আদি বাঙালি সমাজ গঠনে কোন নৃগোষ্ঠীর প্রভাব সবচেয়ে বেশী ছিল?
A
অস্ট্রিক
B
দ্রাবিড়
C
আর্য
D
মঙ্গোলীয়
উত্তরের বিবরণ
বাঙালি জাতির গঠন একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক ও নৃতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ার ফল, যা বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর সংমিশ্রণে সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলে বহু জাতি ও জনগোষ্ঠীর আগমন ঘটেছে, যারা তাদের উপস্থিতির চিহ্ন রেখে গেছে বাংলার মাটিতে।
-
বাঙালি জাতি একটি মিশ্র জাতি, যা এই অঞ্চলের আদিতম মানবগোষ্ঠীগুলির অন্যতম।
-
ইতিহাসে দেখা যায়, পৃথিবীর নানা জাতি বাংলায় প্রবেশ করেছে এবং অনেকেই আবার চলে গেলেও তাদের আগমনের নৃতাত্ত্বিক প্রমাণ এখানে রয়ে গেছে।
-
বৃহত্তর বাঙালির রক্তে বহু ও বিচিত্র নরগোষ্ঠীর সংমিশ্রণ রয়েছে।
-
প্রাচীন জনগোষ্ঠীগুলি দীর্ঘকাল ধরে বিভিন্ন জন ও কোমে বিভক্ত অবস্থায় বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করেছে এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পরস্পরের সঙ্গে মিশে গেছে।
-
জাতিতাত্ত্বিক নৃবিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর চারটি প্রধান নরগোষ্ঠীর প্রত্যেকটির কোনো না কোনো শাখা বাংলায় এসেছে।
-
এই নরগোষ্ঠী চারটি হলো নিগ্রীয়, মঙ্গোলীয়, ককেশীয় ও অষ্ট্রেলীয়।
-
ধারণা করা হয়, বাংলার প্রাচীন জনসমাজের মধ্যে অষ্ট্রিক ভাষী জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি ছিল সর্বাধিক।
-
বাংলাদেশের সাঁওতাল, বাঁশফোড়, রাজবংশী প্রভৃতি জনগোষ্ঠীকে আদি অষ্ট্রেলীয়দের উত্তরসূরি হিসেবে ধরা হয়।

0
Updated: 17 hours ago
আরবদের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ঘটে-
Created: 14 hours ago
A
মহানবীর সময়ে
B
খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগে
C
উমাইয়া যুগে
D
আঝাসীয় যুগে
উমাইয়া যুগে আরব ও ভারতের মধ্যে এক গভীর সাংস্কৃতিক যোগাযোগের সূত্রপাত ঘটে, যা পরবর্তী সময়ে দুই দেশের সংস্কৃতিতে স্থায়ী প্রভাব ফেলে।
উমাইয়া খলিফার নেতৃত্বে আরবরা ভারত আক্রমণ করে, যার ফলে রাজনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানও শুরু হয়।
-
মুহাম্মদ বিন কাসিমের সিন্ধু বিজয় ছিল এই সাংস্কৃতিক সংযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা; এর ফলেই মুসলমান সংস্কৃতি ভারতীয় ঐতিহ্যের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়।
-
আরবরা ভারতে এসে এখানকার উন্নত সভ্যতা ও সংস্কৃতি দেখে বিস্মিত হয়েছিল এবং ভারতীয় সঙ্গীতজ্ঞ, চিত্রশিল্পী, দার্শনিক, পণ্ডিত ও কারিগরদের প্রশংসা করেছিল।
-
ঐতিহাসিক তাবারির বিবরণে জানা যায়, অসুস্থ হলে খলিফা হারুন-উর-রশিদ ভারতীয় এক চিকিৎসকের চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করেন।
-
ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্রের বহু গ্রন্থ আরবি ভাষায় অনূদিত হয়, যার মধ্যে শুশ্রুত ও চরকের গ্রন্থ বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
-
পশু-চিকিৎসা ও সর্পদংশন চিকিৎসা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থও আরবিতে অনুবাদ করা হয়।
সব মিলিয়ে বোঝা যায়, আরবরা ভারতীয় চিকিৎসা ও সংস্কৃতির কাছে গভীরভাবে ঋণী, এবং উমাইয়া যুগে এই সাংস্কৃতিক বিনিময়ই ছিল দুই সভ্যতার মিলনের সূচনা।

