরায় একত্রিত হবেন।
-
এই শপথ ছিল ফরাসি বিপ্লবের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, যা রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্য ও গণঅধিকার প্রতিষ্ঠার পথে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 17 hours ago
সামরিক বিভাগে দুর্নীতি দূর করার জন্য 'হলিয়া' ও 'দাগ' নামে দুটি ব্যবস্থার প্রচলন করেন কোন্ সুলতান?
Created: 14 hours ago
A
পিয়াস উদ্দীন বলবন
B
জালাল উদ্দীন ফিরোজ খলজী
C
আলাউদ্দিন খলজী
D
মুহম্মদ বিন তুঘলক
আলাউদ্দিন খলজী সৈন্যবাহিনীতে শৃঙ্খলা ও সততা বজায় রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেন। তাঁর সময় সৈন্যদের অনুপস্থিতি ও নিম্নমানের ঘোড়া ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছিল, যা তিনি কঠোরভাবে দমন করেন।
এই সংস্কারের মূল দিকগুলো ছিল—
-
হুলিয়া প্রথা: প্রতিটি সৈন্যের দৈহিক বৈশিষ্ট্য ও পরিচয় সরকারিভাবে নথিভুক্ত করা হয়, যাতে অন্য কেউ তার স্থলাভিষিক্ত হতে না পারে।
-
দাগ প্রথা: সৈন্যদের ব্যবহৃত ঘোড়ার শরীরে লোহা পুড়িয়ে বিশেষ চিহ্ন (দাগ) দেওয়া হতো, যাতে যুদ্ধের সময় নিম্নমানের বা ভিন্ন ঘোড়া বদলে ব্যবহার করা না যায়।
-
এই ব্যবস্থা দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সৈন্যবাহিনীর দক্ষতা ও বিশ্বস্ততা নিশ্চিত করে।

0
Updated: 14 hours ago
হুগলীতে পর্তুগীজদের দমন করেন কে?
Created: 4 hours ago
A
সুবাদার মীর জুমলা
B
সুবাদার কাসিম খান জুয়াইনী
C
সুবাদার শায়েন্তা খাঁন
D
সুবাদার মুর্শিদ কুলী খান
কাসিম খান জুইনি ছিলেন সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক বাংলার সুবাহদার হিসেবে নিযুক্ত একজন বিশিষ্ট প্রশাসক। তিনি শাহজাহানের শাসনামলে বাংলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা বিশেষভাবে স্মরণীয়।
কাসিম খান জুইনি (১৬২৮–১৬৩২) সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক বাংলার সুবাহদার নিযুক্ত হন।
-
শাহজাহান সিংহাসনে আরোহণের পর ফিদাই খানকে বরখাস্ত করে তাঁকে এই পদে নিয়োগ দেন।
-
তিনি ছিলেন মীর মুরাদের পুত্র।
-
সম্রাট আকবর, শাহজাদা খুররমকে (পরবর্তী শাহজাহান) ধনুর্বিদ্যায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য মীর মুরাদকে নিয়োগ করেছিলেন এবং পরে তাঁকে লাহোরের বখশী নিযুক্ত করেন।
-
ইসলাম খান চিশতির সুবাহদারি আমলে, কাসিম খান বাংলায় খাজাঞ্চি পদে কর্মরত ছিলেন।
-
তাঁর সুবাহদারি আমলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল পর্তুগিজদের নিকট থেকে হুগলি দখল।

0
Updated: 4 hours ago
মিনহাজ উদ্দিন সিরাজ ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজীর মৃত্যুর প্রায় কত বছর পর বাংলায় আসেন?
Created: 4 hours ago
A
২০
B
৩০
C
৪০
D
৫০
মিনহাজ উদ্দিন সিরাজ বাংলার ইতিহাস রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজীর মৃত্যুর প্রায় ৪০ বছর পর বাংলায় আগমন করেন এবং এখানে অবস্থানকালে বহু ঐতিহাসিক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হন।
১২৪২ খ্রিস্টাব্দে কারায় মালিক ইজ্জউদ্দীন তুগরল তুগান খানের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়।
-
পরবর্তীতে তিনি বাংলার রাজধানী লখনৌতিতে আসেন এবং প্রায় দুই বছর সেখানে অবস্থান করেন।
-
তিনি উড়িষ্যার বিরুদ্ধে অভিযানে তুগান খানের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন।
-
লখনৌতি অধিকার নিয়ে তুগান খান ও অযোধ্যার গভর্নর মালিক তামার খান কিরানের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলে, তিনি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন।
-
বাংলার রাজধানীতে অবস্থানকালে তিনি বখতিয়ারের বাংলা বিজয় সম্পর্কিত তথ্য তাঁর জীবিত সহযোগীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন।
-
এছাড়া, দিল্লি সুলতানদের বাংলায় অভিযানকালে আগত দিল্লিবাসীদের কাছ থেকেও তিনি ইতিহাস রচনার জন্য তথ্য সংগ্রহ করেন।

0
Updated: 4 hours ago