মুসলিমদের সিন্দু বিজয়ের পূর্বে সেখানকার হিন্দু রাজার নাম কি ছিল?
A
রাজা চাণক্য
B
রাজা বীরবল
C
রাজা দাহির
D
রাজা প্রতাপাদিত্য
উত্তরের বিবরণ
হাজ্জাজ বিন ইউসুফ সিন্ধু অঞ্চলে ইসলামী শাসন বিস্তারের উদ্দেশ্যে একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন।
মূল ধারণাসমূহ—
-
৭১০ খ্রিস্টাব্দে, তিনি প্রথমে সেনাপতি ওবায়দুল্লাহ ও বুদাইলের নেতৃত্বে দুটি অভিযান পাঠান, কিন্তু উভয়ই ব্যর্থ হয়।
-
পরবর্তীতে তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সী ভ্রাতুষ্পুত্র ও জামাতা মুহাম্মদ বিন কাসিম-এর নেতৃত্বে নতুন অভিযান পাঠান।
-
৭১২ খ্রিস্টাব্দে, মুহাম্মদ বিন কাসিম রাজা দাহিরকে পরাজিত করে সিন্ধু অঞ্চল বিজয় করেন, যার মাধ্যমে ভারত উপমহাদেশে ইসলামী শাসনের সূচনা ঘটে।
-
এই বিজয়ের ফলে সিন্ধু ও মুলতান অঞ্চল ইসলামী সংস্কৃতি ও প্রশাসনের আওতায় আসে, যা পরবর্তীতে ভারতে মুসলিম শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে।

0
Updated: 17 hours ago
আরবের গোত্রপতি বাঁচাইয়ের পদ্ধতি ছিল?
Created: 18 hours ago
A
জন্ম সূত্রে
B
বিত্তশালী হওয়া
C
গোত্রীয় ঐকমত্য
D
পেশীশক্তি
আরবের গোত্রভিত্তিক শাসনব্যবস্থায় প্রতিটি গোত্রের নেতৃত্ব দিতেন একজন গোত্রীয় প্রধান বা শায়খ। তিনি গোত্রের সামাজিক, রাজনৈতিক ও বিচারকার্য পরিচালনা করতেন।
মূল ধারণাসমূহ—
-
প্রতিটি গোত্রে ‘শায়খ’ নামে একজন দলপতি বা নেতা নিযুক্ত থাকতেন।
-
বয়স, বিচারবুদ্ধি, সাহস, অর্থনৈতিক অবস্থান ও অভিজ্ঞতা যাচাই করে গোত্রীয় ঐকমত্য বা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শায়খ নির্বাচিত হতেন।
-
শায়খের নেতৃত্ব স্থায়ী ছিল না; গোত্রীয় সিদ্ধান্ত বা নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে তাঁকে পরিবর্তন করা যেত।
-
এই শাসনব্যবস্থা ছিল মূলত গোত্রকেন্দ্রিক ও পরামর্শভিত্তিক, যা আরব সমাজে ঐক্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখত।

0
Updated: 18 hours ago
খলিফা মামুনের পৃষ্ঠপোষকতায় কোন্ মতবাদের উদ্ভব হয়?
Created: 18 hours ago
A
আশআরী
B
মুতাজিলা
C
মুরজিয়া
D
খারেজী
মুতাযিলা (Mu‘tazila) ছিল ইসলামের ইতিহাসে একটি যুক্তিবাদী ও দার্শনিক চিন্তাধারার সম্প্রদায়, যারা ধর্মীয় বিষয়গুলোকে যুক্তি ও বুদ্ধির আলোকে বিশ্লেষণ করার পক্ষে ছিল।
মূল ধারণাসমূহ—
-
মুতাযিলারা বিশ্বাস করতেন, বুদ্ধিই সত্য ও মিথ্যা নির্ধারণের মূল মানদণ্ড।
-
তারা মানব স্বাধীন ইচ্ছা (Free Will)-এর পক্ষপাতী এবং নিয়তিবাদের (Fatalism) বিরোধী ছিল।
-
আব্বাসীয় খলিফা আল-মামুন (খলিফা: ৮১৩–৮৩৩ খ্রি.) এই মতবাদকে রাজধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
-
আল-মামুনের শাসনামলে মুতাযিলা মতবাদ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পায় এবং বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক গবেষণার উন্মেষ ঘটে।
-
এই কারণে তাঁর যুগকে ইসলামী সভ্যতার জ্ঞানচর্চার স্বর্ণযুগ বলা হয়।

0
Updated: 18 hours ago
হজরত আবু বকর (রাঃ)- রিদ্দার যুদ্ধ পরিচালনার জন্য মুসলিম বাহিনীকে কতটি দলে বিভক্ত করেন?
Created: 18 hours ago
A
৮টি
B
৯টি
C
১১টি
D
১৫টি
‘রিদ্দা’ (Ridda) একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ প্রত্যাবর্তন, পূর্বাবস্থায় ফিরে যাওয়া বা স্বধর্মত্যাগ। ইসলামের ইতিহাসে এটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয় সেই সময়ের জন্য, যখন কিছু গোত্র ইসলাম ত্যাগ করে বিদ্রোহে লিপ্ত হয়েছিল।
মূল ধারণাসমূহ—
-
রিদ্দার অর্থ: স্বধর্মত্যাগ বা ইসলাম থেকে ফিরে যাওয়া।
-
নবী মুহাম্মদের (সা.) মৃত্যুর পর বিভিন্ন আরব গোত্রের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।
-
তারা যাকাত প্রদানে অস্বীকৃতি জানায়, মদীনা রাষ্ট্রের প্রাধান্য অস্বীকার করে, এবং মিথ্যা নবী হিসেবে পরিচিত কয়েকজন—তোলায়হা, সাজাহ, মুসায়লামা ও আসওয়াদ আল-আনসি—উদ্ভূত হন।
-
এ অবস্থায় খলিফা আবু বকর (রা.) সকল স্বধর্মত্যাগীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন, যা ইতিহাসে “রিদ্দার যুদ্ধ” (৬৩২–৬৩৩ খ্রি.) নামে পরিচিত।
-
তিনি সেনাবাহিনীকে ১১টি দলে বিভক্ত করে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রেরণ করেন।
-
এই যুদ্ধে প্রধান মুসলিম সেনাপতিরা ছিলেন: খালিদ বিন ওয়ালিদ, ইকরামা, শুরাহবিল এবং মুহাজির বিন আবি উমাইয়া।

0
Updated: 18 hours ago