বখতিয়ার খিলজী সম্পর্কে জানার উৎস-
A
তারিখ-ই-ফিরোজ শাহী
B
আইন ই আকবারি
C
তবকাত-ই-নাসিরি
D
রাজ তরঙ্গিলী
উত্তরের বিবরণ
বাংলার প্রারম্ভিক মুসলিম শাসনের ইতিহাস বুঝতে মিনহাজ-উস-সিরাজের গ্রন্থটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে গণ্য হয়। এতে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণের বিবরণ সংরক্ষিত আছে, যা ঐ সময়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা বোঝার ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক।
মিনহাজ-উস-সিরাজের "তবকাত-ই-নাসিরী" হলো বখতিয়ার খলজীর বিজয় (১২০৪ খ্রিস্টাব্দ) থেকে ১২৫৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলার ইতিহাসের একমাত্র নির্ভরযোগ্য উৎস।
-
এই সময়ের অন্য কিছু সমসাময়িক উৎস হিসেবে শিলালিপি ও মুদ্রা পাওয়া যায়।
-
গ্রন্থটির গুরুত্ব শুধু সমসাময়িকতার জন্য নয়, আরও দুটি কারণে তা মূল্যবান।
-
প্রথমত, মিনহাজ নিজে বাংলায় এসে প্রায় দুই বছর অবস্থান করেন এবং এখানকার ঘটনাবলি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে তাঁর রচনার জন্য তথ্য সংগ্রহ করেন।
-
তিনি বাংলার রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহেও প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন, যা তাঁর বর্ণনাকে বিশেষভাবে প্রামাণ্য করে তোলে।

0
Updated: 17 hours ago
মিনহাজ উদ্দিন সিরাজ ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজীর মৃত্যুর প্রায় কত বছর পর বাংলায় আসেন?
Created: 4 hours ago
A
২০
B
৩০
C
৪০
D
৫০
মিনহাজ উদ্দিন সিরাজ বাংলার ইতিহাস রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজীর মৃত্যুর প্রায় ৪০ বছর পর বাংলায় আগমন করেন এবং এখানে অবস্থানকালে বহু ঐতিহাসিক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হন।
১২৪২ খ্রিস্টাব্দে কারায় মালিক ইজ্জউদ্দীন তুগরল তুগান খানের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়।
-
পরবর্তীতে তিনি বাংলার রাজধানী লখনৌতিতে আসেন এবং প্রায় দুই বছর সেখানে অবস্থান করেন।
-
তিনি উড়িষ্যার বিরুদ্ধে অভিযানে তুগান খানের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন।
-
লখনৌতি অধিকার নিয়ে তুগান খান ও অযোধ্যার গভর্নর মালিক তামার খান কিরানের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলে, তিনি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন।
-
বাংলার রাজধানীতে অবস্থানকালে তিনি বখতিয়ারের বাংলা বিজয় সম্পর্কিত তথ্য তাঁর জীবিত সহযোগীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন।
-
এছাড়া, দিল্লি সুলতানদের বাংলায় অভিযানকালে আগত দিল্লিবাসীদের কাছ থেকেও তিনি ইতিহাস রচনার জন্য তথ্য সংগ্রহ করেন।

0
Updated: 4 hours ago
ভারতে আধুনিক প্রশাসন ও রাজস্ব ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করেন-
Created: 22 hours ago
A
বলবন
B
ফিরোজ শাহ তুঘলক
C
শেরশাহ
D
ইলিয়াস শাহ্
শেরশাহ ছিলেন ভারতের সম্রাট ও শূর রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা, যিনি ১৫৪০ থেকে ১৫৪৫ সাল পর্যন্ত শাসন করেন। স্বল্প সময়ের মধ্যেও তিনি ভারতের প্রশাসন ও রাজস্ব ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনেন এবং আধুনিক প্রশাসনিক কাঠামোর ভিত্তি স্থাপন করেন।
-
শেরশাহ সূরি তাঁর শাসনামলে সাম্রাজ্যে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রশাসনকে নতুনভাবে বিন্যস্ত করেন।
-
তিনি তাঁর বিশাল সাম্রাজ্যকে ৪৭টি সরকারে বিভক্ত করেন এবং প্রতিটি সরকারকে কয়েকটি পরগণায় ভাগ করেন।
-
বাংলায় এই ব্যবস্থায় ১৯টি সরকার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
প্রতিটি সরকারে দুজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থাকতেন— ‘শিকদার-ই-শিকদারান’ (মুখ্য শিকদার) ও ‘মুন্সিফ-ই-মুন্সিফান’ (মুখ্য মুন্সিফ)।
-
তাঁরা শিকদার, আমিন, মুন্সিফ, কারকুন, পাটোয়ারী, চৌধুরী ও মুকাদ্দাম প্রমুখ স্থানীয় কর্মকর্তাদের কার্যক্রম তদারক করতেন।
-
ভূমি জরিপের মাধ্যমে জমির পরিমাণ ও ফসলের উৎপাদন নির্ধারণ করে উৎপাদিত ফসলের এক-চতুর্থাংশ রাজস্ব হিসেবে ধার্য করা হয়। এই রাজস্ব নগদ অর্থে বা ফসলের অংশ দিয়ে পরিশোধ করা যেত।
-
তিনি প্রথমবারের মতো ‘পাট্টা’ (ভূমি স্বত্বের দলিল) ও ‘কবুলিয়াত’ (চুক্তি দলিল) প্রথা চালু করেন, যার মাধ্যমে প্রজাদের জমির উপর স্বত্ব নিশ্চিত হয়।
-
কৃষকদের ঋণ দানের ব্যবস্থা করে তিনি কৃষিকার্যে উৎসাহ দেন এবং গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটান।

0
Updated: 22 hours ago
ট্যাভারনিয়ে কোন দেশের পর্যটক ছিলেন?
Created: 14 hours ago
A
ইংল্যান্ড
B
ফ্রান্স
C
পর্তুগাল
D
স্পেন
সতেরো শতকের বিখ্যাত ফরাসি পর্যটক জে.বি টেভার্নিয়ার (১৬০৫–১৬৮৯) ইউরোপ থেকে ভারত ও বাংলাসহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল ভ্রমণ করেছিলেন। তাঁর লেখা ভ্রমণবৃত্তান্তে সে সময়কার ভারতের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থার বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে।
-
জন্ম: ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের প্যারিসে।
-
পরিবার: তাঁর বাবা গ্যাব্রিয়েল টেভার্নিয়ার ছিলেন একজন বণিক ও ভূগোলবিদ, যাঁর কাছ থেকেই তিনি ভূগোলচর্চা ও বিদেশ ভ্রমণের অনুপ্রেরণা পান।
-
ভারত ভ্রমণ: সতেরো শতকের ষাটের দশকে তিনি ভারত ভ্রমণ করেন এবং বাংলার রাজধানী ঢাকা সম্পর্কে মূল্যবান বর্ণনা দেন।
-
ভ্রমণবৃত্তান্ত: তাঁর ভ্রমণের বিবরণ “Travels in India” শিরোনামে ১৬৮৯ খ্রিস্টাব্দে লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়।
-
বাংলা ভ্রমণ: তিনি দুবার ঢাকা সফর করেন—প্রথমবার ১৬৪০ সালে এবং দ্বিতীয়বার ১৬৬৬ সালের জানুয়ারিতে।
-
তাঁর বর্ণনায় তৎকালীন ঢাকার ঐশ্বর্য, বাণিজ্যিক গুরুত্ব ও নগরজীবনের নানা দিক বিশদভাবে ফুটে উঠেছে।

0
Updated: 14 hours ago