আকবরের 'ইবাদত খানায়’
A
নামাজ পরানো হতো
B
কোরআন শেখানো হতো
C
রাজনীতির আলোচনা হতো
D
ধর্মীয় পণ্ডিতগণ মতবিনিময় করতেন
উত্তরের বিবরণ
১৫৭৫ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট আকবর তাঁর রাজধানী ফতেহপুর সিক্রিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন, যার নাম ছিল ইবাদতখানা (উপাসনা ঘর)। এটি ছিল এক ধরনের আলোচনা ও বিতর্কের সভাঘর, যেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় মতাবলম্বীদের মধ্যে চিন্তাভাবনার বিনিময় ঘটত।
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৫৭৫ খ্রিস্টাব্দ
-
প্রতিষ্ঠাতা: মুঘল সম্রাট আকবর (শাসনকাল ১৫৫৬–১৬০৫)
-
অবস্থান: ফতেহপুর সিক্রি
-
উদ্দেশ্য: বিভিন্ন ধর্ম ও বিশ্বাসের আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় নেতাদের একত্র করে ধর্মীয় শিক্ষার বিষয়ে আলোচনা ও বিতর্ক পরিচালনা করা
-
গুরুত্ব: এটি আকবরের ধর্মীয় সহনশীলতা ও মতের স্বাধীনতার নীতি প্রকাশ করেছিল
এটি দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসের (১৫২৬–১৮৫৭) একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয়-রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 17 hours ago
'টেনিস কোর্টের শপথনামা'র তারিখ হলো:
Created: 17 hours ago
A
২০ জুন, ১৭৮৯
B
১৭ জুন, ১৭৮৯
C
২০ জুন, ১৮৮৯
D
১৭ জুন, ১৮৮৯
১৭৮৯ সালের ২০ জুন ফরাসি বিপ্লবের প্রারম্ভিক পর্যায়ে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা সংঘটিত হয়, যা “টেনিস কোর্টের শপথ” নামে পরিচিত। এটি ছিল ফরাসি থার্ড এস্টেটের ঐক্য ও গণতান্ত্রিক চেতনার সূচনা চিহ্নিত করার মুহূর্ত।
-
এই শপথ ড. গিলোটিনের পরামর্শে একটি বাস্তব টেনিস কোর্টে গ্রহণ করা হয়।
-
এতে ফরাসি থার্ড এস্টেটের সদস্যরা অংশ নেন।
-
তারা প্রতিজ্ঞা করেন যে, রাজ্যের সংবিধান প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তারা বিচ্ছিন্ন হবেন না এবং প্রয়োজনে পুনরায় একত্রিত হবেন।
-
এই শপথ ছিল ফরাসি বিপ্লবের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, যা রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্য ও গণঅধিকার প্রতিষ্ঠার পথে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 17 hours ago
ইতিহাসবিদ আফিফ-ই-সিরাজের সমসাময়িক ছিলেন-
Created: 15 hours ago
A
হুসেন শাহ্
B
চৈতন্য দেব
C
নবাব সিরাজউদ্দোলা
D
ইলিয়াস শাহ্
শামস-ই-সিরাজ আফীফ তাঁর গ্রন্থ ‘তারিখ-ই-ফিরুজশাহী’-তে ফিরোজ শাহের দুটি বাংলা অভিযান সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন। এই বিবরণগুলো থেকে ফিরোজ শাহ ও বাংলার শাসকদের সম্পর্ক এবং সেই সময়কার রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্পষ্টভাবে জানা যায়।
১. আফীফ ফিরোজ শাহের দুটি অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন।
২. প্রথম অভিযান ছিল সুলতান ইলিয়াস শাহের বিরুদ্ধে।
৩. দ্বিতীয় অভিযান পরিচালিত হয়েছিল ইলিয়াস শাহের পুত্র সিকান্দর শাহের বিরুদ্ধে।
৪. ফিরোজ শাহের দ্বিতীয় বাংলা অভিযানের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন একমাত্র আফীফ, যিনি এই ঘটনার নির্ভরযোগ্য উৎস।
৫. আফীফের মতে, ইলিয়াস শাহের বিরুদ্ধে বিজয়ের পর যদিও ফিরোজ শাহ বাস্তবে কোনো সুফল পাননি, তবুও তিনি দিল্লিতে ফিরে যান।
৬. এর কিছুদিন পর লখনৌতির ইলিয়াস শাহ সোনারগাঁয়ের সুলতান ফখরুদ্দীন মুবারক শাহের জামাতা জাফর খানকে ক্ষমতাচ্যুত করে শাসন দখল করেন।
৭. এই তথ্য থেকে স্পষ্ট যে, ইলিয়াস শাহ ছিলেন আফীফের সমসাময়িক শাসক।

0
Updated: 15 hours ago
পান্ডুয়ার (ফিরোজাবাদ) সন্নিকটে আদিনার বিখ্যাত মসজিদ কোন্ সুলতানের শাসনামলে নির্মিত হয়?
Created: 1 day ago
A
শামস উদ্দীন ইলিয়াস শাহ্
B
সিকান্দার শাহ্
C
আলাউদ্দিন হুসেন শাহ্
D
গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ্
আদিনা মসজিদ বাংলার ইতিহাসে স্থাপত্য ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন। এটি শুধু বাংলার নয়, সমগ্র উপমহাদেশের অন্যতম বৃহত্তম মসজিদ হিসেবে পরিচিত।
-
অবস্থান: পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার হযরত পান্ডুয়া বা ফিরুজাবাদে অবস্থিত।
-
গুরুত্ব: এটি উপমহাদেশের বৃহত্তম মসজিদ, যা বাংলার স্থাপত্য ঐতিহ্যের শিখর নির্দেশ করে।
-
নির্মাণকাল ও নির্মাতা: মসজিদের পেছনের দেয়ালের একটি শিলালিপি থেকে জানা যায়, এটি ১৩৭৩ খ্রিস্টাব্দে সুলতান ইলিয়াস শাহের পুত্র সিকান্দর শাহ নির্মাণ করেন।
-
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: সিকান্দর শাহ ১৩৬৯ খ্রিস্টাব্দে নিজেকে আরব ও পারস্যের সুলতানদের মধ্যে যোগ্যতম এবং পরবর্তীতে ‘বিশ্বাসীদের খলিফা’ বলে ঘোষণা করেন। তাই এমন একটি বিশাল ও জাঁকজমকপূর্ণ মসজিদ নির্মাণ তাঁর সম্পদ, ক্ষমতা ও ধর্মীয় মর্যাদার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 1 day ago