0
Updated: 14 hours ago
'প্রজাপতি রাজা' হিসেবে পরিচিত ছিলেন-
Created: 1 day ago
A
পঞ্চদশ লুই
B
ষোড়শ লুই
C
ত্রয়োদশ লুই
D
চতুর্দশ লুই
আঠারো শতকের ফ্রান্স ছিল রাজনৈতিক অস্থিরতা ও রাজকীয় বিলাসিতায় ভরপুর এক সময়। এই সময় দেশটি শাসিত হয়েছিল অকর্মণ্য ও দুর্বল নেতৃত্বের দ্বারা, যার ফলে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে এবং জনঅসন্তোষ বৃদ্ধি পায়।
অকর্মণ্য রাজা পঞ্চদশ লুই, ডিউক অব অরলিয়েন্স, ম্যাডাম প্যাম্পাডোর, দুর্বল-চিত্তের ষোড়শ লুই এবং তাঁর বিলাসপ্রিয় স্ত্রী মারিয়া আঁতোয়া— এঁরাই ফ্রান্সের শাসনভার ধারণ করেছিলেন।
-
ঐতিহাসিক শেভিলের ভাষায় পঞ্চদশ লুই ছিলেন “প্রজাপতি রাজা”, কারণ তিনি দায়িত্বহীনভাবে শুধু আমোদ-প্রমোদে সময় কাটাতেন।
-
তাঁর স্থায়ী উপপত্নী ম্যাডাম প্যাম্পাডোর রাজার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে প্রশাসনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতেন।
-
এর ফলে প্রশাসন ধীরে ধীরে রাজা’র ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, যা ফরাসি সমাজে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলার জন্ম দেয়।

0
Updated: 1 day ago
'একাডেমিক এসোসিয়েশন' এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন-
Created: 4 hours ago
A
রাজা রামমোহন রায়
B
শিবনাথ শাস্ত্রী
C
সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী
D
ডিরোজিও
ডিরোজিও ছিলেন এক অসাধারণ চিন্তাবিদ ও শিক্ষক, যিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যুক্তিবাদ, স্বাধীন চিন্তা ও জ্ঞানের প্রতি আকর্ষণ জাগিয়ে তুলেছিলেন। তাঁর শিক্ষাদান ও মননচর্চার ধরন ছিল প্রচলিত ধারা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
-
হেনরী লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও ১৮০৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৩১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
-
তিনি ছিলেন একজন ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক।
-
১৮২৬ সালে, মাত্র সতেরো বছর বয়সে, তিনি কলকাতা হিন্দু কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
-
তিনি ইংরেজি সাহিত্য ও ইতিহাস পড়াতেন এবং তাঁর শিক্ষাদান পদ্ধতি ছিল গতানুগতিকতামুক্ত।
-
শ্রেণীকক্ষের বাইরে তিনি ছাত্রদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতেন, প্রায়ই নিজের বাসভবনেই সেই আলোচনা হতো।
-
আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন ও বিজ্ঞানসহ নানা জ্ঞানমূলক ক্ষেত্র।
-
তাঁর অনুপ্রেরণায় ছাত্ররা ১৮২৮ সালে ‘অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি সাহিত্য ও বিতর্ক সংঘ গঠন করে।
-
এই সংঘের সভাগুলো মানিকটোলার এক বাগানবাড়িতে পাক্ষিকভাবে অনুষ্ঠিত হতো, যেখানে ছাত্র ও উদার ইউরোপীয় ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করতেন।
-
এর সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় আরও অনুরূপ সংঘ গঠিত হয়।
-
ডিরোজিও ছিলেন অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, পাশাপাশি অন্যান্য সংঘের সঙ্গেও যুক্ত থেকে তাদের কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন।
তাঁর প্রভাবেই এক নতুন শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম গড়ে ওঠে, যারা পরবর্তীকালে বাংলার নবজাগরণের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত হয়।

0
Updated: 4 hours ago