কোন্ খলিফার শাসনামলে কুরআন সংকলিত হয়?
A
হযরত আবু বকর (রাঃ)
B
হযরত উমর (রাঃ)
C
হযরত ওসমান (রাঃ)
D
হযরত আলী (রাঃ)
উত্তরের বিবরণ
ভণ্ড নবীদের মধ্যে সর্বাধিক শক্তিশালী ছিলেন মুসায়লামা আল-কজ্জাব, যিনি নিজেকে নবী দাবি করে ইসলামী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
মূল ধারণাসমূহ—
-
প্রথমে ইকরামা (রা.) ও শুরাহবিল (রা.)-কে তাঁর বিরুদ্ধে প্রেরণ করা হলেও তাঁরা সফল হতে পারেননি।
-
পরবর্তীতে ৬৩৩ খ্রিস্টাব্দে খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.) তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত ইয়ামামার যুদ্ধে মুসায়লামাকে পরাজিত ও হত্যা করেন।
-
এ যুদ্ধে প্রায় ৩০০ থেকে ৭০ জন হাফেজে কুরআন শহিদ হন, যা ইসলামী ইতিহাসে গভীর শোকের কারণ হয়।
-
এই ঘটনার পর হযরত ওমর (রা.)-এর পরামর্শে, খলিফা আবু বকর (রা.) সাহাবি যায়েদ বিন সাবিত (রা.)-কে কুরআন সংকলনের দায়িত্ব অর্পণ করেন।
-
এর মাধ্যমেই কুরআন প্রথমবারের মতো একটি সংকলিত রূপে সংরক্ষিত হয়, যা ইসলামী ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

0
Updated: 17 hours ago
আরবের গোত্রপতি বাঁচাইয়ের পদ্ধতি ছিল?
Created: 18 hours ago
A
জন্ম সূত্রে
B
বিত্তশালী হওয়া
C
গোত্রীয় ঐকমত্য
D
পেশীশক্তি
আরবের গোত্রভিত্তিক শাসনব্যবস্থায় প্রতিটি গোত্রের নেতৃত্ব দিতেন একজন গোত্রীয় প্রধান বা শায়খ। তিনি গোত্রের সামাজিক, রাজনৈতিক ও বিচারকার্য পরিচালনা করতেন।
মূল ধারণাসমূহ—
-
প্রতিটি গোত্রে ‘শায়খ’ নামে একজন দলপতি বা নেতা নিযুক্ত থাকতেন।
-
বয়স, বিচারবুদ্ধি, সাহস, অর্থনৈতিক অবস্থান ও অভিজ্ঞতা যাচাই করে গোত্রীয় ঐকমত্য বা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শায়খ নির্বাচিত হতেন।
-
শায়খের নেতৃত্ব স্থায়ী ছিল না; গোত্রীয় সিদ্ধান্ত বা নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে তাঁকে পরিবর্তন করা যেত।
-
এই শাসনব্যবস্থা ছিল মূলত গোত্রকেন্দ্রিক ও পরামর্শভিত্তিক, যা আরব সমাজে ঐক্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখত।

0
Updated: 18 hours ago
ইয়াজিদের মনোনয়ন সম্পর্কে কে রাজনৈতিক কবিতা রচনা করেছিলেন?
Created: 18 hours ago
A
ওমর ইবনে আবী রাবীয়াহ
B
লাবীদ ইবনে রাবীয়াহ
C
হাসসান ইবনে ছাবিত
D
মিসকিন আল্ দারিমি
উমাইয়া খলিফা মুয়াবিয়া (রা.) যখন তাঁর পুত্র ইয়াজিদকে উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত করতে দ্বিধায় ছিলেন, তখন মিসকিন আল-দারিমি নামের এক কবি ইয়াজিদের প্রশংসায় রাজনৈতিক কবিতা রচনা করেন।
মূল ধারণাসমূহ—
-
মিসকিন আল-দারিমি তাঁর কবিতার মাধ্যমে ইয়াজিদের গুণাবলি ও যোগ্যতা তুলে ধরেন।
-
এই কবিতা মুয়াবিয়ার মানসিক দ্বিধা দূর করতে প্রভাব ফেলে, ফলে তিনি ইয়াজিদকে উত্তরসূরি মনোনয়নে আগ্রহী হন।
-
কবিতার মাধ্যমে মিসকিন আল-দারিমি মুয়াবিয়া ও ইয়াজিদের ঘনিষ্ঠতা অর্জন করেন।
-
এই ঘটনা ইসলামী ইতিহাসে রাজনৈতিক কবিতার প্রভাবের অন্যতম উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 18 hours ago
হজরত আবু বকর (রাঃ)- রিদ্দার যুদ্ধ পরিচালনার জন্য মুসলিম বাহিনীকে কতটি দলে বিভক্ত করেন?
Created: 18 hours ago
A
৮টি
B
৯টি
C
১১টি
D
১৫টি
‘রিদ্দা’ (Ridda) একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ প্রত্যাবর্তন, পূর্বাবস্থায় ফিরে যাওয়া বা স্বধর্মত্যাগ। ইসলামের ইতিহাসে এটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয় সেই সময়ের জন্য, যখন কিছু গোত্র ইসলাম ত্যাগ করে বিদ্রোহে লিপ্ত হয়েছিল।
মূল ধারণাসমূহ—
-
রিদ্দার অর্থ: স্বধর্মত্যাগ বা ইসলাম থেকে ফিরে যাওয়া।
-
নবী মুহাম্মদের (সা.) মৃত্যুর পর বিভিন্ন আরব গোত্রের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।
-
তারা যাকাত প্রদানে অস্বীকৃতি জানায়, মদীনা রাষ্ট্রের প্রাধান্য অস্বীকার করে, এবং মিথ্যা নবী হিসেবে পরিচিত কয়েকজন—তোলায়হা, সাজাহ, মুসায়লামা ও আসওয়াদ আল-আনসি—উদ্ভূত হন।
-
এ অবস্থায় খলিফা আবু বকর (রা.) সকল স্বধর্মত্যাগীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন, যা ইতিহাসে “রিদ্দার যুদ্ধ” (৬৩২–৬৩৩ খ্রি.) নামে পরিচিত।
-
তিনি সেনাবাহিনীকে ১১টি দলে বিভক্ত করে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রেরণ করেন।
-
এই যুদ্ধে প্রধান মুসলিম সেনাপতিরা ছিলেন: খালিদ বিন ওয়ালিদ, ইকরামা, শুরাহবিল এবং মুহাজির বিন আবি উমাইয়া।

0
Updated: 18 hours ago