গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলনা-
A
বঙ্গ
B
সমতট
C
পুণ্ড্রবর্ধন
D
কামরূপ
উত্তরের বিবরণ
গুপ্ত সাম্রাজ্যের বিস্তার সম্পর্কিত তথ্য এলাহাবাদ প্রশস্তিলিপি থেকে জানা যায়। এতে দেখা যায় যে, বাংলার প্রায় সব জনপদ গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তবে সমতট ছিল ব্যতিক্রম।
-
এলাহাবাদ প্রশস্তিলিপি অনুযায়ী, গুপ্তরা সমতট ব্যতীত বাংলার সব জনপদ নিজেদের সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন।
-
সমতট ছিল একটি করপ্রদানকারী আশ্রিত রাজ্য, যা গুপ্ত সাম্রাজ্যের অধীনস্থ হলেও স্বাধীনভাবে শাসিত ছিল।
-
এই তথ্য থেকে বোঝা যায়, গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রভাব বাংলার প্রায় সর্বত্র বিস্তৃত ছিল, তবে সমতট আংশিকভাবে স্বাধীনতা বজায় রেখেছিল।

0
Updated: 17 hours ago
ইতিহাসবিদ আফিফ-ই-সিরাজের সমসাময়িক ছিলেন-
Created: 15 hours ago
A
হুসেন শাহ্
B
চৈতন্য দেব
C
নবাব সিরাজউদ্দোলা
D
ইলিয়াস শাহ্
শামস-ই-সিরাজ আফীফ তাঁর গ্রন্থ ‘তারিখ-ই-ফিরুজশাহী’-তে ফিরোজ শাহের দুটি বাংলা অভিযান সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন। এই বিবরণগুলো থেকে ফিরোজ শাহ ও বাংলার শাসকদের সম্পর্ক এবং সেই সময়কার রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্পষ্টভাবে জানা যায়।
১. আফীফ ফিরোজ শাহের দুটি অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন।
২. প্রথম অভিযান ছিল সুলতান ইলিয়াস শাহের বিরুদ্ধে।
৩. দ্বিতীয় অভিযান পরিচালিত হয়েছিল ইলিয়াস শাহের পুত্র সিকান্দর শাহের বিরুদ্ধে।
৪. ফিরোজ শাহের দ্বিতীয় বাংলা অভিযানের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন একমাত্র আফীফ, যিনি এই ঘটনার নির্ভরযোগ্য উৎস।
৫. আফীফের মতে, ইলিয়াস শাহের বিরুদ্ধে বিজয়ের পর যদিও ফিরোজ শাহ বাস্তবে কোনো সুফল পাননি, তবুও তিনি দিল্লিতে ফিরে যান।
৬. এর কিছুদিন পর লখনৌতির ইলিয়াস শাহ সোনারগাঁয়ের সুলতান ফখরুদ্দীন মুবারক শাহের জামাতা জাফর খানকে ক্ষমতাচ্যুত করে শাসন দখল করেন।
৭. এই তথ্য থেকে স্পষ্ট যে, ইলিয়াস শাহ ছিলেন আফীফের সমসাময়িক শাসক।

0
Updated: 15 hours ago
ফরায়েজী মতবাদকে 'খারিজী' ঘোষণা করেন
Created: 22 hours ago
A
মৌলানা শরাফত আলী জৌনপুরি
B
মৌলানা নিয়ামত আলী জৌনপুরি
C
মৌলানা কেরামত আলী জৌনপুরি
D
মৌলানা শওকত আলী জৌনপুরি
কেরামত আলী জৌনপুরী ছিলেন উনিশ শতকের এক প্রখ্যাত ধর্মপ্রচারক, যিনি ইসলামী সংস্কার আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর চিন্তা ও কার্যক্রম মূলত ধর্মীয় সংস্কার ও সমাজে নৈতিক শুদ্ধতা ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হলেও, ফরায়েজী মতবাদের সঙ্গে কিছু নীতিগত পার্থক্য ছিল।
-
কেরামত আলী জৌনপুরী ফরায়েজী মতবাদকে ‘খারিজী’ ঘোষণা করেন।
-
তিনি কলকাতায় ধর্মপ্রচারের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে যশোর ও খুলনা হয়ে বরিশাল পৌঁছেন।
-
এ সময় হাজী শরীয়তউল্লাহ, আব্দুল জববার ও অন্যান্য ফরায়েজী নেতা সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
-
যদিও হাজী শরীয়তউল্লাহ, দুদু মিয়া ও আব্দুল জববারের সংস্কার আন্দোলন এবং কেরামত আলীর আন্দোলন—উভয়ের নীতি ও আদর্শে খুব সামান্য পার্থক্য ছিল, তবুও ব্রিটিশ শাসনের ব্যাপারে তাদের অবস্থান ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত।
-
হাজী শরীয়তউল্লাহ মনে করতেন, ব্রিটিশ শাসিত ভারত দার-উল-হারব (শত্রু নিয়ন্ত্রিত দেশ)।
-
অন্যদিকে কেরামত আলী জৌনপুরী যুক্তি দেন যে, যেহেতু ব্রিটিশরা ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না, তাই ভারতবর্ষ দার-উল-হারব নয়।
-
তাঁর মতে, ভারতবর্ষ দারুল ইসলাম না হলেও অন্তত দারুল আমান, অর্থাৎ নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে বিবেচ্য।

0
Updated: 22 hours ago
কার সময়ে ইংরেজী সাহিত্যের বিকাশ হয়েছিলো-
Created: 22 hours ago
A
অষ্টম হেনরী
B
ষষ্ঠ এউওয়ার্ড
C
রাণী মেরী
D
রাণী এলিজাবেথ
ইংরেজি সাহিত্যের বিকাশের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছিল রানী এলিজাবেথের শাসনামলে। এই সময়টি সাহিত্য, ভাষা ও সংস্কৃতির উন্নতির এক অসাধারণ যুগ হিসেবে বিবেচিত।
-
Elizabethan Age (1558–1603)-কে বলা হয় “The Golden Age of English Literature”।
-
এই যুগে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য তাদের পূর্ণ বিকাশ লাভ করে।
-
নাটক, কবিতা ও গদ্যের ক্ষেত্রে অসাধারণ অগ্রগতি দেখা যায়।
-
এই সময়ের প্রধান সাহিত্যিকরা ছিলেন William Shakespeare, Christopher Marlowe, Edmund Spenser, এবং Ben Jonson।

0
Updated: 22 hours ago